আফগানিস্তানের কাবুলে অবস্থিত অ্যামেরিকান ইউনিভার্সিটির দুই শিক্ষককে গত আগস্টে অপহরণ করে তালেবান৷ বুধবার প্রকাশিত এক ভিডিওতে তাঁরা মুক্তি পেতে ট্রাম্পের সহায়তা চেয়েছেন৷
বিজ্ঞাপন
গত বছরের আগস্টের ৭ তারিখে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছ থেকে তুলে নিয়ে যায় তালেবান৷ পুলিশের পোশাকে বন্দুক ঠেকিয়ে তাঁদের অপহরণ করা হয়৷ এই ঘটনার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার নির্দেশে যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিশেষ বাহিনী দু'জনকে ছাড়াতে অভিযান পরিচালনা করে৷ তবে যে স্থানে জিম্মিদের রাখা হয়েছে বলে অভিযান চালানো হয় সেখানে তাঁদের পাওয়া যায়নি বলে সেপ্টেম্বরে জানিয়েছিল পেন্টাগন৷
অপহৃত হওয়া দুই শিক্ষকের একজন মার্কিন নাগরিক কেভিন কিং, অন্যজন অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক টিমোথি উইকস৷
যুদ্ধের ডামাডোলে অবোধ অসহায় শিশু
চার বছরেরও বেশি হয়ে গেল সিরিয়ায় যুদ্ধ চলছে৷ ইরাক আর আফগানিস্তানেও চলছে বড়দের ক্ষমতার লড়াই৷ তার মাঝেই নিরীহরা লড়ছে বেঁচে থাকার আপ্রাণ লড়াই৷ শিশুরাই বেশি অসহায়৷
ছবি: picture-alliance/dpa/G. Habibi
আশ্রিতের কষ্ট
সিরিয়া থেকে প্রাণ রক্ষার্থে এখনো শত শত মানুষ আসছে ইউরোপে৷ জীবন হাতে নিয়ে কোনো রকমে সাগর পার হয়ে ইউরোপে পা রাখতে পারলেই স্বস্তি৷ গ্রিসের একটি দ্বীপে পৌঁছানোর পর তেমন স্বস্তিই অশ্রু হয়ে ঝরছে এক শরণার্থীর চোখ থেকে৷
ছবি: Reuters/D. Michalakis
যুদ্ধক্ষেত্রের স্বাভাবিকতা
সিরিয়ার এই দুটি শিশুর কাছে যুদ্ধই এখন স্বাভাবিক ঘটনা৷ তাই মৃত্যুভয় নিয়েও তারা হাসতে জানে, খেলতে পারে৷ একটু আগেও ওরা খেলেছে, তবে এখন ওরা যুদ্ধ থামার অপেক্ষায়৷ যুদ্ধটা একটু থামলেই এক দৌড়ে বাবা-মায়ের কাছে যাবে৷
ছবি: DW/Kamal Sheikho
পিতা-পুত্র
দেশের সীমানা একবার পার হতে পারলে সিরীয়রা প্রথমে যায় তুরস্কে, তারপর সোজা ইউরোপে৷ ছবির এই পিতা-পুত্র তুরস্কের সীমান্তেই পুলিশি বাঁধার মুখে অসহায়৷
ছবি: Getty Images/AFP/B. Kilic
তবু আনন্দ জাগে
তুরস্কের এক শরণার্থী শিবির৷ সেখানে শিশুদেরও মেনে নিতে হয় মানবেতর জীবন৷ তবু সুযোগ বা উপলক্ষ্য পেলেই আনন্দে মাতে তাদের মন৷ এই শিশুটিও মেতেছে আনন্দে৷
ছবি: picture-alliance/AA/I. Erikan
অস্ত্র নিয়ে হাসি-তামাশা
এই শিশুটি আফগানিস্তানের৷ তার বাবাও জঙ্গি৷ আরেক জঙ্গি খুনসুটিতে মেতেছে তার সঙ্গে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/G. Habibi
5 ছবি1 | 5
তালেবান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ বুধবার অনলাইনে ভিডিওটি প্রকাশ করেন৷ এর মাধ্যমে ঐ দুই জিম্মির এখনও বেঁচে থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়৷
ট্রাম্পের কাছে আরজি
ভিডিওতে টিমোথি উইকসকে তাঁদের দু'জনের মুক্তির উদ্যোগ নিতে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে অনুরোধ করতে শোনা গেছে৷ উইকস জানান, জানুয়ারির ১ তারিখে ভিডিওটি করা হয়েছে৷ বাগরাম এয়ার ফিল্ড ও কাবুলের পুল-ই-চারখিতে থাকা বন্দিদের যদি যুক্তরাষ্ট্র ছেড়ে দেয় তাহলে এই দুই জিম্মিকে মুক্তি দেয়া হবে বলে জানিয়েছে তালেবান৷
উইকস ভিডিওতে বলেন, ‘‘তাদের (যাদের মুক্তি চাইছে তালেবান) সেখানে অবৈধভাবে বন্দি করে রাখা হয়েছে৷ তালেবান বলেছে, বন্দিদের ছেড়ে দিলে আমাদের মুক্ত করে দেবে৷ কিন্তু যদি তা না করা হয় তাহলে আমাদের হত্যা করা হবে৷''
তিনি বলেন, ‘‘ডোনাল্ড ট্রাম্প, স্যার, প্লিজ, আমি বলছি বিষয়টি (আমাদের মুক্তি) আপনার হাতে৷ দয়া করে আপনি তালেবানের সঙ্গে আলোচনা করুন৷ আপনি যদি আলোচনা না করেন, তাহলে আমরা মরে যাব৷''
উল্লেখ্য, আফগানিস্তানে তালেবানের হাতে বিদেশিদের অপহৃত হওয়ার ঘটনা নতুন নয়৷ গত বছর তালেবানের প্রকাশিত অন্য এক ভিডিওতে আরেক মার্কিন নাগরিক ও তার ক্যানাডীয় স্বামীকে দেখা গিয়েছিল৷
জেডএইচ/ডিজি (এএফপি, রয়টার্স)
আফগানিস্তানে জীবন ও যুদ্ধ
দীর্ঘদিন ধরে আফগানিস্তানের ছবি তুলছেন ইরানের ফটোগ্রাফার মাজিদ সাঈদি৷ ছবিগুলো অনেক আন্তর্জাতিক পুরস্কারও এনে দিয়েছে তাঁকে৷ চলুন তাঁর ক্যামেরার চোখে দেখা যাক আফগানিস্তানকে৷
ছবি: Majid Saeedi
খেলনা!
কাবুলে যু্দ্ধাহতদের জন্য তৈরি একটা নকল হাত নিয়ে খেলছে দুই কিশোরী৷ এমন কিছু ছবিই তেহরানের মাজিদ সাঈদিকে এনে দিয়েছে বেশ কিছু পুরস্কার৷
ছবি: Majid Saeedi
ছবিই বলে হাজার কথা
১৬ বছর বয়স থেকে ছবি তুলছেন মাজিদ৷ মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের কারণে মানবিক বিপর্যয়ের দিকেই তাঁর সমস্ত মনযোগ৷ জার্মানির ডেয়ার স্পিগেল, যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক টাইমসের মতো ম্যাগাজিন এবং আন্তর্জাতিক পত্রিকায় ছাপা হয় তাঁর তোলা ছবি৷
ছবি: Majid Saeedi
আফগানিস্তানের শিশুরা
ডিডাব্লিউকে সরবরাহ করা মাজিদের ছবির অনেকগুলোতেই ফুটে উঠেছে আফগান শিশুদের জীবনে যুদ্ধের প্রভাব৷ এ ছবিটি যুদ্ধের কারণে হাত হারানো এক আফগান শিশুর৷
ছবি: Majid Saeedi
মাদকের অভিশাপ
আফগানিস্তানের খুব বড় এক সমস্যা মাদক৷ বলা হয়ে থাকে বিশ্বের শতকরা ৯০ ভাগ মাদকদ্রব্যই নাকি উৎপন্ন হয় আফগানিস্তানে৷ বিশ্বে সবচেয়ে বেশি আফিম হয় দেশটিতে৷ দেশের অনেক নাগরিক আফিমসেবী৷ জাতিসংঘের দেয়া তথ্য অনুযায়ী আফগানিস্তানের অন্তত তিন লক্ষ শিশু নিয়মিত আফিম সেবন করে৷
ছবি: Majid Saeedi
রোল কল
কাবুলের এক অ্যাকাডেমিতে প্রশিক্ষণ শুরুর আগে ক্যাডেটদের রোল কল চলছে৷ জার্মান সেনাবাহিনী ‘বুন্ডেসভেয়ার’ আফগান নিরাপত্তাকর্মীদের অনেক আগে থেকেই প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছিল৷ প্রশিক্ষণের লক্ষ্য, আফগান সেনাবাহিনী এবং পুলিশকে দেশের নিরাপত্তা রক্ষায় আত্মনির্ভরশীল করে তোলা৷ ২০১৪ সালের শেষেই অবশ্য আফগানিস্তান থেকে নিজেদের সেনা সদস্যদের প্রত্যাহার করে নিয়েছে জার্মানি৷
ছবি: Majid Saeedi
ভয়ংকর শৈশব
স্কুলে লেখাপড়া করতে যাওয়ার সুযোগ শিশুদের কমই মেলে৷ স্কুলে গেলে নগণ্য কারণেও হতে হয় শিক্ষকের কঠোর শাসনের শিকার৷ তা সহ্য করেও পুরো সময় থাকা হয়না, পরিবারের জন্য টাকা রোজগার করতে আগেভাগেই স্কুল থেকে বেরিয়ে পড়তে হয় তাদের৷ আফগানিস্তানে শিক্ষার হার খুবই কম৷ ২০১১ সালে জার্মান সরকারের উদ্যোগে একটি তথ্যবিবরণী প্রকাশ করা হয়েছিল৷ তখন আফগানিস্তানের শতকরা ৭২ ভাগ পুরুষ আর ৯৩ ভাগ নারীই ছিল নিরক্ষর৷
ছবি: Majid Saeedi
বোরখা এবং পুতুল
আফগান নারীরা পুতুল বানাতে শেখার ক্লাসে৷ মালয়েশিয়ার একটি বেসরকারি সংস্থার অর্থায়নে এখানে পুতুল বানাতে শেখানো হয় তাঁদের৷ আফগান নারীদের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করার জন্যই এ উদ্যোগ৷
ছবি: Majid Saeedi
তালেবানের প্রতিশোধ
২০১১ সালে ওসামা বিন লাদেনকে হত্যা করার পরই আফগানিস্তানে হামলা চালায় তালেবান৷ প্রতিশোধমূলক সে হামলায় প্রাণ যায় চারজনের, আহত হয়েছিলেন ৩৬ জন৷ ছবিতে দু’জন আহতকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে দেখা যাচ্ছে৷
ছবি: Majid Saeedi
খেলাধুলা
হাড়ভাঙা খাটুনি শেষে একটু বিশ্রাম৷ আফগানিস্তানে শরীর চর্চা খুব জনপ্রিয়৷
ছবি: Majid Saeedi
যুদ্ধের আবাদ
গত ৩০টি বছর ভীষণ প্রভাব ফেলেছে আফগানদের জীবনে৷ জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই দেখা যায় যুদ্ধের প্রভাব৷
ছবি: Majid Saeedi
মাদ্রাসা
কান্দাহারের মাদ্রাসায় অধ্যয়নরত শিশুরা৷
ছবি: Majid Saeedi
হত্যার প্রশিক্ষণ
কুকুরের লড়াইও আফগানিস্তানে খুব জনপ্রিয়৷ কুকুরদের এমনভাবে লড়াই করতে শেখানো হয় যাতে তারা প্রতিপক্ষকে একেবারে মেরে ফেলে৷ কুকুরের জীবনেও যুদ্ধের প্রভাব!