এই প্রথম মারিউপলে পৌঁছালেন ক্রেমলিনের উচ্চপদস্থ প্রতিনিধি. রাশিয়া অবশ্য এবিষয়ে প্রকাশ্যে কোনো বিবৃতি দেয়নি। দনেৎস্কের রাশিয়াপন্থি বিচ্ছিন্নতবাদী নেতা ডেনিস পুশিলিন টেলিগ্রামে প্রথম এই খবর প্রকাশ করেন। তিনি জানিয়েছেন, সারগেই কিরিয়েনকো। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ব্লাদিমির পুটিনের অফিসে ডেপুটি সেনা প্রধানের দায়িত্ব সামলান তিনি। এর আগে রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বও সামলেছেন তিনি।
ইউক্রেনকে প্রেমের চিঠি
ইউক্রেনের মেয়ে নাটালিয়া ভ্লাসেঙ্কো৷ যুদ্ধের আগে ট্যুরিস্ট গাইডের কাজ করতেন৷এখন তিনি খারসন শহরের মানুষদের নিরাপদ স্থানে পাঠানোর কাজে সহায়তা করছেন৷ ইউক্রেনকে তার লেখা প্রেমের চিঠি...
ছবি: N. Vlasenko/S. Kinka/O. Goldayeva
আমার প্রিয় ওডেসা
আমার হৃদয়টা ইউক্রেনের৷ আমি ঘুরে বেড়াতে আর নতুন নতুন স্থান আবিষ্কার করতে ভালোবাসি৷ তবে ঘরে ফিরলে আমি সুখ পাই৷ আমি ওডেসার মানুষ৷ ওডেসা সেই ছিমছাম শহর, যেখানে রয়েছে ইউরোপীয় স্থাপত্যের আদি নিদর্শন৷ ভিয়েনিজ স্থপতির তৈরি করা অপেরা থিয়েটার এবং শহরের প্রথম মেয়র ডিউক ডি রিশেলিউ-এর স্মৃতিস্তম্ভ সম্বলিত প্রিমোরস্কি বুলেভার্ড তো সেখানেই৷
ছবি: N. Vlasenko/S. Kinka/O. Goldayeva
শাস্ত কৃষ্ণ সাগর
ওডেসার খোলামন, সাগরের সঙ্গে নৈকট্য, এর ইতিবাচক পরিবেশ এবং সূর্যালোকে আলোকিত দিনের প্রাচুর্যের জন্য আমি ওডেসাকে ভালোবাসি৷ যুদ্ধের আগে সাগরের তীরে হাঁটতে, বন্ধুদের সঙ্গে পিকনিক করতে আর সূর্যোদয় দেখতে ভালো লাগতো৷ কথায় আছে, সাগর যে কোনো দুঃখ প্রশমিত করতে পারে, অনেক ব্যথা ভুলিয়ে মন ভালো করে দিতে পারে৷ নিজের অভিজ্ঞতায় জানি- এসবই সত্যি৷
ছবি: Natalia Vlasenko
টুরিস্ট গাইড হিসেবে আমার কাজ
২০১৬ সালে আমি ট্যুরিস্ট গাইড হিসেবে কাজ শুরু করি৷ স্থাপত্যশিল্পের প্রতি ভালোবাসা আমার তীব্র৷ ডিগ্রি পাওয়ার পর তাই গাইডের কাজ করতে সুবিধা হয়েছে, ভালোও লেগেছে৷ ওডেসায় ট্যুরিস্ট গাইডের কাজ মা নেই অনেক দেশের মানুষের সঙ্গে পরিচিত হওয়া, সংস্কৃতি বিনিময়ের আনন্দ পাওয়া৷ গাইডের কাজ করার সময় যাদের সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল তাদের অনেকেরএই দুঃসময়েও আমাকে মেসেজ পাঠিয়ে মানসিকভাবে শক্ত থাকতে সহায়তা করেন৷
ছবি: Natalia Vlasenko
স্থাপত্যপ্রেম
কেউ যদি প্রশ্ন করেন আমি কী করতে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসি, আমার উত্তর হবে- হেঁটে হেঁটে বিভিন্ন স্থাপত্যের ছবি তুলতে৷ পুরোনো ভবন, কাঠের দরজা, মার্বেল পাথরের সিঁড়ি- এসব খুবই ভালোবাসি৷ ওডেসার একটা অংশে পর্যটকরা তেমন যান না৷ সেইদিকটায় প্রায়ই হেঁটে বেড়াতাম৷ সেখানকার প্রাচীন আর বিশাল সব উঠোন দেখতাম৷ ওডেসার উঠোনগুলোর আরেক আকর্ষণ হলো বিড়াল৷ অনেক বিড়াল রয়েছে সেখানে৷
ছবি: Natalia Vlasenko
প্রাণবন্ত শহর লভিভ
ইউক্রেনে ওডেসার পর আমার সবচেয়ে প্রিয় শহর লভিভ৷ লভিভকে ইউক্রেনের সংস্কৃতির রাজধানী বললেও ভুল হবে না৷ কফি আর চমৎকার সব ক্য্যাফের এই শহর নানা ধরনের উৎসব আর পূর্ব ইউরোপের সবচেয়ে বড় বইমেলার জন্য বিখ্যাত৷ চমৎকার কিছু স্থাপত্যও রয়েছে লভিভে৷ আমি সবসময় স্বপ্ন দেখি যুদ্ধ শেষ হলে আবার লভিভে যাবো, বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হবে, তাদের জড়িয়ে ধরবো, মার্কেট স্কয়ারে একসঙ্গে বসে কফি খাবো৷
ছবি: N. Vlasenko/S. Kinka/O. Goldayeva
লভিভের স্থাপত্য
বন্ধু ইরিয়ানার সঙ্গে আমি প্রায়ই বিখ্যাত স্থাপত্যগুলো দেখার জন্য লভিভে হেঁটে বেড়াতাম৷ ভবনগুলো দেখার সময় ভেতরের উঠোনগুলোতেও উঁকি মারতাম৷ সব সময় খুব সুন্দর কিছুর দেখা পাওয়ার আশা নিয়ে ঘুরতাম এবং হঠাৎ সেরকম কিছু পেয়েও যেতাম৷ কখনো হয়ত স্থাপত্যকর্মে মুগ্ধ হতাম, কখনোবা ভবনের ছাদ কিংবা মোজাইক করা মেঝের কোনো পেইন্টিংয়ে আটকে যেতো চোখ৷
ছবি: N. Vlasenko/S. Kinka/O. Goldayeva
কার্পেথিয়ানের পাহাড়
ইউক্রেনে সাগর আছে আবার ছবির মতো সুন্দর পাহাড়ও আছে৷ বছরের যেকোনো সময়েই যান না কেন কার্পেথিয়ানের পাহাড়গুলো দেখে আপনি মুগ্ধ হবেন৷ পাহাড় দেখতে আর হাইকিং করতে কত মানুষ যে ইউক্রেনে যেতো তার হিসেব নেই৷ একবার আমি প্লাইপেট গ্রামে জন্মদিন উদযাপন করেছিলাম ৷ প্রথম ক্যাবল কারে চড়ার অভিজ্ঞতাও হয়েছিল তখন৷ সেই স্মৃতি কোনোদিন ভুলবো না৷
ছবি: N. Vlasenko/S. Kinka/O. Goldayeva
শান্ত এক ঐতিহাসিক শহর চেরনিহিভ
ট্যুরিস্ট গাইড হিসেবে কাজ করার সময় সপ্তাহান্তে পর্যটকদের ওডেসা থেকে চেরনিহিভে নিয়ে যেতাম৷ খুব শান্ত শহর চেরনিহিভেও সুন্দর স্থাপত্যের অভাব নেই৷ পুরোনো অনেক গির্জাও আছে সেখানে৷ কোনো কোনো গির্জা প্রায় নয়শ বছর আগের৷ যতবার সেই শহরে বোমা বর্ষণের খবর পাই, প্রাণটা কেঁদে ওঠে৷
ছবি: Natalia Vlasenko
ইউক্রেনের বৈচিত্র্যময় সৌন্দর্য হুমকির মুখে
ইউক্রেন কত সুন্দর তা বোঝানোর জন্য আমি শুধু কয়েকটা জায়গার কথা বললাম৷ ইউক্রেনের প্রতিটি স্থান নিজ নিজ বৈশিষ্ট্য নিয়ে সুন্দর৷ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কোনো অভাব নেই৷ আসকানিয়া নোভা বায়োস্ফেয়ার রিজার্ভ, গোলাপি হৃদ এবং টিউলিপের বাগানসমৃদ্ধ খারসন অঞ্চল থেকে শুরু করে খারকিভ পর্যন্ত যেখানে যাবেন সেখানেই দেখবেন প্রকৃতি সৌন্দর্যের ডালি মেলে আপনার অপেক্ষায়৷
ছবি: Metin Akta/AA/picture alliance
ইউক্রেনের পাশে দাঁড়ান
ইউক্রেনকে আর ইউক্রেনের স্বাধীনতাপ্রেমী সাহসি মানুষদের এখন যতটা ভালোবাসি এতটা মনে হয় আগে কখনো বাসিনি৷ আমরা আমাদের জীবনরক্ষার জন্য, আমাদের দেশের সীমান্ত রক্ষার জন্য, জাতি হিসেবে অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য লড়ছি৷ রাশিয়ার আগ্রাসন আর প্রোপাগান্ডার সঙ্গে লড়ে আমরা ইউক্রেনের ভাষা এবং সংস্কৃতিকেও রক্ষা করছি৷ আমরা রাশিয়ার ভাই নই, কখনো ছিলাম না৷ আমরা আমাদের ভূখণ্ডে থাকি৷ আমরা স্বাধীন৷ আমরা ইউক্রেন৷
ছবি: N. Vlasenko/S. Kinka/O. Goldayeva
10 ছবি1 | 10
ডেনিস পুশিলিনের দাবি অনুয়ায়ী, বুধবার কিরিয়েনকো মারিউপলে যান এবং পরিস্থিতি বুঝে আসেন। মারিউপল এখন কার্যত রাশিয়ার হাতে। শুধুমাত্র একটি কারখানার ভিতর থেকে এখনো লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে ইউক্রেনের সেনা। রাশিয়াও লাগাতার সেখানে বোমাবর্ষণ করছে। ওই কারখানায় এখনো শতাধিক বেসামরিক ইউক্রেনের নাগরিক আটকে আছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
রাশিয়ার পরমাণু কুচকাওয়াজ
বাল্টিক অঞ্চলে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। বাল্টিক সাগরে রাশিয়ার জায়গা কালিনিনগ্রাদ। বুধবার সেখানেই পরমাণু অস্ত্রের মক ড্রিল করে রাশিয়ার সেনা। পরমাণু শক্তি সম্পন্ন ব্যালেস্টিক মিসাইল ব্যবহারের কুচকাওয়াজ করা হয়। রাশিয়া জানিয়েছে, মিসাইল লঞ্চার, বিমানবন্দর, সামরিক কাঠামো, সামরিক অস্ত্র এবং কম্যান্ড পোস্ট ধ্বংসের মক ড্রিল করা হয়েছে। প্রায় ১০০ সেনা ওই মক ড্রিলে অংশ নিয়েছিল। রেডিয়েশন এবং রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার হলে কীভাবে তার সঙ্গে জুঝে নিতে হবে, তারও ড্রিল হয়েছে বলে রাশিয়া জানিয়েছে।
রুটি কিনতে গিয়ে গোলার আঘাতে মৃত্যু
ইউক্রেনের খারকিভ শহরে ঘটেছে এই মর্মান্তিক ঘটনা৷ বাসায় খাবার কিছু না থাকায় রুটি কিনতে বাইরে বের হয়েছিলেন ভিক্টর গুবারেভ৷ ঠিক তখনই তার বাসার সামনে এসে পড়ে এক গোলা৷ সেটির আঘাতে মারা যান তিনি৷
ছবি: Alkis Konstantinidis/REUTERS
রুটি আর খাওয়া হলো না
পরিবারের খাওয়ার জন্য রুটি ঠিকই কিনে এনেছিলেন ভিক্টর৷ নিজের অ্যাপার্টমেন্টের ঠিক বাইরেই যখন গোলা এসে পড়ে, তার হাতে তখনও ধরা ছিল সেই রুটি৷
ছবি: Alkis Konstantinidis/REUTERS
মেয়ের কান্না থামছে না
ভিক্টরের মেয়ে ইয়ানা বাচেক একজন ইংরেজি শিক্ষক৷ যুদ্ধের মধ্যেও অনলাইনে ক্লাস করানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তিনি৷ এমন সময় ফোনে মায়ের কাছে বোমা বর্ষণের খবর শুনে ছুটে আসেন বাবা-মায়ের অ্যাপার্টমেন্টে৷ এসে দেখেন বাবার মরদেহের পাশে দাঁড়িয়ে রয়েছে অ্যাম্বুলেন্স৷
ছবি: Alkis Konstantinidis/REUTERS
মুহূর্মুহু গোলাবর্ষণ
বাবা-মায়ের অ্যাপার্টমেন্টের পাশেই স্বামী ইয়েভগেনি ভ্লাসেংকোর সঙ্গে থাকেন ইয়ানা৷ মায়ের কল পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ছুটে বের হতে গিয়েও স্বামীর বাধায় বের হতে পারেননি তিনি৷ ইয়েভগেনির আশঙ্কাকে সত্য প্রমাণ করে কিছুক্ষণের মধ্যে আবার সেখানে বোমা ফেলে রুশ বাহিনী৷ কিছুক্ষণ আগেই বিস্ফোরণ ও গোলাবর্যণের মধ্যেই কেনাকাটা করে ফিরেছিলেন ইয়ানাও৷
ছবি: Alkis Konstantinidis/REUTERS
ভুলতে চান শেষ ছবি
বিস্ফোরণের কিছুক্ষণের মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় অ্যাম্বুলেন্স৷ এক ফটোগ্রাফার তখন ভিক্টরের মৃত্যুর ঠিক পরের মুহূর্তের ছবি তুলেছেন৷ এই ছবির কথা ভুলতে পারছেন না ইয়ানা৷ তিনি বলেন, ‘‘আমি দুঃখিত৷ আমি এটার কথা ভুলে যেতে চাই৷ এই ছবি, তার এই ছবির কথা আমি মনে রাখতে চাই না৷’’
ছবি: Alkis Konstantinidis/REUTERS
বাবার স্মৃতি
বাবার সঙ্গে অন্যসব স্মৃতি নিয়েই বাকি জীবন কাটাতে চান ভিক্টরের একমাত্র সন্তান ইয়ানা৷ মাত্র ১৬ বছর বয়সে পরিবারের ভরণপোষণের জন্য ড্রাইভারের কাজ শুরু করেন ভিক্টর৷ তারপর ক্যারিয়ারের শেষ দিকে রুশ কোম্পানি গ্যাজপ্রমের গাড়ি পরিবহণের ব্যবস্থাপকের দায়িত্বে ছিলেন৷ ৭৯ বছর বয়সি ভিক্টর যুদ্ধাবস্থাতেও নিজের ও স্ত্রীর স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে খারকিভ ছেড়ে যেতে চাননি৷
ছবি: Alkis Konstantinidis/REUTERS
আরো মৃত্যু
ক্রমাগত গোলাবর্ষণে ভিক্টর ছাড়াও ২৫ এপ্রিল আরো অন্তত তিন জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে৷ রাশিয়ার পক্ষ থেকে বেসামরিক স্থাপনায় হামলার কথা বারবার অস্বীকার করা হলেও, আবাসিক এলাকাতেও চলছে নির্বিচার গোলাবর্ষণ৷ প্রতিদিনই ভারি হচ্ছে মৃত্যুর পাল্লা৷
ছবি: Alkis Konstantinidis/REUTERS
6 ছবি1 | 6
বাল্টিক সাগরে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে আগেই। সুইডেন, ফিনল্যান্ড ন্যাটোয় যোগ দেওয়ার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। রাশিয়া তখনই জানিয়েছিল, এমন হলে বাল্টিক সাগরে শক্তিসাম্য রক্ষা করা যাবে না। ওই অঞ্চলে পরমাণু অস্ত্র মজুত করবে তারা। মঙ্গলবারই জার্মানির চ্যান্সেলরের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে ফিনল্যান্ড এবং সুইডেনের রাষ্ট্রপ্রধানের। তারপরেই রাশিয়ার এই ড্রিল তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
ইউক্রেন-ইসরায়েল বৈঠক
সম্প্রতি রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সারগেই লাভরভ একটি ইটালীয় টেলিভিশনকে লম্বা সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। সেখানে তিনি ইহুদি বিদ্বেষী কথা বলেছেন বলে অভিযোগ ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির। বুধবার এই বিষয়ে তিনি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেটের সঙ্গে কথা বলেন।
জার্মানিকে বিশ্বাস
সম্প্রতি জার্মানির ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্র্যাটিক পার্টির নেতা ইউক্রেনে গেছিলেন। জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকও করেছেন তিনি। জার্মানিতে ফিরে এসে তিনি জানিয়েছেন, জার্মানির উপর তার বিশ্বাসের কথা জানিয়েছেন জেলেনস্কি। মূলত তিনটি সাহায্য জার্মানির কাছে চেয়েছেন তিনি। রাশিয়ার সেনাকে আটকাতে দূরপাল্লার মিসাইল, অদূর ভবিষ্যতে ইউক্রেনের নিরাপত্তা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যপদ। আগেই জার্মানির বিরোধী রাজনীতিকরা বলেছিলেন, চ্যান্সেলর ওলফ শলৎসের ইউক্রেনে যাওয়া উচিত।