মার্কিন ও জার্মান সেনারা এক্ষুনি আফগানিস্তান ছাড়ছে না
১৬ অক্টোবর ২০১৫
আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানির বাকি সৈন্য এখনি প্রত্যাহার করা হবে না৷ বারাক ওবামা জানিয়েছেন, ২০১৬ সালের পরও আফগানিস্তানে থাকবে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী৷ জার্মান সরকারও একই সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷
বিজ্ঞাপন
আফগানিস্তানে জার্মান সেনা
এক্ষুনি আফগানিস্তান থেকে ফিরছে না জার্মান সেনারা৷ আফগানদের নিরাপত্তার স্বার্থেই সেনা সদস্যদের আরো কিছুদিন সেখানে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জার্মানি৷ ছবিঘরে থাকছে আফগানিস্তানে জার্মান সেনাদের অবদান ও তৎপরতা নিয়ে কিছু তথ্য৷
ছবি: picture alliance / JOKER
যেখানে প্রশিক্ষণ দেয় জার্মানরা
এই ক্যাম্প মারমালেই আফগান সেনাদের প্রশিক্ষণ দেয় জার্মান সেনাবাহিনীর সদস্যরা৷ এই মুহূর্তে ৬৫০ জন জার্মান সেনাসদস্য সেখানে প্রশিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/M. Gambarini
শুরু যেভাবে
২০০২ সালের ১১ই জানুয়ারি আফগানিস্তানে প্রথম দফা সৈন্য পাঠায় জার্মানি৷ সেবার ৭০ জন সেনা সদস্যকে কাবুলে পাঠিয়েছিল জার্মান সরকার৷ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সেই প্রথম ইউরোপের বাইরে যায় জার্মানির সৈন্য৷ আফগানিস্তানে এক সময় জার্মান সৈন্যের সংখ্যা বেড়ে ৫৩৫০ হয়েছিল৷
ছবি: picture-alliance/dpa
আফগানিস্তানে জার্মান সেনাদের অবদান
এই মুহূর্তে মোট ৮৭০ জন জার্মান সেনা আছে আফগানিস্তানে৷ তাঁদের মূল কাজ আফগান পুলিশ এবং সেনা সদস্যদের সামরিক প্রশিক্ষণ দেয়া৷ ২০১৪ সাল পর্যন্ত ৬০ হাজারের চেয়েও বেশি আফগান পুলিশ ও সেনা সদস্য সামরিক প্রশিক্ষণ নিয়েছেন৷
ছবি: AFP/Getty Images/J. Eisele
প্রথম নিহত জার্মান সেনা
২০০২ সালের মার্চ মাসে কাবুলে এক বোমা হামলায় দু’জন জার্মান এবং তিনজন ডেনিশ সৈন্য মারা যায়৷ ওই দু’জনই আফগানিস্তানে প্রাণ দেয়া প্রথম জার্মান সৈন্য৷ তারপর অবশ্য মৃতের সংখ্যা বেড়েছে৷ এ পর্যন্ত মোট ৫৫ জন জার্মান সেনা মারা গেছেন আফগানিস্তানে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
উন্নয়ন কাজে জার্মানি
সেনা প্রশিক্ষণের পাশাপাশি অন্য কিছু উন্নয়ন কর্মেও ভূমিকা রাখছে জার্মানি৷ বিদেশি সেনা প্রত্যাহার শুরুর পর থেকে উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সুযোগ এবং প্রয়োজন আরো বেড়েছে৷
ছবি: picture-alliance/Joker
আফগানিস্তানে জার্মান সেনাবাহিনীর কালো অধ্যায়
২০০৯ সালের সেপ্টেম্বরে দু’টি তেলের ট্রাক তালেবান দখল করে নিয়েছে শুনে জার্মান সেনাদের কুন্দুসে বিমান হামলা চালানোর নির্দেশ দেন কর্নেল গেওর্গ ক্লাইন৷ সেই হামলায় ৯১ জন সাধারণ নাগরিক মারা যায়৷
ছবি: DW/M. Saifullah
6 ছবি1 | 6
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা জানিয়েছেন, আফগানিস্তানে এখন যুক্তরাষ্ট্রের যে ৯ হাজার ৮০০ সৈন্য আছে তাঁদের ২০১৬ সালেও ফিরিয়ে নেয়া হবে না৷ এ সিদ্ধান্তকে ‘এ মুহূর্তে ঠিক কাজ' বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি৷
এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণের পক্ষে যুক্তি দেখাতে গিয়ে ওবামা বলেছেন, ‘কমান্ডার ইন চিফ হিসেবে আমি কখনোই যুক্তরাষ্ট্র আবার আক্রমণ করার জন্য আফগানিস্তানকে জঙ্গিদের অভয়ারণ্য হতে দেবো না৷''
দু'সপ্তাহ আগে আফগানিস্তানের কুন্দুস শহর দখল করে নেয় তালেবান৷ ২০০১ সালের পর এটাই তালেবানের সবচেয় বড় সামরিক সাফল্য৷ তাদের এমন সাফল্যের কারণে যুক্তরাষ্ট্র মনে করছে, এখনো শুধু নিজেদের সেনাবাহিনী দিয়ে তালেবানকে মোকাবেলা করার সক্ষমতা অর্জন করতে পারেনি আফগানিস্তান৷
সে কারণেই যুক্তরাষ্ট্রের সেনাসদস্যদের আফগানিস্তানে অবস্থানের মেয়াদ দীর্ঘ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ওবামা৷ আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি যুক্তরাষ্ট্রের এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন৷ ওবামার সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়ে টুইটও করেছেন তিনি৷
জার্মানিও আফগানিস্তান থেকে এখনই সৈন্য প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে৷ জার্মান সৈন্যরাও আরো কিছু দিন আফগানিস্তানে আফগান পুলিশ ও সেনা সদস্যদের সেনাপ্রশিক্ষণ দেয়ার কাজ করবে৷ কবে নাগাদ সৈন্যদের ফিরিয়ে নেয়া হতে পারে সে সম্পর্কে এখনো সুনির্দিষ্ট কিছু জানায়নি জার্মান সরকার৷
আফগানিস্তানে জার্মান সেনা
এক্ষুনি আফগানিস্তান থেকে ফিরছে না জার্মান সেনারা৷ আফগানদের নিরাপত্তার স্বার্থেই সেনা সদস্যদের আরো কিছুদিন সেখানে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জার্মানি৷ ছবিঘরে থাকছে আফগানিস্তানে জার্মান সেনাদের অবদান ও তৎপরতা নিয়ে কিছু তথ্য৷
ছবি: picture alliance / JOKER
যেখানে প্রশিক্ষণ দেয় জার্মানরা
এই ক্যাম্প মারমালেই আফগান সেনাদের প্রশিক্ষণ দেয় জার্মান সেনাবাহিনীর সদস্যরা৷ এই মুহূর্তে ৬৫০ জন জার্মান সেনাসদস্য সেখানে প্রশিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/M. Gambarini
শুরু যেভাবে
২০০২ সালের ১১ই জানুয়ারি আফগানিস্তানে প্রথম দফা সৈন্য পাঠায় জার্মানি৷ সেবার ৭০ জন সেনা সদস্যকে কাবুলে পাঠিয়েছিল জার্মান সরকার৷ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সেই প্রথম ইউরোপের বাইরে যায় জার্মানির সৈন্য৷ আফগানিস্তানে এক সময় জার্মান সৈন্যের সংখ্যা বেড়ে ৫৩৫০ হয়েছিল৷
ছবি: picture-alliance/dpa
আফগানিস্তানে জার্মান সেনাদের অবদান
এই মুহূর্তে মোট ৮৭০ জন জার্মান সেনা আছে আফগানিস্তানে৷ তাঁদের মূল কাজ আফগান পুলিশ এবং সেনা সদস্যদের সামরিক প্রশিক্ষণ দেয়া৷ ২০১৪ সাল পর্যন্ত ৬০ হাজারের চেয়েও বেশি আফগান পুলিশ ও সেনা সদস্য সামরিক প্রশিক্ষণ নিয়েছেন৷
ছবি: AFP/Getty Images/J. Eisele
প্রথম নিহত জার্মান সেনা
২০০২ সালের মার্চ মাসে কাবুলে এক বোমা হামলায় দু’জন জার্মান এবং তিনজন ডেনিশ সৈন্য মারা যায়৷ ওই দু’জনই আফগানিস্তানে প্রাণ দেয়া প্রথম জার্মান সৈন্য৷ তারপর অবশ্য মৃতের সংখ্যা বেড়েছে৷ এ পর্যন্ত মোট ৫৫ জন জার্মান সেনা মারা গেছেন আফগানিস্তানে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
উন্নয়ন কাজে জার্মানি
সেনা প্রশিক্ষণের পাশাপাশি অন্য কিছু উন্নয়ন কর্মেও ভূমিকা রাখছে জার্মানি৷ বিদেশি সেনা প্রত্যাহার শুরুর পর থেকে উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সুযোগ এবং প্রয়োজন আরো বেড়েছে৷
ছবি: picture-alliance/Joker
আফগানিস্তানে জার্মান সেনাবাহিনীর কালো অধ্যায়
২০০৯ সালের সেপ্টেম্বরে দু’টি তেলের ট্রাক তালেবান দখল করে নিয়েছে শুনে জার্মান সেনাদের কুন্দুসে বিমান হামলা চালানোর নির্দেশ দেন কর্নেল গেওর্গ ক্লাইন৷ সেই হামলায় ৯১ জন সাধারণ নাগরিক মারা যায়৷