1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে মানবাধিকার লঙ্ঘন!

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা১০ ডিসেম্বর ২০১৫

বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীই এগিয়ে৷ হ্যাঁ, এমনটাই দেখা যাচ্ছে নানা তথ্য উপাত্তে৷ তাদের হাতেই অপহরণ, গুম এবং হত্যার অভিযোগ বেশি৷ অথচ তাদেরই তো মানবাধিকার রক্ষায় সবচেয়ে বেশি কাজ করা উচিত৷

Bangladesch Salauddin Quader Chowdhury Urteil 01.10.2013 Dhaka
ছবি: picture-alliance/dpa

মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্র বা আসক-এর হিসাব অনুযায়ী, চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ১৬২ জন নিহত হয়েছেন৷ জানা যায়, ২০১৪ সালে নিহতের সংখ্যা ছিল ১৪৮ জন আর ২০১৩ সালে এই সংখ্যা ছিল ১৭৯ জন৷ অর্থাৎ তিন বছরে মোট নিহত হয়েছেন ৪৮৯ জন৷ এদের অধিকাংশই নিহত হন পুলিশ ও র‌্যাব-এর হাতে৷ বিচারবহির্ভূত হত্যা ছাড়াও এর মধ্যে পুলিশ ও র‌্যাব-এর হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনাও আছে৷

আসক-এর অন্য আরেরকটি হিসাব অনুযায়ী, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের হাতে গত তিন বছরে নিখোঁজ ১৮৮ জনের মধ্যে ১১৫ জনের এখানো কোনো হদিস পাওয়া যায়নি৷ আর যাঁদের পাওয়া গেছে, তাঁদের বড় একটি অংশ, মোট ৩২ জনের লাশ পাওয়া গেছে৷

২০১৩ সালে ৫৩ জন অপহৃত হয়েছেন৷ এদের মধ্যে পরে পাঁচজনের মৃতদেহ পাওয়া গেছে, পাঁচজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে আর মাত্র দু'জন উদ্ধার হয়েছেন৷ অর্থাৎ ৪১ জনের কোনো খোঁজ আজও মেলেনি৷

২০১৪ সালে একইভাবে অপহৃত হয়েছেন ৮৮ জন৷ এদের মধ্যে ২৩ জনের মৃতদেহ পাওয়া গেছে এবং ১১ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে৷ উদ্ধার হয়েছেন ১২ জন আর ৪২ জনের কোন হদিস নেই৷

এছাড়া চলতি বছরে এ পর্যন্ত অপহৃত বা নিখোঁজ হয়েছেন ৪৭ জন৷ এদের মধ্যে ছয়জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, জীবীত উদ্ধার হয়েছেন চারজন আর পাঁচজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে৷ বাকি ৩২ জন কোথায় আছেন, কেউ জানে না৷

এর বাইরে হুমকি, সাংবাদিক নির্যাতন, দখলসহ আরো অনেক অভিযোগ আছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের হাতে৷

রাষ্ট্র আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা এড়িয়ে যেতে পারে না: সুলতানা কামাল

This browser does not support the audio element.

এ নিয়ে আসক-এর নির্বাহী পরিচালক মানবাধিকার নেত্রী সুলতানা কামাল ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘আমাদের কাছে যে পরিসংখ্যান আছে, তাতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের হাতেই মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা সবচেয়ে বেশি৷ বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড থেকে শুরু করে খুন, গুম, অপহরণের সঙ্গে তাদের জড়িত থাকার অভিযোগ আমরা পাই৷''

তিনি বলেন, ‘‘রাষ্ট্রকে এর দায়িত্ব নিতে হবে৷ রাষ্ট্র কোনোভাবেই আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর মানবাধিকার লঙ্ঘনের এইসব ঘটনা এড়িয়ে যেতে পারে না৷ তাই তাদের বিচার এবং জবাবদিহিতার আওয়তায় আনতে হবে৷''

এদিকে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান ঢাকায় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসের এক অনুষ্ঠানে বলেন, ‘‘দেশের প্রতিটি নাগরিক আলাদাভাবে যখন নিরাপদে থাকেন, তখনই রাষ্ট্র নিরাপদ৷ আমরা রাষ্ট্রের নিরাপত্তার বিষয়ে যে সংজ্ঞা দেয়, সেটি ভুল৷''

তাঁর কথায়, ‘‘শুধু নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে মানুষের স্বাধীনতা সংকুচিত করে ভালো রাষ্ট্র গঠন সম্ভব নয়৷''

আপনার কী মনে হয়? আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কি মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত?

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ