মার্কিন কৃষি পণ্যে শুল্ক আরোপ, ট্রাম্পকে চীনের ‘জবাব'
৪ মার্চ ২০২৫
চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্য উত্তেজনা আবারো বাড়তে শুরু করেছে৷ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সম্প্রতি চীনা পণ্যের ওপর অতিরিক্ত ১০% শুল্ক আরোপ করেন৷ ফেব্রুয়ারির ১০ ভাগসহ ৪ মার্চ থেকে চীনা পণ্য আমদানির ওপর ২০ ভাগ শুল্ক কার্যকর হয়৷ যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, চীন মাদক পাচার রোধে যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছে না৷ এর প্রতিক্রিয়ায় চীন মার্কিন কৃষি ও খাদ্যপণ্যের ওপর নতুন শুল্ক বসিয়েছে৷ ২৫টি মার্কিন কোম্পানির বিরুদ্ধে রপ্তানি ও বিনিয়োগ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে৷
চীন মুরগির মাংস, গম, ভুট্টা ও তুলার ওপর ১৫% শুল্ক আরোপ করেছে৷ আর সয়াবিন, সরগাম বা জোয়ার, গরুর মাংস, শূকরের মাংস, ফল, শাকসবজি ও দুগ্ধজাত পণ্যের ওপর ১০% শুল্ক আরোপ করেছে৷
চীনের অবস্থান
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা কখনোই কোনো প্রকার হুমকি বা চাপের কাছে নতিস্বীকার করবে না৷ চীন এই শুল্ক আরোপকে যুক্তরাষ্ট্রের ‘ব্ল্যাকমেইল' নীতি বলে মনে করছে৷ তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, চীন এখনো আলোচনার দরজা খোলা রেখেছে৷
অর্থনৈতিক প্রভাব
এই বাণিজ্য যুদ্ধ মার্কিন কৃষকদের জন্য বড় ধাক্কা হতে পারে, কারণ চীন যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম কৃষিপণ্য বাজার৷ এমনিতেই চীনের বাজারে মার্কিন কৃষিপণ্যের আমদানি কমেছে৷ যেমন, ২০২৪ সালে চীন যুক্তরাষ্ট্র থেকে দুই হাজার ৯২৫ কোটি ডলারের কৃষিপণ্য আমদানি করেছিল, যা ২০২২ সালে ছিল চার হাজার ২৮০ কোটি ডলার৷
ভবিষ্যৎ পূর্বাভাস
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, যদি দুই দেশ আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতায় না পৌঁছায়, তবে এই শুল্ক হার ৬০% পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে৷ এতে সরবরাহ ব্যবস্থায় বড় ধরনের প্রভাব পড়বে এবং মার্কিন কৃষকদের জন্য বিকল্প বাজার খোঁজার প্রয়োজন হবে৷
বিশ্লেষকরা মনে করেন, চীন-মার্কিন বাণিজ্য যুদ্ধের এই নতুন অধ্যায় উভয় দেশের অর্থনীতির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে৷ যদিও চীন আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতায় পৌঁছানোর ইঙ্গিত দিয়েছে, তবে পরিস্থিতি আরও জটিল হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে৷
জেডএ/এসিবি (রয়টার্স)