1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সিআইএ স্টেশন প্রধানকে নির্দেশ

১১ জুলাই ২০১৪

বার্লিনে অবস্থানরত সিআইএ-র স্টেশন প্রধানকে দেশ ছাড়তে বলেছে জার্মান সরকার৷ গোপনে গোয়েন্দা তৎপরতা পরিচালনার দু'টি সাম্প্রতিক ঘটনা এবং গত এক বছর ধরে চলা বিতর্কের প্রেক্ষিতে এই সিন্ধান্ত নিয়েছে জার্মানি৷

ছবি: imago/Roland Mühlanger

মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা এনএসএ-র তৎপরতা সম্পর্কে গত বছরই জেনেছিল জার্মানির সাধারণ মানুষ৷ এনএসএ এজেন্ট এডওয়ার্ড স্নোডেনের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলসহ শীর্ষ রাজনীতিবিদদের উপর গোপনে নজর রাখছিল মার্কিন গোয়েন্দারা৷ এমনকি তাঁদের মোবাইলে আড়াপাতা হয়েছে বলেও জানান স্নোডেন৷

বন্ধু রাষ্ট্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এ রকম আচরণে স্বাভাবিকভাবেই ক্ষুব্ধ হন জার্মান রাজনীতিবিদরা৷ তবে বিষয়টির প্রতিবাদে কার্যত কোনো উদ্যোগ এতকাল দেখা যায়নি৷ বৃহস্পতিবার নাটকীয়ভাবে সিআইএ স্টেশন প্রধানকে বহিষ্কারের ঘোষণা দেয় জার্মান সরকার৷

সরকারের মুখপাত্র স্টেফেন সিবার্ট এক বিবৃতিতে জানান, ‘‘বার্লিনের মার্কিন দূতাবাসে অবস্থানরত মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তাকে জার্মানি ত্যাগ করতে বলা হয়েছে৷'' জার্মান সরকার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে নিয়েছে বলেও জানান তিনি৷

এনএসএ-র তৎপরতার জেরে নাটকীয়ভাবে সিআইএ স্টেশন প্রধানকে বহিষ্কারের ঘোষণা দিয়েছে জার্মান সরকারছবি: imago/avanti

এদিকে, মার্কিন গোয়েন্দারা জার্মানি সম্পর্কে গোপনে যেসব তথ্য সংগ্রহ করেছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে, সেগুলো হাস্যকর পর্যায়ের বলে মন্তব্য করেছেন জার্মানির শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তা৷ তবে এভাবে তথ্য সংগ্রহের রাজনৈতিক ক্ষতি মারাত্মক বলে জানিয়েছেন তিনি৷

গত দশদিনে দু'টি ভিন্ন মামলায় একজনকে গ্রেপ্তার এবং অপর একজন মানুষের বিরুদ্ধে বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার চর সন্দেহে তদন্ত চলছে৷ জার্মান গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, এই দুই ব্যক্তি মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাকে গোপনে তথ্য সরবরাহ করেছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে৷

জার্মান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টোমাস দেমেজিয়ের জানিয়েছেন, এ ধরনের তথ্য সংগ্রহের উদ্দেশ্য এবং কারা এর সঙ্গে জড়িত তা এখনো পরিষ্কার নয়৷ তবে এই বিষয়ে বিভিন্ন পর্যায়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা চলছে৷

তিনি বলেন, ‘‘এখন পর্যন্ত আমরা যতটা জানি, বিষয়টি যদি এখানেই স্থির থাকে তাহলে বলা যায় যে, সন্দেহভাজন গোয়েন্দাদের সংগৃহীত তথ্যগুলো ‘হাস্যকর' পর্যায়ের৷'' তবে এভাবে তথ্য সংগ্রহের রাজনৈতিক ক্ষতি মারাত্মক বলেও মন্তব্য করেন তিনি৷

প্রসঙ্গত, জার্মানির শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তা দেমেজিয়ের-এর উত্তরসূরি ছিলেন বর্তমান অর্থমন্ত্রী ভল্ফগাং শয়েবলে৷ এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, মার্কিন গোয়েন্দাদের গোপন গুপ্তরচরবৃত্তির কথা জেনে চ্যান্সেলর ম্যার্কেল মোটেই ‘আমোদিত' নন৷

এআই/ডিজি (এপি, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ