আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল ঘিরে পশ্চিমবঙ্গে পাগলামি বাড়ছে৷ রেষারেষিও৷ মারামারি ও রক্তপাত এখনো হচ্ছে না, তবে হতে কতক্ষণ?
বিজ্ঞাপন
খুবই মুশকিলে পড়ে গেছেন পশ্চিমবঙ্গের ব্রাজিলের সমর্থকদের একাংশ৷ শত্রুর শত্রু আমার বন্ধু এই নীতিতে তো বিশ্বকাপের ফাইনালে তাদের ফ্রান্সকে সমর্থন করার কথা৷ করছেনও৷ কিন্তু ব্রাজিল সমর্থকের একাংশ আবার মেসিরও ভক্ত৷ তারা ব্রাজিলের কট্টর সমর্থক হলেও মেসির খেলা খুবই পছন্দ করেন৷ বিপদটা হয়েছে তাদের৷ এরকমই এক মেসিভক্ত কট্টর ব্রাজিল সমর্থক একটা মধ্যপন্থা বের করেছেন, ফাইনালে আর্জেন্টিনা হারুক, কিন্তু মেসি ভালো খেলুক৷
সৌদি আরবের সঙ্গে আর্জেন্টিনার হারের পর সামাজিক মাধ্যমে ব্রাজিল সমর্থকরা মেসির দেশের নাম দিয়েছিলেন, আর জিতেন না৷ ব্রাজিলের বিদায়ের পর তারা বেশ কিছুটা ম্রিয়মান৷ তারা এখন মনেপ্রাণে চাইছেন, ফ্রান্স জিতুক৷ অর্জেন্টিনা ফাইনালে হারলে, তাদেরও হারের জ্বালাএকটু কমে আর কী৷ আমরা পারিনি, ঠিকই শত্রুরাও তো পারেনি৷ ইস্টবেঙ্গল অন্য দলের কাছে হারলে মোহনবাগানের সমর্থকদের আনন্দ হয়, ঠিক সেরকমই মোহনবাগান হারলে ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদেরও কিছুটা মনের জ্বালা জুড়ায়৷ এও সেরকমই৷ এখন আর্জেন্টিনার সমর্থকরা আবার ব্রাজিলের সমর্থকদের নিয়মিত বিদ্রুপ করছে৷ সামাজিক মাধ্যম দুই পক্ষের পোস্টে ভরে গেছে৷
কাতার বিশ্বকাপের যা কিছু মনে থাকবে
রোববার ফাইনালের মধ্য দিয়ে কাতার বিশ্বকাপ শেষ হচ্ছে৷ উত্তেজনাপূর্ণ খেলা ছাড়াও এই বিশ্বকাপকে ঘিরে এমন কিছু ঘটনা ঘটেছে যা সমর্থকদের মনে থাকবে৷
কাতারি পুরুষদের ঐতিহ্যবাহী পোশাক গুত্রা৷ এটি একধরনের হেডস্কার্ফ৷ বিভিন্ন দেশের সমর্থকদের মাথায় এটি পরতে দেখা গেছে৷ দোহার সুক ওয়াকিফে বিভিন্ন দেশের রংয়ে তৈরি গুত্রা বিক্রি হতে দেখা গেছে৷
ছবি: Hassan Ammar/AP/picture alliance
পরনে থাউব
থাউব হলো লম্বা হাতাসহ পুরো শরীর ঢাকা সাদা একধরনের পোশাক, যা কাতারসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে পুরুষরা পরে থাকেন৷ বিশ্বকাপ উপলক্ষ্যে কাতারে যাওয়া অনেক সমর্থককে থাউব পরতে দেখা গেছে৷ যেমন ছবিতে ক্যানাডার সমর্থকদের দেখা যাচ্ছে৷ সঙ্গে আছে গুত্রাও৷
ক্রোয়েশিয়ার সাবেক বিউটি কুইন ও মডেল ইভানা ক্নোল খোলামেলা পোশাকে স্টেডিয়ামে উপস্থিত হয়েছেন৷ তিনি বলেছেন, কাতারের স্থানীয়রা তাকে আশ্বস্ত করেছেন যে, তিনি যে-কোনো পোশাক পরতে পারবেন৷ অবশ্য ব্রাজিলের সঙ্গে কোয়ার্টার ফাইনালের দিন নিরাপত্তা কর্মীরা তার সঙ্গে কাউকে ছবি তুলে দেয়নি বলে জানান তিনি৷ বিশ্বকাপের সমর্থকদের শালীন পোশাক পরার অনুরোধ করেছিল কাতার৷
ছবি: Ulmer/Teamfoto/IMAGO
বাংলাদেশ নিয়ে আর্জেন্টিনা ফুটবল ফেডারেশনের টুইট
কাতার বিশ্বকাপ দেখার জন্য ঢাকার বিভিন্ন স্থানে বড় পর্দা বসানো হয়েছে৷ সেখানে কয়েক হাজার দর্শক একসঙ্গে খেলা দেখেন৷ আর্জেন্টিনার জয়ের পর সেখানে আনন্দ-উল্লাসের ছবি আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়েছে৷ আর্জেন্টিনা ফুটবল ফেডারেশন ১ ডিসেম্বর এমন তিনটি ছবি প্রকাশ করে টুইট করে বাংলাদেশি সমর্থকদের ধন্যবাদ জানিয়েছে৷ সঙ্গে লিখেছে, ‘‘আমাদের দলকে সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ৷ তারা আমাদের মতোই পাগলাটে৷’’
ছবি: Mohammad Ponir Hossain/REUTERS
বাংলাদেশি সমর্থকদের আর্জেন্টিনার কোচের ধন্যবাদ
আর্জেন্টিনা ফুটবল ফেডারেশনের টুইটের বিষয়টি এক সংবাদ সম্মেলনে কোচ স্কালোনিকে জানানো হলে তিনি বলেন, ‘‘এসব জেনে তো খুবই ভালো লাগে৷ আমার মনে হয়, প্রথমে ডিয়েগো (ম্যারাডোনা), পরে মেসির কারণে আর্জেন্টিনার ফুটবলের সমর্থক বেড়েছে৷ বাংলাদেশে আমাদের এমন সমর্থন আছে জেনে আমি গর্বিত৷ শুধু বাংলাদেশেই নয়, অন্য অনেক দেশের মানুষও আমাদের সমর্থন করে৷’’
ছবি: picture alliance/dpa
বাংলাদেশে আর্জেন্টিনার দূতাবাস চালু হতে পারে
আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সান্তিয়াগো কাফিয়েরো ১০ ডিসেম্বর টুইট করে জানান বাংলাদেশের সাথে বুয়েনস আইরেস নতুন করে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করতে যাচ্ছে৷ টুইটে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেনের সাথে একটি ছবি পোস্ট করে তিনি লিখেছেন, ‘‘বাংলাদেশে ১৯৭৮ সাল থেকে বন্ধ আর্জেন্টিনার দূতাবাস পুনরায় চালু করার কথা ভাবছে আর্জেন্টিনা৷’’
ছবি: JUAN MABROMATA/AFP
আর্জেন্টিনার রেডিওতে বাংলাদেশের ক্রিকেট
ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের জয়ের খবর দিয়ে টুইট করেছিল আর্জেন্টিনার রেডিও ‘এল দেসত্যাপে’৷ এছাড়া এক আর্জেন্টাইন নাগরিক বাংলাদেশ ক্রিকেটের সমর্থনে ফেসবুকে গ্রুপ খুলেছেন৷
ছবি: Surjeet Yadav/AP/picture alliance
ফিফার টুইটে বাংলাদেশ
আর্জেন্টিনা-মেক্সিকো ম্যাচে বাংলাদেশি দর্শকদের মেসির গোল উদযাপনের একটি ভিডিও টুইট করেছিল ফিফা৷ পরে ব্রাজিল সমর্থকদের বাঁধভাঙা উল্লাসের ছবিও টুইট করেছিল ফুটবলের ঐ বিশ্ব সংস্থা৷
ছবি: Mohammad Ponir Hossain/REUTERS
অভিবাসী শ্রমিকদের দুরবস্থায় কাতারের সমালোচনা
কাতারে বিশ্বকাপের অবকাঠামো নির্মাণকাজে নিয়োজিত অনেক অভিবাসী শ্রমিককে সময়মতো বেতন না দেয়া, কম বেতন দেয়া, তাদের বাসস্থানের দুরবস্থা এবং কাজ করতে গিয়ে শ্রমিকদের মৃত্যু, এসব নিয়ে কাতারের সমালোচনা করেছে বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা৷ তবে কাতার বলেছে, তারা শ্রম আইনে অনেক সংস্কার এনেছে৷
ছবি: Igor Kralj/PIXSELL/picture alliance
হাত দিয়ে মুখ ঢেকে প্রতিবাদ
কাতারে সমকামিতা অবৈধ৷ সমকামীদের প্রতি সমর্থন জানাতে বিশ্বকাপ ম্যাচে রংধনু রংয়ের আর্মব্যান্ড পরতে চেয়েছিলেন ইউরোপের আট দেশের অধিনায়ক৷ কিন্তু সেটি করলে শাস্তির হুমকি দিয়েছিল ফিফা৷ ফিফার এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে প্রথম ম্যাচ শুরুর আগে জার্মান দল হাত দিয়ে মুখ ঢেকে ছবি তুলেছিলেন৷
ছবি: Alexander Hassenstein/Getty Images
জাতীয় সংগীতে চুপ ইরানিরা
ইরানে চলমান বিক্ষোভের প্রতি সমর্থন জানাতে দেশটির খেলোয়াড়েরা প্রথম ম্যাচে জাতীয় সংগীতের সময় ঠোঁট মেলাননি৷
ছবি: Sebastian Frej/MB/IMAGO
বিশ্বকাপের সবচেয়ে বড় আপসেট
প্রথম রাউন্ডে সৌদি আরবের কাছে ২-১ গোলে হেরে গিয়েছিল আর্জেন্টিনা৷ ডাটা কোম্পানি নিলসেন গ্রেসনোট বলছে, এই হার বিশ্বকাপের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় আপসেট৷ এর আগের আপসেটটি ছিল ১৯৫০ সালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের জয়৷ ব়্যাংকিং সিস্টেম এবং জটিল ফর্মুলা ব্যবহার করে গ্রেসনোট বলছে, মেসিদের বিরুদ্ধে সৌদি আরবের জেতার সুযোগ ছিল মাত্র ৮.৭ শতাংশ৷ আর ১৯৫০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের জয়ের সম্ভাবনা ছিল ৯.৫ শতাংশ৷
ছবি: Matthias Hangst/Getty Images
বাংলাদেশে মারামারি
বিশ্বকাপ এলেই বাংলাদেশে সমর্থকদের মধ্যে কথা কাটাকাটি থেকে শুরু করে প্রাণহানির ঘটনাও ঘটে৷ প্রথম আলো বুধবার জানিয়েছে, ফুটবল নিয়ে তর্ক-বিতর্কের জের ধরে সংঘর্ষে, পতাকা টানাতে গিয়ে ছাদ থেকে পড়ে কিংবা বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে, খেলা দেখার সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ১২ জন মারা গেছেন৷ এদের বেশিরভাগই কিশোর ও তরুণ৷ এছাড়া আহত হয়েছেন অন্তত ২৭ জন৷ হতাহতদের সবাই ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার সমর্থক৷
ছবি: Mohammad Ponir Hossain/REUTERS
13 ছবি1 | 13
তবে পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতে, ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা নিয়ে সমর্থকদের এই লড়াই এখনো পর্যন্ত কটাক্ষ, ট্রোলিং, ব্যাঙ্গের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে৷ সেটা খুব একটা হাতাহাতি, মারামারি, রক্তপাত, মৃত্যু পর্যন্ত গড়ায় না৷ এমনিতেই পশ্চিমবঙ্গে এখন রাজনীতি ও সহিংসতা প্রায় সমার্থক হয়ে উঠেছে৷ আমরা-ওরার দুনিয়ায় অসহিষ্ণুতা এখন জীবনাপনের অঙ্গ৷ কিন্তু ফুটবল নিয়ে পরিস্থিতিটা অতটা ভয়ঙ্কর জায়গায় যায়নি৷ ফুটবলে ভিন্ন দেশের সমর্থক হওয়া য়ায়, তাদের জার্সি পরা যায়, সেই দেশের জাতীয় পতাকা হাতে তুলে নেয়া যায়, গোটা পাড়া রাঙানো যায় সাদা-নীল বা হলুদ রঙে (রোনাল্ডোর কারণে এবার পর্তুগালও ঢুকে পড়েছিল কলকাতায়), কিঞ্চিত রঙ্গব্যাঙ্গের কষাঘাত করা যায় প্রতিপক্ষকে, কিন্তু মারামারি, হত্যা পর্যন্ত বিষয়টা গড়ায় না৷
তবে এখনও গড়ায়নি বলে তার মানে এই নয় যে, ভবিষ্যতেও গড়াবে না৷ গড়াতেই পারে৷ টিভি-র কল্যাণে যেভাবে জার্সি, পতাকা, গলি ও দেওয়াল রাঙানোর সংখ্যা দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে, যেভাবে সামাজিক মাধ্যমে একে অন্যের বিরুদ্ধে কটাক্ষ করা চলছে, তারপর মারামারি হতে আর কতক্ষণ৷ এবার না হলে পরের বিশ্বকাপের সময় হতে পারে৷
আর্জেন্টিনাতেই তো তৈরি হয়েছিল বারা ব্রাভা নামক মারকুটে সমর্থকদের দল৷ ইংল্যান্ডের কট্টর ফুটবল সমর্থকদের সঙ্গে যাদের তুলনা টানা হয়৷ বারা ব্রাভার মতো সংগঠন পরে ল্যাটিন অ্যামোরিকার দেশগুলিতে ছড়িয়ে পড়ে৷ আর্জেন্টিনা হারলে প্লেয়ারদের বাড়িতে হামলা, ক্লাব ফুটবলে বিপক্ষ সমর্থকদের উপর হামলার মতো কাজ করার জন্য তারা কুখ্যাত৷ ফলে উদাহরণ তো আছেই৷ উদাহরণ তো তৈরি হয়েছে ঘরের পাশে বাংলাদেশেও৷ সেই ছোঁয়াচ এপারে এসে পড়তে কতক্ষণ লাগে!
বিশ্বের ফুটবল খেলা দেশগুলির তালিকায় ভারত এখন ১০৬তম৷ একসময় ভারতীয় ফুটবলে বাঙালি ফুটবলারদেরই দাপট ছিল৷ এখন দিন বদলেছে৷ এখন ফুটবলে উত্তর-পূর্ব ভারত ও দক্ষিণ ভারতের প্লায়ারদের রমরমা৷ বাঙালি ফুটবলার খুঁজতে দূরবীন লাগে৷ বাংলার তিন প্রধান ক্লাব ইস্টবেঙ্গল, মহামেডান, মোহনবাগানের অবস্থা বেশ খারাপ৷ মহামেডান আই লিগ খেলে৷ বাকি দুই দল আইএসএলে খেললেও ইস্টবেঙ্গল শেষের দিকে থাকে৷ মোহনবাগান ওপরের দিকে থাকে ঠিকই, কিন্তু তারা এখন এটিকে-র সঙ্গে হাত মিলিয়ে এটিকে মোহনবাগান হয়ে গেছে৷ ফলে মোহনবাগানের কৃতিত্ব কতটা, আর এটিকে-ক কৃতিত্ব কতটা তানিয়ে সমর্থকদের মধ্যেই তর্ক আছে৷ তাছাড়াএই ক্লাবগুলিতে বাঙালি ফুটবলার খুঁজে পাওয়াই যায় না৷ হয় বিদেশি অথবা উত্তর পূর্ব ভারত, দক্ষিণ বা পশ্চিম ভারতের ফুটবলার৷
অথচ, বাঙালিদের একজন ফুটবল আইকন দরকার৷ ম্যারাডোনা নামক আইকনের হাত ধরেই বাঙালিদের অর্জেন্টিনার সমর্থক হয়ে ওঠার কাহিনি শুরু৷ তার আগে পেলে সহ ব্রাজিলের একগুচ্ছ অসাধারণ ফুটবলারের জন্য বাঙালিদের ব্রাজিল প্রীতির জন্ম৷ তারপর জিকো, সক্রেটিস সহ অন্যদের কারণে সেই ভালোবাসা বেড়েছে বই কমেনি৷ ম্যারাডোনার পর মেসির জন্যও আর্জেন্টিনা প্রীতি বেড়েছে৷ এই ফুটবল আইকনরা বাঙালিদের মন ছুঁয়েছেন৷ তাদের সঙ্গে ঢুকে পড়েছে তাদের দেশ৷ ফলে বাঙালি ওই দেশের পতাকাও হাতে তুলে নিয়েছে৷ ফলে বীরপুজো করতে করতে বাহালিদের এই হুজুগ সমানে বাড়ছে৷
সেইসঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে রেষারেষি৷ একে অন্যকে বিদ্রুপ করা৷ একটা ছোট তথ্য দিয়ে রাখি৷ সংবাদসংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, কাতার বিশ্বকাপে গ্রুপ লিগ থেকে কোয়ার্টার ফাইনালের খেলা দেখতে কলকাতা ও তার আশপাশের এলাকা থেকে কাতার গেছেন নয় হাজারেরও বেশি মানুষ৷ সেমিফাইনাল ও ফাইনাল দেখতে যাবেন ও গিয়েছেন আরো দেড় হাজার ফুটবলপ্রেমী৷ ব্রাজিল সেমিফাইনাল ও ফাইনালে উঠলে সংখ্যাটা আরো বাড়ত৷
এই পাগলামির পারদ যত চড়বে, ততই আবেগের বিস্ফোরণ হবে৷ ততই বাড়বে সহিংসতার সম্ভাবনা৷ ফলে সিঁদুরে মেঘ দেখে ঘরপোড়াদের আশঙ্কা হওয়া তো স্বাভাবিক৷