তিনি একাধারে অভিনেত্রী আবার পরিচালক। তবে লকডাউনের বাজারে আবৃত্তিকারের ভূমিকায় অপর্ণা সেন। অনলাইনে প্রায় প্রতিদিন কোনও না কোনও বাংলা কবিতা আবৃত্তি করছেন তিনি। একই সঙ্গে পড়ে শোনাচ্ছেন সেই কবিতার ইংরেজি অনুবাদ।

কলকাতার ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে তিনি পরিচিত বুম্বা নামে। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় নিজেই নিজের বিজ্ঞাপন। লকডাউনের কয়েক দিন আগেই দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ফিরেছেন তিনি। ফলে ১৫ দিন নিজেকে সকলের থেকে আলাদা করে রেখেছিলেন। চারতলার বাড়ির একটি তলায় সম্পূর্ণ নিঃসঙ্গ জীবন কাটিয়েছেন তিনি। এমনকী, নিজের কাপড়ও নিজেই কেচেছেন। কোয়ারান্টিন শেষ করেই অমিতাভের অনুরোধে ঘরে বসে শ্যুটিং করেছেন বুম্বা।

সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের পরিচয় দেওয়া নেহাতই অপ্রয়োজনীয়। লকডাউনে বই, লেখালিখি আর ছবি আঁকায় মগ্ন তিনি। সৌমিত্র শুধু অভিনেতা নন, বড় মাপের কবিও। লকডাউন নিয়ে কোনও কবিতা লিখেছেন কি? এখনই কিছু বলতে নারাজ সত্যজিতের ফেলুদা। তবে এরই ফাঁকে পরিযায়ী শ্রমিকদের সাহায্যের বার্তাও দিয়েছেন তিনি।

আর সব তারকার মতো নিজেকে সম্পূর্ণ গৃহবন্দি করে রাখেননি প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেট অধিনায়ক এবং বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। মুখে মাস্ক, হাতে গ্লাভস পরে সৌরভ নেমে পড়েছেন সেবার কাজে। ২০ হাজার কিলোগ্রাম চাল তিনি দিয়ে এসেছেন বেলুড় মঠে। কলকাতার ইসকনে গিয়ে তিনি কয়েক হাজার গরিব মানুষের খাবারের ব্যবস্থা করে দিয়ে এসেছেন। সৌরভ জানিয়েছেন, প্রয়োজনে ফের রাস্তায় নেমে কাজ করতে প্রস্তুত তিনি।

অভিনেতা এবং সাংসদ দেব ২২ মার্চ থেকে সম্পূর্ণ গৃহবন্দি। ছুটি দিয়ে দিয়েছেন কাজের লোকদের। আপাতত তিনি বাড়ি সাজাতে ব্যস্ত। একই সঙ্গে নিয়মিত খোঁজ রাখছেন সংসদীয় এলাকার। তবে আর সব তারকার মতো ত্রাণ তহবিলে দানের কথা তিনি জানাতে চান না। তাঁর বক্তব্য, দানের কথা বিজ্ঞাপন করে জানাতে নেই। এবং সে কারণেই লকডাউন পর্বে নিজেকে সোশ্যাল মিডিয়া থেকেও দূরে রেখেছেন দেব। কেবল খোঁজ রাখছেন মুম্বইয়ে আটকে পড়া মায়ের।

এই মুহূর্তে তিনি দেশে নেই। লকডাউনের আগেই সিঙ্গাপুরে গিয়েছেন। সেখানেই স্বামীর সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। তবে মন পড়ে আছে কলকাতায়। নরেন্দ্র মোদী আহ্বান জানিয়েছিলেন দেশ জুড়ে প্রদীপ জ্বালানোর জন্য। সকলকে সেই আহ্বানে সাড়া দিতে বলেছিলেন ঋতুপর্ণা। বলেছিলেন, বাড়িতে বসে সাহসী চিকিৎসকদের উৎসাহ দেওয়াই এখন একমাত্র কাজ। প্রদীপ জ্বালিয়ে সে ছবি পোস্টও করেছিলেন তিনি।

তিনি বাঙালি নন। তবে পশ্চিমবঙ্গের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর। কলকাতা নাইট রাইডার্সের মালিক। ইদানীং শাহরুখ খান মজা করে নিজেকে 'বাঙালিবাবু' বলেন। করোনা আক্রান্তদের জন্য নিজের অফিস ছেড়ে দিতে চেয়েছেন শাহরুখ। জানিয়েছেন, সানন্দে সেখানে কোয়ারান্টিন সেন্টার তৈরি করতে পারে সরকার। সরকারের তৈরি ত্রাণ তহবিলেও বিপুল টাকা দান করেছেন শাহরুখ। প্রয়োজনে আরও সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন রাজ্যগুলিকে।