মার্কিন কংগ্রেসে জলবায়ু নিয়ে ভাষণ দেবেন ম্যার্কেল
২ নভেম্বর ২০০৯সেই ১৯৫৭ সালের কথা৷ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ উত্তর সেই পৃথিবীতে তখন জার্মানি এক ঠান্ডা যুদ্ধের বাতাবরণে আচ্ছন্ন৷ যুদ্ধে পরাজিত, বিদ্ধস্ত এবং পূর্ব পশ্চিমে দুইভাগে বিভক্ত জার্মানি তখন বিশ্ব মানচিত্রে অত্যন্ত দুর্বল অবস্থানে ছিল৷ সেদিনের জার্মান চ্যান্সেলর কনরাড আডেনআওয়ার ১৯৫৭ সালে মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দিয়েছিলেন৷ সেদিনের পর দীর্ঘদিন পেরিয়েছে, এতদিন পর আবার কোন জার্মান চ্যান্সেলর ভাষণ দেবেন মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে৷ যেকোন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের জীবনে এ এক মস্ত বড় সম্মানের বিষয়৷ এ পর্যন্ত ন্যুনাধিক একশোজন ব্যক্তিত্ব এই সম্মানসূচক আহ্বান পেয়েছেন৷
ঠান্ডা যুদ্ধ চলাকালীন পাঁচের দশকের পর এখন দুনিয়া বদলে গেছে অতিদ্রুত৷ নয়ের দশকের গোড়ায় দুই জার্মানির পুনরেকত্রীকরণের গরিমাময় ঘটনার পর জার্মানি বিশ্ব মানচিত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি দেশ এখন৷ বিশ্বের বড় সমস্যাগুলির সমাধানে আজ জার্মানির ভূমিকা অতীব প্রয়োজনীয়৷ যেমন এই মুহূর্তে যে সমস্যাটি নিয়ে বিশ্বজুড়ে দুশ্চিন্তা, সেই জলবায়ু পরিবর্তন রোধে গ্রীণ হাউজ গ্যাসের নির্গমন কমানোর দিকে লক্ষ্য দিতেই হবে৷ জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল তাঁর মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনের ভাষণে এই বিষয়টিকেই তুলে ধরতে চলেছেন৷ তিনি মার্কিন কংগ্রেসের সদস্যদের অবহিত করতে চান, আদতে বিশ্বজুড়ে কীরকম আতঙ্কময় পরিস্থিতি৷ পাশাপাশি পরিবেশের দূষণ সৃষ্টিকারী গ্রীণ হাউজ গ্যাস নির্গমনের মাত্রা কমানোর দিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিজের গাফিলতির দিকটাও তুলে ধরবেন ম্যার্কেল৷ আর্জি জানাবেন এ বিষয়ে আশু নজর দেওয়ার প্রয়োজনীয়তার ওপর৷
রবিবারই সংক্ষিপ্ত যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাত্রা করে আটলান্টিকের অন্য তীরের দিকে উড়ে গেলেন চ্যান্সেলর ম্যার্কেল বার্লিন থেকে৷ তাঁর এই সংক্ষিপ্ত সফরের আরও বিষয় রয়েছে৷ কোপেনহাগেনে আগামী ডিসেম্বর মাসে শুরু হবে আন্তর্জাতিক পরিবেশ সম্মেলন৷ সেই সম্মেলন শুরু হওয়ার আগে একবার সে বিষয়ে ওয়াশিংটনকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে অবহিতও করতে চান জার্মান চ্যান্সেলর৷
প্রতিবেদন- সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়
সম্পাদনা- হোসাইন আব্দুল হাই