মার্কিন জেলেও ছড়িয়েছে করোনা। দ্রুত সেখানে টিকা দেয়া প্রয়োজন। কিন্তু প্রশাসন ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
বিজ্ঞাপন
অ্যামেরিকায় করোনার টিকা চালু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু আপাতত জেলবন্দিদের জন্য টিকা দেয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই সরকারের। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, শুরুতেই জেলে টিকা দেওয়া প্রয়োজন। কারণ, জেলে একসঙ্গে অনেক মানুষ একত্রে বাস করেন। এপ্রিল মাস থেকে অ্যামেরিকায় করোনার সংক্রমণ বাড়তে থাকে। সেই সময় থেকে মার্কিন জেলেও ব্যাপক ভাবে করোনা ছড়িয়ে পড়ে।
এখনো পর্যন্ত অ্যামেরিকায় কয়েক লাখ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে বহু মানুষের। রিপোর্ট বলছে, শুধু জেলেই ২৭ লাখ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে এক হাজার ৭০০ মানুষের। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, সাধারণ মানুষের চেয়েও জেলবন্দিদের করোনা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তাদের মৃত্যুর হারও বেশি। গোটা দেশে যে ২০টি করোনা হটস্পট তৈরি করা হয়েছে, তার মধ্যে ১৯টি হটস্পট জেল। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, জেলে বন্দিরা অল্প জায়গার মধ্যে অনেকে থাকেন। স্বাস্থ্যবিধিও সব মানা হয় না।
ভ্যানডেরবিল্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিভেনটিভ মেডিসিনের অধ্যাপক উইলিয়াম স্কাফনার ডিডাব্লিউকে বলেছেন, ''জেলবন্দিরা সাধারণ মানুষের মতো সামাজিক দূরত্বের বিধি মানতে পারছেন না। কারণ তাঁরা বন্দি। সে কারণেই তাঁদের করোনা হওয়ার সম্ভাবনা অন্যদের চেয়ে অনেক বেশি। তাদের মধ্যে করোনা ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনাও বেশি।''
যুক্তরাজ্যে যেভাবে শুরু হল করোনা ভ্যাকসিনের বিশাল কার্যক্রম
করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে বায়োনটেক-ফাইজার ভ্যাকসিন দিতে শুরু করেছে যুক্তরাজ্য৷ ডিসেম্বরের ৮ তারিখে শুরু হওয়া এই কার্যক্রমের প্রথম ধাপে দেয়া হবে আট লাখ ডোজ৷ বিস্তারিত ছবিঘরে৷
ছবি: Jacob King/REUTERS
এক সেকেন্ডের ব্যাপার
মার্গারেট কিনান, ম্যাগি হিসেবে পরিচিত৷ যুক্তরাজ্যে ফাইজার-বায়োনটেকের প্রথম ভ্যাকসিন দেয়া হয় ৯০ বছরের এই ব্রিটিশ নারীকে৷ ভোর ছয়টা ৩১ মিনিটে তাকে প্রথম ডোজটা দেয়ার পর থেকে খুব খুশি তিনি৷ জুয়েলারি দোকানের এক সময়ের সহকারী ম্যাগি ইংল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি হসপিটাল কভেন্ট্রিতে টিকা নেন৷ টিকা দিতে মাত্র এক সেকেন্ড সময় লাগে৷
ছবি: Jacob King/REUTERS
ম্যাগির প্রতিক্রিয়া
প্রথম ব্যক্তি হিসেবে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন পেয়ে নিজেকে খুব সৌভাগ্যবান আর সুবিধাভোগী মনে করছেন তিনি৷
ছবি: NHS England and NHS Improvement/REUTERS
ম্যাগির পরামর্শ
‘‘সবার জন্য আমার পরামর্শ, আমি যদি ৯০ বছরে এটা নিতে তোমরা অবশ্যই পারবে৷’’ টিকা নেয়ার পর হাসপাতালের হলওয়েতে হুইলচেয়ারে করে যখন তাঁকে নেয়া হয় হাসপাতালের কর্মীরা হাততালি দিয়ে অভিবাদন জানান তাঁকে৷
ছবি: Jacob King/REUTERS
উইলিয়াম শেক্সপিয়ার
ব্রিটেনের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ইমিউনাইজেশন কর্মসূচিতে টিকা নেয়ার প্রথম সারিতে ছিলেন উইলিয়াম শেক্সপিয়ার বিল৷ ৮১ বছর বয়সি বিল ভ্যাকসিন নেন কভেনট্রির ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে৷
ছবি: Jacob King/REUTERS
পশ্চিমা বিশ্বে প্রথম ভ্যাকসিন
বিশ্বজুড়ে করোনায় আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা বর্তমানে ৬ কোটি ৭০ লাখ৷ মারা গেছে ১৫ লাখ ৪০ হাজার মানুষ৷ সেক্ষেত্রে ব্রিটিশ কর্মকর্তারা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়তে ভ্যাকসিন দেয়ার প্রথম কার্যক্রম শুরু করলেন৷ মার্কিন ফার্মা জায়ান্ট ফাইজার এবং জার্মান দম্পতির ছোট্ট কোম্পানি বায়োনটেকের যৌথ উদ্যোগে তৈরি ভ্যাকসিন ব্যবহার করছে তারা৷
ছবি: Ben Birchall/REUTERS
কর্মযজ্ঞ
গণহারে এই ভ্যাকসিন কার্যক্রমে নার্স, ফার্মাসিস্ট, মেডিকেল টেকনিশিয়ান, সেচ্ছ্বাসেবী, ব্রিটিশ সেনাসহ অনেক মানুষ কাজ করছেন৷
ছবি: Owen Humphreys/REUTERS
যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে ভ্যাকসিন
যুক্তরাষ্ট্র এই সপ্তাহেই ফাইজার-বায়েনটেকের ভ্যাকসিনের অনুমোদন দিতে পারে৷ আর ইউরোপে ২৯ ডিসেম্বর অনুমোদন হতে পারে এটি৷
ছবি: Liam McBurney/REUTERS
উপস্থিত প্রধানমন্ত্রী
যাদের ভ্যাকসিন দেয়া হচ্ছে এমন কয়েকজনকে সাহস দিতে লন্ডন হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন৷ তিনি এই কার্যক্রমকে ‘পুরো জাতির জন্য টিকা’ হিসেবে ঘোষণা করেছেন৷ যারা টিকা নিতে হাসপাতালে এসেছিলেন তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘‘টিকা দেয়ার সময় শান্ত থাকুন, মনে হবে টিকার সূঁচ আপনাকে কবিতা শোনাচ্ছে৷’’
ছবি: Frank Augstein/REUTERS
চার কোটি ডোজ
প্রথম কয়েক সপ্তাহে আট লাখ ডোজ টিকা দেয়া হবে৷ যুক্তরাজ্য চার কোটি ডোজ অর্ডার দিয়েছে৷ ফলে সেখানে দুই কোটি মানুষ টিকা পাচ্ছেন বলে আশা করা যাচ্ছে৷ তবে সব ডোজ কখন কর্মকর্তারা হাতে পাবেন, তা নির্ভর করছে বেলজিয়ামে ভ্যাকসিন উৎপাদন কোম্পানির ক্ষমতার উপর৷ ব্রিটিশ সরকার জানিয়েছে ৪০ লাখ ডোজ খুব শিগগিরই তাদের হাতে পৌঁছাবে৷
ছবি: Ben Birchall/REUTERS
দুই ডোজ
একজন ব্যক্তির দুই ডোজ লাগে৷ তিন সপ্তাহের ব্যবধানে দেয়া হবে দ্বিতীয় ডোজ৷
ছবি: Andrew Milligan/REUTERS
সংরক্ষণ
এই ভ্যাকসিন সংরক্ষণ করতে হয় মাইনাস ৯৪ ডিগ্রি ফারেনহাইটে৷ বেশি নড়াচড়া করলে এর গুণাগুণ নষ্ট হয়ে যেতে পারে৷ তাই তিনবারের বেশি যাতে হাত বদল না হয় সে চেষ্টা করছেন সংশ্লিষ্টরা৷
ছবি: Victoria Jones/AFP/Getty Images
স্বাস্থ্যকর্মীদের টিকা
স্কটল্যান্ডের এডিনবরায় ওয়েস্টার্ন জেনারেল হাসপাতালের ক্লিনিকাল নার্স ম্যানেজার ভিভিয়ান টিকা নেয়ার পর দুই হাত আকাশে তুলে যেনো ঈশ্বরকে কিছু বলছেন৷
ছবি: Andrew Milligan/REUTERS
ভ্যাকসিন দেয়ার প্রস্তুতি
কার্ডিফে স্বাস্থ্যকর্মীরা ভ্যাকসিন দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন্৷ ভ্যাকসিন দেয়ার আগে সে বিষয়ে সবাইকে গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দেয়া হচ্ছে৷
ছবি: Liam McBurney/REUTERS
রেকর্ড কার্ড
কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন রেকর্ড কার্ডটি দেখতে এমন হবে৷ এখানেই ব্যক্তির নাম পরিচয় এবং কয়টা ডোজ নিলেন লেখা থাকবে৷
বিশেষজ্ঞদের একাংশের বক্তব্য, জেলে করোনা সংক্রমণ দ্রুত আটকাতে না পারলে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হতে পারে। তাঁদের বক্তব্য, প্রথম ধাপেই জেলবন্দিদের ভ্যাকসিন দেয়া উচিত। বয়স্ক বা স্বাস্থ্যকর্মীদের মতোই জেলবন্দিদের ভ্যাকসিন দেয়া গুরুত্বপূর্ণ।
দাবি থাকলেও মার্কিন প্রশাসন এখনই জেলবন্দিদের নিয়ে চিন্তা করতে রাজি নয়। সেন্টার ফর ডিজিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) ডিসেম্বরে যে নির্দেশ বের করেছে, তাতে জেলবন্দিদের কোনো উল্লেখ নেই। মার্কিন প্রশাসন মূলত রাজ্যগুলির হাতে ভ্যাকসিন সরবরাহের দায়িত্ব দিয়েছে। রাজ্যগুলি নিজেদের মতো করে তা বিলি করবে।
জাস্টিস পলিসি ইনস্টিটিউটের রিসার্চ ডিরেক্টর রায়ান কিং ডিডাব্লিউকে জানিয়েছেন, ''ভ্যাকসিন নিয়ে ফেডারেল সরকার যে ব্যবস্থা নিয়েছে, তাতে বহু ভুল রয়েছে। ঠিকমতো পরিকল্পনাই করা হয়নি। প্রশাসন নেতৃত্বহীনতায় ভুগছে।''
জনরোষ
কয়েকটি রাজ্য অবশ্য জেলবন্দিদের টিকা দেওয়ার বিষয়টি মাথায় রেখেছে। তবে প্রায় কোনো রাজ্যই তা প্রথম ধাপের তালিকায় এখনো পর্যন্ত রাখেনি।
কলোরাডোয় জেলবন্দিদের টিকাকরণ দ্বিতীয় ধাপে রাখা হয়েছে। কিন্তু এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করেছে রিপাবলিকান এবং গণমাধ্যমের একাংশ। জনমতেও তার প্রভাব দেখা যাচ্ছে। বাধ্য হয়েই ডিসেম্বরে কলোরাডোর গভর্নরকে একটি বিবৃতি দিতে হয়। যাতে বলা হয়েছে, নাগরিকদের স্বার্থ উপেক্ষা করে জেলবন্দিদের টিকা দেয়া হবে না।
অধিকাররক্ষা কর্মীদের ধারণা, জনমতের চাপ যত বাড়বে, ততই বিভিন্ন রাজ্যের সরকার তার সামনে নতজানু হতে বাধ্য হবে। কারণ, প্রতিদিন দেশে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। সেই অনুপাতে টিকার সরবরাহ সম্ভব নয়। ফলে সকলেই প্রথমে টিকা পেতে চাইবেন। কিন্তু অধিকাররক্ষা কর্মীদের বক্তব্য, জনমত বা রাজনীতি নয়, কে কখন টিকা পাবেন, সে বিষয়টি বিজ্ঞানের নিয়ম মেনে হোক।
করোনার টিকা বিতরণে জার্মানির পরিকল্পনা
করোনা ভাইরাসের টিকা পাওয়ার পর তা কীভাবে দেয়া হবে সেই পরিকল্পনা একটা বড় চ্যালেঞ্জ৷ এখনো কোনো টিকার কার্যকারিতা পুরোপুরি প্রমাণ হয়নি৷ কিন্তু জার্মানিতে কাদের, কখন এবং কীভাবে তা দেয়া হবে এরই মধ্যে সেই প্রস্তুতি শুরু হয়েছে৷
ছবি: Getty Images/P. Vilela
‘ন্যাশনাল ভ্যাকসিনেশন স্ট্র্যাটেজি’
জার্মানির কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার নভেম্বরের শুরুতেই সারাদেশে কীভাবে ভ্যাকসিন দেয়া হবে সেই পরিকল্পনা নিয়েছে৷ ‘ন্যাশনাল ভ্যাকসিনেশন স্ট্র্যাটেজি’তে ১৫ পাতার পরিকল্পনা লেখা হয়েছে৷ যদিও টিকা পাওয়ার পর তা বিতরণের পরিকল্পনাকে একটা চ্যালেঞ্জ হিসেবেই দেখছেন তারা৷ তারপরও চেষ্টা করছেন ভ্যাকসিন হাতে পাওয়ার সাথে সাথে বিশাল জনগোষ্ঠীকে যাতে এর আওতায় আনা যায়৷
ছবি: Joel Saget/AFP/Getty Images
পরিকল্পনার লক্ষ্য
টিকা কবে নাগাদ আবিষ্কার হবে এবং কী পরিমাণ উৎপাদন হবে, সেটা এখনও জানা যায়নি৷ কিন্তু টিকা হাতে আসার পর যাতে অন্য কোনো কারণে বিতরণ কর্মসূচি বাধাগ্রস্ত না হয় সেটাই এই পরিকল্পনার লক্ষ্য৷
ছবি: picture-alliance/dpa/C. Schmidt
কর্মপরিকল্পনা
টিকা দেয়ার জন্য কর্মপদ্ধতি এবং কাজের ধরন এরইমধ্যে বাস্তবায়ন করা হয়েছে৷ ইউরোপীয় ইউনিয়ন ভ্যাকসিনের জন্য ছয়টি কোম্পানির সাথে চুক্তি করেছে৷ এই কোম্পানিগুলোর কোনো ভ্যাকসিন বের করলে ইইউ-এর মাধ্যমে তা পাবে জার্মানি৷ তারপর কেন্দ্রীয় সরকার দেশের ৬০টি ভ্যাকসিন বিতরণ কেন্দ্রে তা পৌঁছে দেবে৷
ছবি: Getty Images/P. Vilela
সাধারণ চিকিৎসকদের নাগালের বাইরে
পুরো ব্যাপারটি ঠিক করবে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার৷ সাধারণ চিকিৎসকরা এটা বিতরণ করতে পারবেন না৷ ফলে ধরেই নেয়া যায়, প্রথম দফায় সবাই এই ভ্যাকসিন পাচ্ছেন না৷ এছাড়া সাধারণ চিকিৎসকদের অফিসে এই ভ্যাকসিন সংরক্ষণের সুবিধা নেই৷
ছবি: picture alliance/dpa
যারা প্রাধান্য পাবেন
বয়স্ক মানুষ এবং যাদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি রয়েছে তারা এক্ষেত্রে প্রাধান্য পাবেন৷ এছাড়া স্বাস্থ্যকর্মী এবং করোনা চিকিৎসার সাথে জড়িতরাও থাকছেন এই তালিকায়৷
ছবি: picture-alliance/dpa/S. Gollnow
বার্লিন
বার্লিনের স্থানীয় সরকার ছয়টি টিকাদান কেন্দ্র স্থাপন করছে৷ ফাইজার এবং বায়োনটেকের তথ্য অনুযায়ী, বার্লিনে প্রথম দফায় ৯ লাখ টিকা দেয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে৷ সে হিসেবে প্রথম দফায় বার্লিনের প্রতি ১০ জনের একজন টিকা পাবেন৷ একেকটা কেন্দ্রে দিনে তিন হাজার ৪০০ টিকা দেয়ার পরিকল্পনা করছে বার্লিন৷ এক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ হলো, ভ্যাকসিন যারা নিতে আসবেন তাদের লাইন এবং সময় নিয়ন্ত্রণ করা৷
ছবি: picture-alliance/Zoonar
চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত টিকা আসার পর
জার্মানির রবার্ট কখ ইনস্টিটিউটের ইনফেকশাস ডিজিজ সম্প্রতি জানিয়েছে, ভ্যাকসিন বিতরণের চূড়ান্ত পরিকল্পনা, টিকা হাতে পাওয়ার পরই করা সম্ভব৷ যখন এটা নিশ্চিত হওয়া যাবে এটা বিভিন্ন বয়সে কীভাবে কাজ করে, কতটা কার্যকর ও নিরাপদ৷
ছবি: picture-alliance/ANE
৩০ কোটি ভ্যাকসিন
জার্মানির স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইয়েনস স্পান জানিয়েছেন, তারা চেষ্টা করছেন ভ্যাকসিন বিতরণের জন্য সবচেয়ে সেরা পরিকল্পনা করতে৷ ইইউ-এর মাধ্যমে ৩০ কোটি ডোজ ভ্যাকসিনের অর্ডার দিয়ে রেখেছেন তারা৷
ছবি: Tobias Schwarz/AFP
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
জার্মানির এথিক্স কাউন্সিলের প্রধান আলেনা বুইক্স জানিয়েছেন, কোন কোম্পানির ভ্যাকসিনে কী ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হবে, কোন বয়সের মানুষের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া বেশি হবে, সেটা আগে থেকে জানা সম্ভব নয়৷ আশা করা হচ্ছে, দ্বিতীয় দফায় সাধারণ চিকিৎসকদের কাছে এই ভ্যাকসিন পৌঁছানো যাবে, তবে এরজন্য বিশেষ ফ্রিজের প্রয়োজন হবে৷
ছবি: picture-alliance/Sven Simon
প্রয়োজন কর্মী
এই কাজে কেবল চিকিৎসক না, প্রয়োজন নিরাপত্তারক্ষী, গাড়িচালকসহ অন্যান্য কর্মী৷ সেজন্য সেনাবাহিনী এবং ত্রাণ সংস্থাগুলোর কাছে কর্মী চেয়ে আবেদন করা হয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/M. Meissner
গ্রামগুলোতে টিকা সরবরাহের চ্যালেঞ্জ
শহরে যাতায়াত ও অন্য সুবিধা থাকলেও শহর থেকে যারা অনেক দূরে থাকেন, সেসব এলাকায় প্রবীণ মানুষ কীভাবে টিকা দান কেন্দ্রে পৌঁছাবেন সেটা একটা চিন্তার বিষয়৷
ছবি: picture-alliance/EibnerT. Hahn
11 ছবি1 | 11
ভয়াবহ জেল
জেলের জীবন ভয়ঙ্কর। অনেক সময়েই কিছু দিন বা কিছু ঘণ্টার জন্য অপরাধীদের জেলে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর ফের তাঁদের ছেড়ে দেয়া হয়। জেল ফেরত অপরাধীরা নিজেদের গোষ্ঠীর মধ্যে চলে যান। সাধারণ মানুষের সঙ্গে তাঁদের যোগাযোগ হয়। ফলে এই ব্যক্তিদের মাধ্যমে দ্রুত করোনা ছড়ানোর সম্ভাবনা তৈরি হয়।
শুধু তাই নয়, অপরাধীরা সাধারণত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলেন না। তাঁরা যে সমস্ত জায়গায় জীবন কাটান, তা যথেষ্ট অস্বাস্থ্যকর। ফলে তাঁদের মধ্যে করোনা সংক্রমণের সম্ভাবনা বেশি। এই ধরনের বন্দিদের এক জেলেই দিনের পর দিন রখা হয় না। জেলের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য বন্দিদের এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় পাঠানো হয়। অথচ এই বদলির সময় তাঁদের কোনো পরীক্ষা হয় না। এক জন আক্রান্তের থেকে শয়ে শয়ে ব্যক্তি আক্রান্ত হতে পারেন। এই বিষয়টি প্রশাসন মাথায় রাখেনি।
গত মে মাসেই এমন ঘটনা ঘটেছে। স্যান ফ্রানসিসকোর জেলে এ ভাবেই করোনা ছড়িয়ে পড়েছিল। বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছিল।
কোনো কোনো রাজ্য জেলের জনসংখ্যা কমিয়েছে। বন্দিদের জন্য আরো বেশি জায়গা নিশ্চিত করা হয়েছে। নিউ জার্সিতে প্রায় দুই হাজার বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাতেও সমস্যার সম্পূর্ণ সমাধান হয়নি।
জেলে দ্রুত ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যবস্থা করলে এই সমস্ত সমস্যার সমাধান সম্ভব ছিল। কিন্তু সরকার এবং প্রশাসন না চাইলে তা করা সম্ভব নয়। অধিকাররক্ষা কর্মীদের বক্তব্য, অপরাধীরা জেলে আসেন শাস্তি ভোগ করতে। কিন্তু তাঁদের মেরে ফেলার অধিকার প্রশাসনের নেই।