আফ্রিকার সিংহ হিসেবে পরিচিত হলেও বলকান এবং মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে একসময় তারা রাজত্ব করে বেড়িয়েছে৷ এদের সংখ্যা বর্তমানে এতই কমে গেছে যে কেবল ভারতের কিছু অঞ্চল এবং সাহারা মরুভূমির দক্ষিণে এদের দেখা মেলে৷

সায়গা নামে হরিণের মতো দেখতে এই প্রাণীটি কিন্তু বরফ যুগের প্রাণী৷ এই প্রাণীদের এখন কেবল রাশিয়ায় পাওয়া যায়৷ পাচারের কারণে দিন দিন কমছে এদের সংখ্যা৷ প্রাণীগুলো শুধু যে দিনে ১২০ মাইল হাঁটতেই পারে তাই না, সাঁতরাতেও পারে এরা৷

হাঙরের পাখনা জাপান ও চীনে খুবই জনপ্রিয়৷ এ কারণে জেলেরা জীবন্ত হাঙরের বাচ্চা ধরে এদের পাখনা কেটে আবার তাদের সমুদ্রে ফেলে দেয়৷ ফল এদের মৃত্যু৷ এছাড়া হাঙরের মাংসও ঐসব অঞ্চলে খাওয়া হয়৷

লম্বা করাতের হাঙর এখন বিলুপ্তির পথে৷ প্রায় আট মিটার লম্বা হয় এই করাত৷ আর করাতের কারণেই খুব সহজে জেলেদের জালে ধরা পড়ে এরা৷

ডাইক্লোফেনাক শিকারী পাখিদের জন্য শত্রু৷ দক্ষিণ এশিয়া, স্পেন ও ইটালিতে গরু, শুকর আর ঘোড়াদের এই বেদনানাশক দেয়া হয়৷ আর এদের মৃত্যু হলে যেসব শিকারি পাখি এদের খায় খায় তারা কিডনি নষ্ট হওয়ার কারণে মারা যায়৷

এশিয়ার বন্য গাধাদের এখন নতুন উপনাম হচ্ছে চিড়িয়াখানার শরণার্থী৷ গত ১৫ বছরে এদের সংখ্যা অর্ধেকে নেমে এসেছে৷

এদের চামড়া খুব মূল্যবান৷ এ কারণে শিকারীদের চোখ থাকে এদের উপর৷ তবে গত কয়েক বছর ধরে প্রাণী অধিকার রক্ষা সংগঠনগুলোর উদ্যোগে এদের রক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে৷ এমনকি সংখ্যা কিছুটা বাড়ছে৷

সাড়ে ২২ কোটি বছর ধরে পৃথিবীতে বসবাস করছে কচ্ছপরা৷ কারণ বিবর্তনের সাথে অভিযোজন করার দারুণ ক্ষমতা রয়েছে এদের৷ তবে মানুষ প্রায়ই এদের ডিম চুরি করে এবং সমুদ্রে প্লাস্টিকসহ অন্যান্য রাসায়নিক দ্রব্য বাড়ার কারণে মৃত্যুর মুখে পড়ে এসব কচ্ছপ৷

মেরু ভাল্লুকের অবস্থান তখনই শক্ত হয়, যখন পায়ের নীচে কঠিন বরফ থাকে৷ কেবল আর্কটিকে এদের পাওয়া যায়৷ সেখানে শক্ত বরফখণ্ডের নীচে এরা ভেসে বেড়ায়৷ কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বরফ গলে যাওয়ায় এদের লুকিয়ে থাকা কঠিন হচ্ছে৷ ফলে সহজেই শিকারীদের হাতে ধরা পড়ছে এরা৷ কমে যাচ্ছে এদের সংখ্যা৷

এ ধরনের স্টিং রে মাছদের যে কাটা থাকে তা খুব সহজেই জালে ধরা পড়ে৷