‘মাপেট’ স্রষ্টার প্রত্যাবর্তন
১৫ জুন ২০১০পাপেট নিয়ে আমেরিকান টেলিভিশনে একটি শো করতেন হেনসন, নাম ছিলো দ্য মাপেট শো৷ আর এর চরিত্রগুলোকে এক সঙ্গে বলা হতো ‘মাপেট'৷ হেনসেন নিজেই বলতেন, ‘মনস্টার' আর 'পাপেট'– এ দুই মিলিয়েই তাঁর ‘মাপেট'৷ পরে হেনসেনের পাপেটগুলোকেই সবাই ‘মাপেট' বলতে শুরু করে৷
হেনসেন মারা যান ১৯৯০ সালে৷ তাঁর তৈরি ‘কেরমিট ফ্রগ', ‘মিস পিগি' – এ ধরনের পুরনো পাপেট চরিত্রগুলোর স্বত্ব চলে যায় ওয়াল্ট ডিজনি কোম্পানির কাছে৷ তবে নিজের নামে একটি কোম্পানি গড়ে গিয়েছিলেন তিনি৷ নাম হেনসেন কোম্পানি লিমিটেড৷ এখন পাঁচ সন্তান চালাচ্ছেন সেই কোম্পানি৷ সেখান থেকেই হচ্ছে নতুন চলচ্চিত্র৷
হেনসেনের মেয়ে ও কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লিসা হেনসেন সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘‘বাবার বেশ আগ্রহ ছিলো থ্রি ডি মুভি নিয়ে৷ তিনি অ্যানিমেশন মুভি নিয়েও ভাবতেন৷ আর তাঁর চিন্তাভাবনা ধরেই আমরা থ্রি ডি মুভি তৈরির কাজটি শুরু করেছি৷
‘দি ডার্ক ক্রিস্টাল'– হেনসেনের এ শো টির ধারাবাহিকতায় ‘দি পাওয়ার অফ দি ডার্ক ক্রিস্টাল' এ থ্রি ডি মুভি তৈরির কাজ এখন চলছে অস্ট্রেলিয়ায়৷ ২০১৩ সাল নাগাদ এটি মুক্তি পেতে পারে৷ ব্যবসা চালানোর ক্ষেত্রেও বাবার ঋণ স্বীকার করছেন সন্তানরা৷ লিসা বলেন, বাবা আমাদের হাতে কলমে সব শিখিয়েছেন৷ তার হয়তো স্বপ্ন ছিলো আমরা তার কোম্পানিটি গড়ে তুলি৷
মিসিসিপি রাজ্যে জন্ম নেওয়া হেনসেন কেবল ‘মাপেট'এর স্রষ্টাই ছিলেন না, তিনি চলচ্চিত্র নির্মাতা এবং টেলিভিশনে অনুষ্ঠান প্রযোজক হিসেবেও তার সুনাম ছিলো৷ প্রযোজক হিসেবে এমি অ্যাওয়ার্ড জিতেছেন তিনি৷ নির্মাতা হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছিলেন অস্কারে৷
মাত্র ৫৩ বছর বয়সে হেনসেনের মৃত্যু তাঁর কাছ থেকে বিশ্ববাসীর আরো কিছু পাওয়ার পথ রুদ্ধ করে দিয়েছিলো৷ তবে বাবার যেখানে শেষ হয়েছিলো, এখন সেখান থেকেই শুরু করতে চাইছে ছেলে-মেয়েরা৷
প্রতিবেদন: মনিরুল ইসলাম
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন