1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ড্রোন হামলা

৬ অক্টোবর ২০১২

পাকিস্তানের উপজাতীয় এলাকায় যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন আক্রমণের প্রতিবাদে দুই দিনের এক বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু করেছেন সাবেক ক্রিকেটার ইমরান খান৷ তাঁর সঙ্গে যোগ দিয়েছেন পশ্চিমা কর্মীরাও৷

ছবি: Getty Images

শনিবার ইসলামাবাদ থেকে উপজাতীয় এলাকা দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানের দিকে সড়কপথে রওয়ানা হয়েছেন ইমরান খান ও তাঁর দলের কর্মীরা৷ রবিবার তাঁদের সেখানে পৌঁছানোর কথা৷

প্রায় একশোটি গাড়ির একটি বহরে ইমরানের সঙ্গে রয়েছেন মার্কিন ড্রোন বিরোধী গোষ্ঠী ‘কোড পিংক' এর কয়েকজন কর্মী৷ রয়েছেন আইনগত লবি সংস্থা ‘রিপ্রিভ' এর ব্রিটিশ প্রধান ক্লাইভ স্টাফোর্ড স্মিথ৷

ড্রোন হামলার প্রতিবাদছবি: AP

শনিবার রাতে ডেরা ইসমাইল খান শহরে থাকার পর রবিবার আবারও যাত্রা শুরু করবে গাড়ির বহর৷ তাদের শেষ গন্তব্য দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানের কোটকাই শহর৷ সেখানে একটি বিক্ষোভ সমাবেশের পরিকল্পনা করা হয়েছে৷

তবে শেষ পর্যন্ত এই কর্মসূচি পালন সম্ভব হবে কিনা তা নিয়ে আশঙ্কা রয়েছে৷ কেননা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে, তালেবান গাড়ির বহরে হামলার পরিকল্পনা করছে৷ তাছাড়া নিরাপত্তাজনিত কারণে উপজাতীয় এলাকায় বিদেশিদের ঢুকতে দেয়া হবে না৷ উল্লেখ্য, আফগান সীমান্তে অবস্থিত ঐ এলাকাটি তালেবান ও আল কায়েদার শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত৷

ইমরান খান বলছেন, এই কর্মসূচির মাধ্যমে ড্রোন হামলার কারণে সাধারণ মানুষের কী ক্ষতি হচ্ছে সেটা বিশ্ববাসীকে জানানোর চেষ্টা করা হবে৷

তবে সমালোচকরা বলছেন, আগামী বছরের নির্বাচনের আগে আগে এ ধরণের কর্মসূচি করে ইমরান খান জনপ্রিয় হতে চাইছেন৷ এছাড়া জঙ্গি ও সেনাবাহিনী কর্তৃক বিভিন্ন হত্যাযজ্ঞ নিয়ে কথা না বলার জন্যও ইমরান খানের সমালোচনা করা হয়েছে৷

ইমরান খানকে বহন করা গাড়িছবি: Reuters

এদিকে, তালেবান ইমরানের কর্মসূচিতে নিরাপত্তা দেবে বলে গণমাধ্যমে যে খবর বের হয়েছে তা অস্বীকার করেছেন তালেবান মুখপাত্র এহসানুল্লাহ এহসান৷ তিনি বলেন, ইমরানের মতো একজন ধর্মনিরপেক্ষ মানুষের ‘সহানুভূতি'র কোনো প্রয়োজন নেই৷ ইমরান রাজনৈতিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য এমনটা করছেন বলে মন্তব্য তালেবানের৷

ড্রোন আক্রমণ নিয়ে প্রকাশ্যে পাকিস্তান সরকার যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করলেও মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ফাঁস হয়ে যাওয়া নথিতে দেখা গেছে ড্রোন হামলায় প্রচ্ছন্ন সমর্থন রয়েছে পাকিস্তান সরকারের৷

স্ট্যানফোর্ড ল স্কুল ও নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটি অফ ল এর এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, ড্রোন হামলা সাধারণ মানুষকে ভীত করে তুলছে এবং তাদেরকে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ করে তুলছে৷ বিনিময়ে এই হামলার মাধ্যমে শুধু নীচু সারির জঙ্গিদের নিধন করা হচ্ছে৷

জেডএইচ / এএইচ (এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ