ফের মন্ত্রী মুল্লাহ মোহাম্মদ ইয়াকুব কাবুলের একটি সাংবাদিক বৈঠকে রোববার বলেন, পাকিস্তান হয়েই মার্কিন ড্রোন আফগানিস্তানে প্রবেশ করেছিল৷ তার কথায়, ‘‘আমাদের তথ্য অনুযায়ী ড্রোনগুলি পাকিস্তান হয়ে আফগানিস্তানে প্রবেশ করেছিল৷ তারা পাকিস্তানের আকাশসীমা ব্যবহার করেছিল৷ আমরা পাকিস্তানকে বলেছি, আমাদের বিরোধিতা করতে যেন পাকিস্তান নিজেদের আকাশসীমা ব্যবহার না করে৷''
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চায়নি৷
সম্প্রতি মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহত হন আল-কায়দার শীর্ষ নেতা এবং ৯/১১-র মূল চক্রান্তকারী আল-জাওয়াহিরি৷
মার্কিন ড্রোন হানার খবর তারা আগেই জানত, আফগানিস্তানের আনা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে পাকিস্তান কর্তৃপক্ষ৷
আফগানিস্তানের শাসক তালেবান যখন পাকিস্তান ও পাকিস্তানি তালেবান জঙ্গিদের মধ্যে মধ্যস্থতা করার চেষ্টা করছে, এই পরিস্থিতিতে ইয়াকুবের মন্তব্য দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বাড়াতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা৷
আফগানিস্তান বাণিজ্যের কারণে পাকিস্তানের উপর অনেক বেশি নির্ভরশীল৷ এদিকে অর্থনৈতিক বিপর্যয়ে জর্জরিত পাকিস্তান৷ রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই কারণে যুক্তরাষ্ট্রকে সাহায্য করে ‘সুনজরে' থাকতে চাইছে পাকিস্তান৷
তালেবান বলেছে যে, তারা জুলাইয়ে হওয়া মার্কিন ড্রোন অভিযানের তদন্ত করছে৷ আল-কায়দা নেতার মৃতদেহ খুঁজে পাওয়া যায়নি বলেও জানিয়েছে তালেবান৷
আরকেসি/আরআর
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেছেন, আল-কায়দা প্রধান আয়মান আল-জাওয়াহিরি নিহত। কে ছিলেন তিনি? লাদেনের সঙ্গে কীভাবে পরিচয়?
ছবি: Getty Images/AFP/K. Desoukiকায়রোয় জন্ম জাওয়াহিরির। যথেষ্ট ধনী পরিবারে জন্ম তার। তবে ছোটবেলা থেকেই চরমপন্থি মতাদর্শে বিশ্বাসী তিনি। খুব অল্প বয়সেই তিনি মিশরের চরমপন্থি ইসলামিক আন্দোলনের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন।
ছবি: B. K. Bangash/AP Photo/picture alliance১৫ বছর বয়সে প্রথম গ্রেপ্তার হন জাওয়াহিরি। বেআইনি মুসলিম ব্রাদরহুড দলের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ার কারণে। ১৯৮১ সালে প্রেসিডেন্ট আনওয়ার সাদাত হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত সন্দেহে গ্রেপ্তার হন জাওয়াহিরি। তিনবছরের জেল হয় তার। এরপর ১৯৯৭ সালে লাক্সারে পর্যটকদের উপর হামলার ঘটনাতেও তার নাম জড়িয়ে যায়।
ছবি: Mazhar Ali Khan/AP Photo/picture allianceলাক্সারের ওই ঘটনার পরেই ওসামা বিন-লাদেনের সঙ্গে পরিচয় হয় জাওয়াহিরির। আফগানিস্তানে লাদেনের সঙ্গে গিয়ে দেখা করেন তিনি। লাদেনের ছায়াসঙ্গী হন। লাদেনের চিকিৎসক হিসেবেও কাজ করতেন তিনি।
ছবি: Al-Jazeera/APTN/picture alliance১৯৯৮ সালে অ্যামেরিকাকে শত্রু হিসেবে চিহ্নিত করে লাদেন একটি ফতোয়া দেন। অ্যামেরিকার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ডাক দেন। সেই ফতোয়ায় পাঁচ লাদেন ঘনিষ্ঠ সই করেছিলেন। জাওয়াহিরি তাদের মধ্যে একজন।
ছবি: Al-Jazeera/AP Photo/picture alliance২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর টুইন টাওয়ারে আক্রমণের পর লাদেনের সঙ্গে জাওয়াহিরিও বেপাত্তা হয়ে যান। তিনি নিহত হয়েছেন বলে একাধিকবার ভুয়া খবর ছড়িয়ে পড়ে।
ছবি: IntelCenter/AP Photo/picture allianceবেপাত্তা থাকা অবস্থাতেই একাধিক হামলার ঘটনা ঘটিয়েছেন তিনি। বিশেষ করে আফ্রিকায়। ২০১১ সালে লাদেন নিহত হওয়ার পর তিনি আল-কায়দার প্রধান হন। তার মাথার দাম ছিল দুই কোটি ৫০ লাখ ডলার। তবে তার সময়ে আইএস আরো বড় শক্তিতে পরিণত হয়। সিরিয়া এবং ইরাকের বিস্তীর্ণ অঞ্চল তারা দখল করে।
ছবি: picture-alliance/dpa/Ausafসোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ঘোষণা করেন, কাবুলে ড্রোন হামলায় নিহত হয়েছেন জাওয়াহিরি। গত শনিবার এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন বাইডেন।
ছবি: Jim Watson/REUTERS