1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
সমাজইউক্রেন

মারিউপলে রাশিয়ার যুদ্ধবিরতি

৩১ মার্চ ২০২২

মারিউপল থেকে সাধারণ মানুষদের পালানোর জন্য 'সেফ করিডোর' তৈরি করে দিল রাশিয়া। থাকতে হবে জাতিসংঘকে।

মারিউপল
ছবি: Leon Klein/AA/picture alliance

কার্যত ধ্বংসপ্রাপ্ত মারিউপলে এখনো কয়েক লাখ সাধারণ মানুষ আটকে আছেন। বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল ১০টা থেকে তাদের জন্য যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছে রাশিয়া। তাদের জন্য একটি সেফ করিডোর তৈরি করা হয়েছে। তবে সেই করিডোর রাশিয়ার দখলে থাকা অঞ্চলে গিয়ে শেষ হচ্ছে। রাশিয়া জানিয়েছে, জাতিসংঘের শরণার্থী সংক্রান্ত গোষ্ঠী এবং আন্তর্জাতিক রেডক্রস সোসাইটির প্রতিনিধিদের সেখানে উপস্থিত থাকতে হবে। তাদের ওই করিডোর দিয়ে সাধারণ মানুষকে এসকর্ট করে নিয়ে যেতে হবে।

রাশিয়ার বক্তব্য, কোনোভাবেই যাতে সাধারণ মানুষের উপর আক্রমণ না হয়, তা নিশ্চিত করতে করিডোরে যাওয়ার আগে রাশিয়ার সেনাকে তা জানিয়ে দিতে হবে। মারিউপল থেকে জাপোরিঝঝিয়া হয়ে বারডিয়ানস্ক পৌঁছেছে ওই রাস্তা। বারডিয়ানস্ক এখন রাশিয়ার সেনার দখলে।

তুরস্কে রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের প্রতিনিধিদের বৈঠকে মারিউপলের কথা বার বার উঠে এসেছে। সেখানে সাধারণ মানুষের আটকে পড়ার কথা বলা হয়েছে। ইউক্রেন মোট চারটি রাস্তায় সেফ করিডোর তৈরির কথা বলেছিল। রাশিয়া জানিয়েছে, বাকিগুলিও তারা ভেবে দেখবে।

সমস্যা হলো, এর আগেও মারিউপলে সেফ করিডোর তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু দুই পক্ষেরই অভিযোগ, যুদ্ধবিরতির শর্ত না মেনে সেনাবাহিনী সেই প্যাসেজেও হামলা চালিয়েছে। হামলা হয়েছে রেডক্রসের উপর। চিকিৎসকদের মৃত্যু হয়েছে। রাশিয়ার দাবি, সে কারণেই এবার আগাম খবর দিয়ে করিডোর ব্যবহার করতে বলা হয়েছে।

পূর্ব ইউক্রেনে লড়াই অব্যাহত

মারিউপলে খানিকটা ছাড় দিলেও পূর্ব ইউক্রেনে লড়াই এখনো চলছে। রাশিয়া এখনো গোলাবর্ষণ করে চলেছে। রাশিয়ার গোলাবর্ষণে একটি তেলের ফিল্ডে আগুন লেগে গেছে। একটি কারখানাতেও রকেট হামলা হয়েছে বলে ইউক্রেনের অভিযোগ। তবে এখনো পর্যন্ত এই দুই ঘটনায় কারও মৃত্যুর কথা জানা যায়নি।

পেন্টাগনের দাবি

পেন্টাগন জানিয়েছে, চেরনোবিলের পরমাণু কেন্দ্র থেকে ধীরে ধীরে রাশিয়ার সেনা চলে যেতে শুরু করেছে। ২৪ ফেব্রুয়ারি ওই কেন্দ্রটি দখল করেছিল রাশিয়ার সেনা। চেরনোবিল কেন্দ্র সংলগ্ন শহর থেকেও রাশিয়ার সেনা চলে যেতে শুরু করেছে বলে তারা জানিয়েছে। পেন্টাগন জানিয়েছে, লড়াইয়ের একেবারে প্রথম দফায় ওই এলাকার দখল নিয়েছিল রাশিয়ার সেনা। এখন তারা বেলারুশ দিয়ে ফিরে যাচ্ছে। তবে মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তরের দাবি, রাশিয়া চেরনোবিল ফাঁকা করে দিয়েছে, এমন ভাবার কারণ নেই। খুব ধীরে ধীরে সেখান থেকে তারা সেনা প্রত্যাহার করা হচ্ছে।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি, এএফপি, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ