1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘ব়্যাপিড রেসপন্স টিম’

২ এপ্রিল ২০১২

জনবসতি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নির্বিচারে ধ্বংস করা হচ্ছে বনাঞ্চল৷ খাদ্যের তাগিদে লোকালয়ে হানা দিচ্ছে বন্যজন্তু৷ মারা যাচ্ছে মানুষ৷ ক্ষতি হচ্ছে ঘরবাড়ি, মাঠের ফসল৷ আবার পাল্টা আক্রমণে মানুষের হাতে মারা পড়ছে বন্যপশু৷

Mit vier Tigern probt der Dompteur Christian Walliser am Donnerstag (16.12.2010) in der Manege des Zirkus Barelli in Frankfurt am Main seinen Auftritt. Die Probe ist zugleich Vertrauensbeweis zwischen Mensch und Tier: Walliser war vor einem Jahr von dreien seiner bengalischen Tiger angefallen und lebensgefährlich verletzt worden. Mehrere Wochen hatte der Mann im Koma gelegen, will sich jetzt aber wieder zu den Raubkatzen in die Manege wagen. Foto: Boris Roessler dpa/lhe
ছবি: picture-alliance/dpa

মানুষ ও বন্য জন্তুর মধ্যে হিংস্র সংঘাত নতুন কিছু নয়৷ কিন্তু এটা বাড়ছে উদ্বেগজনকভাবে৷ ভারতে প্রতি বছর মানুষের হাতে মারা পড়ছে কয়েক হাজার বন্যপ্রাণী৷ কারণটা সহজবোধ্য৷ জনবসতি ও শিল্প প্রকল্পের জন্য নির্বিচারে ধ্বংস করা হচ্ছে বনভূমি৷ খাদ্যের সন্ধানে হিংস্র জন্তু হানা দিচ্ছে লোকালয়ে৷ তাড়া খেয়ে আক্রমণ করছে মানুষকে৷ আর পাল্টা আক্রমণে মানুষের হাতে মরছে বন্যজন্তু৷ তারওপর আছে চোরাশিকারিদের দৌরাত্ম৷

দোষ কাউকেই দেয়া যায়না৷ এক পক্ষের প্রাণের তাগিদ, অপরপক্ষের আত্মরক্ষার৷ দোষ যদি থাকে তা হলো বন কেটে বসতি গড়া৷ এটা নিয়ন্ত্রণের জন্য আসাম সরকার গঠন করেছে ব়্যাপিড রেসপন্স টিম৷ রাখা হয়েছে ২৪ ঘণ্টার হেলপ লাইন৷ খবর পাওয়ামাত্র সেই টিম দৌড়ে যাবে সুসজ্জিত বাহন নিয়ে৷ তাতে আছে প্রশিক্ষিত বনকর্মী, পশু চিকিৎসক, ঘুম পাড়ানি ওষুধ ইত্যাদি৷

ছবি: picture-alliance/dpa

পশ্চিমবঙ্গের অবস্থাটা কেমন? রাজ্যের চিফ কনজার্ভেটর অব ফরেস্ট বি. মন্ডল বললেন, মানুষ ও বন্যজন্তুর হানাহানিটা বেশি হয় হাতির সঙ্গে৷ এটা নিবারণ করা যাবেনা৷ কারণ প্রথমত হাতির সংখ্যা বাড়ছে৷ আর দ্বিতীয়ত, হাতি পরিযায়ী জন্তু৷ এক জায়গায় থাকেনা৷ রাতেই এদের হামলা হয় বেশি৷

চিতাবাঘের ক্ষেত্রেও তাই৷ বন্যপ্রণী সংরক্ষণ রাজ্যে ভালো বলে চিতাবাঘের সংখ্যা বেড়েছে৷ এছাড়া, গ্রামে গরু, ছাগল, মুরগি সহজে পাওয়া যায়, ধরাও সহজ৷ তাই চিতাবাঘ গ্রামে ঢোকে৷ চোরা শিকারও প্রায় বন্ধ৷ রাজ্যে বনভূমি ধ্বংসের কথা অস্বীকার করে বন সংরক্ষণ মহাঅধিকর্তা বললেন, ১৯৮০ সালে বন সংরক্ষণ আইন চালু হবার পর বনাঞ্চল ধ্বংস খুব একটা হয়নি৷ পশ্চিমবঙ্গে তো নয়ই৷ অন্যান্য রাজ্যে বড় বড় শিল্প প্রকল্পের দরুণ কিছুটা হয়ত হয়ে থাকতে পারে৷

উল্লেখ্য, আসামে বন্যপ্রাণীর আদমসুমারি রিপোর্টে দেখা গেছে, রাজ্যে হাতির সংখ্যা যথেষ্ট বেড়েছে৷ ২০০৯ সালে ছিল ৫২৪৬৷ আর এ বছরে হয়েছে ৫৬২০৷ বেড়েছে গন্ডারের সংখ্যাও৷ আসামের পরিতোয়া অভয়ারণ্যে এক শৃঙ্গী গন্ডার ছিল ৮৪টি, রাজীব গান্ধী অভয়ারণ্যে ছিল ৬৪টি৷ এ বছর তা বেড়ে হয়েছে যথাক্রমে ৯৩ ও ১০০টি৷

প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ