মারিউপলের একটি বেসমেন্ট থেকে কমপক্ষে ২০০টি দেহ উদ্ধার হয়েছে। আরো অস্ত্রের আর্জি জেলেনস্কির।
বিজ্ঞাপন
কিছুদিন আগে রাশিয়া দাবি করেছিল, মারিউপল এখন তাদের দখলে। মঙ্গলবার সেখানে একটি বাড়ির বেসমেন্ট থেকে অন্তত ২০০টি দেহ উদ্ধার হয়েছে বলে মেয়রের অফিস থেকে জানানো হয়েছে। মেয়রের পরামর্শদাতা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বাড়িটি থেকে পচা গন্ধ বার হচ্ছিল। বেসমেন্টে পৌঁছে দেখা যায়, শয়ে শয়ে দেহ সেখানে পচতে শুরু করেছে। দেহগুলি উদ্ধার করা হয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, ওই দেহগুলির অধিকাংশই বেসামরিক ব্যক্তিদের।
এর আগে বুচায় গণকবরপাওয়া গেছিল। মারিউপলের ঘটনাও নতুন করে বিতর্ক উসকে দিয়েছে। উল্লেখ্য, মারিউপলের একটি স্টিল কারখানা থেকে শেষ লড়াই চালাচ্ছিল ইউক্রেনের সেনারা। গত সপ্তাহে আহত সেই সেনাদের উদ্ধার করে রাশিয়ার দখলে থাকা এলাকায় পাঠানো হয়েছে। ওই সেনাদের রাশিয়া বন্দি করেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
ইউক্রেনে রাশিয়ার বিধ্বস্ত ট্যাংক নিয়ে প্রদর্শনী
ইউক্রেনে হামলা করতে গিয়ে বেশ কিছু সামরিক যান হারিয়েছে রাশিয়া৷ বিধ্বস্ত কিছু ট্যাংক নিয়ে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটির রাজধানীতে আয়োজন করা হয়েছে একটি প্রদর্শনী৷
ছবি: GLEB GARANICH/REUTERS
কিয়েভের কেন্দ্রে প্রদর্শনী
ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর দেশটির রাজধানী কিয়েভে হামলার ঘটনা ঘটলেও বর্তমানে সেখানে আর নতুন হামলার কথা শোনা যাচ্ছে না৷ বরং রাজধানীর কেন্দ্রে এক প্রদর্শনী চলছে, যেখানে রাশিয়ার বিধ্বস্ত বিভিন্ন ট্যাংকসহ সামরিক যান জনসাধারণের দেখার জন্য রাখা হয়েছে৷ ছবিতে এক শিশু একটি ট্যাংক দেখছে৷
ছবি: GLEB GARANICH/REUTERS
রাস্তার পাশে বিধ্বস্ত ট্যাংক
কিয়েভের রাস্তার পাশে পড়ে থাকা এক বিধ্বস্ত রুশ ট্যাংকের পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে একদল তরুণ৷
ছবি: GLEB GARANICH/REUTERS
বিধ্বস্ত ট্যাংকের সামনে শিশু
কিয়েভের কেন্দ্রে প্রদর্শিত একটি বিধ্বস্ত ট্যাংকের সামনে ছবির জন্য পোজ দিচ্ছে এক শিশু৷
ছবি: GLEB GARANICH/REUTERS
খুঁটিয়ে দেখা
কিয়েভে প্রদর্শিত একটি রুশ ট্যাংক খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখছেন একদল ইউক্রেনীয়৷
ছবি: GLEB GARANICH/REUTERS
স্বাভাবিক পরিস্থিতি
বার্তাসংস্থা রয়টার্সের ছবিগুলোতে প্রদর্শনীর স্থানে বেশ স্বাভাবিক পরিস্থিতি দেখা গেছে৷ ছবিতে বিধ্বস্ত ট্যাংকের পাশ দিয়ে সাইকেল চালিয়ে যাচ্ছেন এক ব্যক্তি৷
ছবি: GLEB GARANICH/REUTERS
যুদ্ধের পরিস্থিতি নিয়ে নানা বক্তব্য
ইউক্রেন যুদ্ধের পরিস্থিতি নিয়ে গণমাধ্যমগুলোতে নানা খবর পাওয়া যাচ্ছে৷ সেখানকার প্রকৃত অবস্থা বোঝা এখনো কঠিন৷ দেশটির উপর রাশিয়ার হামলার তিন মাস পর প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি আগামী কয়েক দিনে আরো জোরালো রুশ হামলার আশঙ্কা করছেন৷
ছবি: GLEB GARANICH/REUTERS
6 ছবি1 | 6
দনবাসের পরিস্থিতি
মঙ্গলবার রাতে দৈনিক ভিডিওবার্তায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, দনবাস অঞ্চলের পরিস্থিতি ভয়াবহ। রাশিয়া সমস্ত শক্তি দিয়ে লাইমান, পপাসনা, সেভারোদনেৎস্ক অঞ্চলে লাগাতার আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে। জেলেনস্কির অভিযোগ, রাশিয়া ওই অঞ্চলের সবকিছু সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দিতে চাইছে। বিদেশি শক্তির কাছে ভারি অস্ত্র চেয়েছেন জেলেনস্কি। জানিয়েছেন, ভারি অস্ত্রের সাহায্যেই ওই অঞ্চলে রাশিয়ার সঙ্গে লড়াই করতে হবে। এমএলআর, ট্যাঙ্ক এবং জাহাজ ধ্বংসকারী অস্ত্র চেয়েছেন জেলেনস্কি।
এদিন জেলেনস্কি বলেছেন, ''২০১৪ সালে ক্রাইমিয়া আক্রমণ এবং দখল করে রাশিয়া প্রথম ভুল করেছিল। এবার খেরসন, মেলিটোপল তারা দখল করেছে। ক্রাইমিয়া-সহ এই সমস্ত অঞ্চল এবার তাদের ফেরত দিতে হবে। ওই সমস্ত অঞ্চলে রাশিয়া নিজেদের প্রভু বলে মনে করে, এবার তার অবসান হবে।''
ফরাসি সিজারের প্রশংসা
ফ্রান্স ইউক্রেনের সেনার হাতে ফরাসি হাউইৎসার সিজার তুলে দিয়েছে। প্রপেলার লাগানো এই অস্ত্র ২০ কিলোমিটার দূরে শত্রুর কাঠামো ধ্বংস করতে পারে। ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর প্রধান জানিয়েছেন, ফ্রান্সের দেওয়া ওই অস্ত্র যুদ্ধক্ষেত্রে পৌঁছে গেছে। ওই অস্ত্রের সাহায্যে রাশিয়াকে বেশ কিছু জায়গায় বেগ দেওয়া গেছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
ইউক্রেনের গৃহহীন শিশুদের কথা
২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা শুরুর পর থেকে দেশ ছেড়েছে অন্তত লাখ লাখ মানুষ৷ তাদের মধ্যে নারী আর শিশুই বেশি৷ ছবিঘরে দেখে নিন এমন কিছু শিশুর ছবি আর জানুন তাদের কথা৷
ছবি: KAI PFAFFENBACH/REUTERS
প্রিয় পুতুলের সঙ্গে ঘরছাড়া
রোমানিয়ায় একটি স্পোর্টস অ্যারেনাতে ইউক্রেনের শরণার্থীদের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে৷ সেখানেই ঘুমিয়ে আছে শিশুটি৷ নিজের দেশ, প্রিয় ঘর সব ছেড়ে আসতে হয়েছে, কিন্তু সঙ্গে নিতে ভোলেনি প্রিয় বার্বি পুতুলটিকে৷
ছবি: CLODAGH KILCOYNE/REUTERS
দীর্ঘ যাত্রার ক্লান্তি
ইউক্রেন থেকে ট্রেনে দীর্ঘ যাত্রা শেষে রোমানিয়ার বুখারেস্টে এক শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে এই পরিবারটি৷ দীর্ঘ যাত্রার ক্লান্তিতে ঘুমিয়ে পড়েছে শিশুটি৷ মায়ের মুখে বেদনার ছায়া৷
ছবি: EDGARD GARRIDO/REUTERS
যুদ্ধ কি জানে না যে শিশু
ইউক্রেনের লভিভ থেকে বাসে করেও দেশ ছাড়ছেন অনেকে৷ একটি বাসে বাবার পাশে বসে ক্যামেরার উদ্দেশে মিষ্টি করে হেসে হাত নাড়ছে শিশুটি৷ তার জন্য হয়ত এটা বেড়াতে যাওয়া৷ নিজের দেশ, ঘর ছেড়ে যাওয়ার যন্ত্রণার অনুভূতি এখনো তার অজানা ৷
ছবি: PAVLO PALAMARCHUK/REUTERS
ভাই-বোনের ট্রেনের অপেক্ষা
ইউক্রেনের এলভিভ রেলস্টেশনের বাইরে দাঁড়িয়ে আছে ভাই৷ কোলে ঘুমন্ত ছোট্ট বোন৷ ইউক্রেন ছাড়ার ট্রেনের অপেক্ষায় তারা৷
ছবি: KAI PFAFFENBACH/REUTERS
গন্তব্যের অপেক্ষা
ইউক্রেনের কিয়েভ থেকে সিরাত সীমান্ত দিয়ে রোমানিয়ায় প্রবেশ করেছে ছোট্ট আলোকসান্দ্রা আর তার মা৷ এখন গন্তব্য রাজধানী বুখারেস্ট৷ ট্রেন স্টেশনে অপেক্ষা করার সময় মায়ের ফোনে কার্টুন দেখছে সে৷
ছবি: CLODAGH KILCOYNE/REUTERS
বার্লিনের পথে
পোল্যান্ডের ক্রাকাও থেকে বার্লিনে যাচ্ছেন ইউক্রেন থেকে পালিয়ে আসা এই মা৷ ট্রেনে ঘুমিয়ে পড়েছে দুই সন্তান৷ কিন্তু মায়ের চোখে ঘুম নেই৷ অজানা ভবিষ্যতের পথে চলেছেন৷ তাই চোখে হতাশা আর উৎকণ্ঠা৷
ছবি: FABRIZIO BENSCH/REUTERS
নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে
পোল্যান্ডের ক্রাকাও থেকে জার্মানির রাজধানী বার্লিন যাচ্ছে ট্রেনটি৷ ইউক্রেন থেকে পালিয়ে আসা অনেক মানুষ এই ট্রেনটিতে৷ গাদাগাদি করে বসেছেন নারী ও শিশুরা৷ নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে চলেছেন তারা৷
ছবি: FABRIZIO BENSCH/REUTERS
দেশ ছাড়ার অপেক্ষা
ইউক্রেনের লভিভ রেলস্টেশনে হাজারো মানুষের ভিড়৷ অনেক শিশু রয়েছে সেখানে৷
ছবি: PAVLO PALAMARCHUK/REUTERS
ফেলে আসা প্রিয়জন
৩২ বছর বয়সি আনা, সন্তানদের নিয়ে পোল্যান্ডের ক্রাকাও থেকে বুদাপেস্ট যাওয়ার ট্রেনে উঠেছেন৷ ইউক্রেনে থেকে গেছেন তার স্বামী অর্থোডক্স চার্চের যাজক মিখাইল পিটনিস্কি৷ অনিশ্চিত ভবিষ্যতের পথে যাত্রা৷ তাই চোখের জল বাঁধ মানছে না আনার৷
সেনাপ্রধানের বক্তব্য, ফরাসি হাউইৎসারের সবচেয়ে ভালো দিক হলো, তাতে চাকা লাগানো আছে। ফলে খুব সহজে তা এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় সরিয়ে নেওয়া যায়। বস্তুত, ইউক্রেনের সেনা জায়গা বদলে বদলে ওই অস্ত্র ব্যবহার করায় লাভ বেশি হচ্ছে বলে তিনি জানিয়েছেন। এর জন্য ফ্রান্সকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।
দনেৎস্কে আরো একটি শহর রাশিয়ার দখলে দনেৎস্কে আরো একটি শহর মঙ্গলবার দখল করে নিয়েছে রাশিয়ার সেনা। সবমিলিয়ে ওই অঞ্চলের তিনটি জায়গা রাশিয়া দখলে নিয়েছে। স্থানীয় ইউক্রেনীয় সেনাই খবরটি প্রচার করেছে। যে শহরটি রাশিয়া সর্বশেষ দখল করেছে, তার খুব কাছেই ইউক্রেনের সবচেয়ে বড় তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। পূর্ব ইউক্রেনের এই অঞ্চলেই রাশিয়া সমস্ত শক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে।
রাশিয়ার সেনায় পরিবর্তন
রাশিয়ার প্রশাসন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আপাতত সেনা বাহিনীতে বয়সের ঊর্ধ্বসীমা থাকবে না। বুধবারই দেশের পার্লামেন্টে বিলটি বিতর্কের জন্য তোলা হতে পারে। রাশিয়ার সেনায় যোগ দেওয়ার বয়সসীমা ১৮ থেকে ৪০। তবে রাশিয়ার নাগরিক না হলে ঊর্ধ্বসীমা ৩০ বছর। নতুন বিলে বলা হয়েছে, এমন অনেক কাজ থাকে যেখানে অভিজ্ঞতা জরুরি। মধ্য তিরিশের পর থেকে যে অভিজ্ঞতা সঞ্চিত হয়। সে জন্যই সেনাবাহিনীতে বয়সে ঊর্ধ্বসীমা তুলে দেওয়া প্রয়োজন।
বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, চলতি যুদ্ধে রাশিয়ার সেনাবাহিনীর বিপুল ক্ষতি হয়েছে। বহু জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। সে জন্যই এমন আপৎকালীন বিল নিয়ে আসা হচ্ছে।