নির্বাচনে পরাজয় মানছেন না মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প৷ তাঁর অভিযোগ, ভোটে কারচুপি হয়েছে৷ সত্যতা যাচাই করতে তদন্তের নির্দেশ দিলেন মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল৷
বিজ্ঞাপন
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল যত স্পষ্ট হচ্ছিলো, ডনাল্ড ট্রাম্পের একের পর এক টুইট নাকচ করে দিচ্ছিল সেই ফলাফল৷ বর্তমান প্রেসিডেন্ট ও নির্বাচনে পরাজিত রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্পের বক্তব্য, ভোট গণনায় কারচুপি হয়েছে এবং আসলে নির্বাচনে তিনিই জয়লাভ করেছেন৷
এই দাবির রেশ ধরেই সোমবার মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল উইলিয়াম বার কেন্দ্রীয় আইনজীবীদের নির্দেশ দিয়েছেন ভোট গণনায় অস্বাভাবিকতার তদন্ত করতে৷ সবকটি ভোট গণনা সরকারিভাবে শেষ হবার আগেই এমন নির্দেশ দিলেন তিনি, যা অ্যামেরিকার প্রচলিত কেন্দ্রীয় নীতির বিপরীত৷
দেশজুড়ে বিভিন্ন অ্যাটর্নিদের উদ্দেশ্যে একটি চিঠিতে উইলিয়াম বার লেখেন, ‘‘যেহেতু আমাদের ভোটদান প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে, তাই আমি নির্বাচনের ফলাফল সরকারিভাবে ঘোষণার আগেই ভোটসংক্রান্ত অস্বাভাবিকতার তদন্ত করবার এক্তিয়ার আপনাদের দিচ্ছি৷ যদি এমন কোনো গুরুতর অস্বাভাবিকতার অভিযোগ এসে থাকে, যা কোনো রাজ্যে নির্বাচনের ফলাফল বদলে দিতে পারবে বলে আপনাদের ধারণা, সেক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় তদন্ত ও পর্যালোচনা করা যেতে পারে৷’’
বিভিন্ন দেশের নির্বাচনের মান কেমন?
২০১২ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে ১৬৬ দেশে অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট ও সংসদ নির্বাচনের মান নিয়ে সূচক প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘দ্য ইলেক্টোরাল ইন্টিগ্রিটি প্রজেক্ট’৷ ছবিঘরে থাকছে বিস্তারিত৷
ছবি: AFP/Getty Images
নির্বাচনি সততার ধারণা সূচক
যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘দ্য ইলেক্টোরাল ইন্টিগ্রিটি প্রজেক্ট’ ২০১৯ সালের মে মাসে ‘পারসেপশন অব ইলেক্টোরাল ইন্টেগ্রিটি’ বা নির্বাচনি সততার ধারণা সূচক প্রকাশ করেছে৷ এতে ২০১২ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে ১৬৬টি দেশে অনুষ্ঠিত ৩৩৭টি প্রেসিডেন্ট ও সংসদ নির্বাচন কেমন হয়েছে, তা তুলে ধরা হয়৷
ছবি: AFP/Getty Images
বিবেচনায় ১১ বিষয়
নির্বাচনি আইন, নির্বাচনের প্রক্রিয়া, আসনের সীমানা নির্ধারণ, ভোটার নিবন্ধন, দল নিবন্ধন, মিডিয়া কাভারেজ, প্রচারণার অর্থায়ন, ভোট গ্রহণের প্রক্রিয়া, ভোট গণনা, ফলাফল ও নির্বাচন কর্তৃপক্ষ- এই ১১টি বিষয় বিবেচনায় নিয়ে সূচকটি প্রকাশ করা হয়েছে৷
ছবি: ROBERTO SCHMIDT/AFP/Getty Images
একমাস পর
একটি দেশে নির্বাচন অনুষ্ঠানের এক মাস পর সেই দেশের বিশেষজ্ঞরা নির্বাচনের মান যাচাই করেন৷
ছবি: picture-alliance/abaca/A. Fazlagikj
সবচেয়ে ভালো নির্বাচন ডেনমার্কে
উপরে উল্লেখ করা ১১টি বিষয়ের নম্বর যোগ করে ০ থেকে ১০০-র মধ্যে স্কোর করা হয়৷ সবচেয়ে বেশি ৮৬ নম্বর পেয়ে ডেনমার্কের নির্বাচনের মান সবচেয়ে ভালো বলে বিবেচিত হয়েছে৷
ছবি: Reuters/Ritzau Scanpix/Uffe Weng
সবচেয়ে খারাপ চার দেশে
সিরিয়া, বুরুন্ডি, ইকুয়েটরিলায় গিনি ও ইথিওপিয়ার স্কোর সমান- ২৪৷
ছবি: picture-alliance /AP/Syrian Presidency
বাংলাদেশের অবস্থান
২০১২ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে বাংলাদেশে দুটি সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে৷ সূচকে দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশ ৩৮ স্কোর করেছে৷ সে হিসেবে ১৬৬টি দেশের মধ্যে ২১টি দেশের চেয়ে বাংলাদেশের নির্বাচনের মান ভালো৷ দক্ষিণ এশিয়ায় একমাত্র আফগানিস্তানের (৩৪) চেয়ে বাংলাদেশের নির্বাচনের মান ভালো৷ অন্যান্য দেশগুলোর স্কোর ভুটান (৬৬), ভারত (৫৯), নেপাল (৫৬), মালদ্বীপ (৫২), শ্রীলঙ্কা (৫২) ও পাকিস্তান (৪৭)৷
ছবি: Reuters
অন্যান্য
নির্বাচনি সততার ধারণা সূচকে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য দেশের অবস্থান- যুক্তরাষ্ট্র (৬১), জার্মানি (৮১) ও ব্রিটেন (৬৬)৷ সূচক নিয়ে পুরো রিপোর্ট পড়তে উপরে (+) চিহ্ন ক্লিক করুন৷
ছবি: Getty Images/AFP/K. Yucel
7 ছবি1 | 7
আইনবহির্ভূত পদক্ষেপ?
নির্বাচনের ফলাফল ও ভোট গণনা বিষয়ে তদন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সাধারণত পুরোটাই থাকে রাজ্যের নিজস্ব এক্তিয়ারে৷ ভোট গণনা সম্পূর্ণ শেষ হওয়া ও ফলাফল নিশ্চিত হওয়া পর্যন্ত কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপ যাতে না হয়, সেটা নিশ্চিত করাই বিচার বিভাগের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে৷ কিন্তু উইলিয়াম বার এবিষয়ে ভিন্নমত পোষণ করেন৷
তিনি বলেন, ‘‘এতদিন ধরে চলে আসা রীতিগুলি আসলে কোনো বাঁধাধরা নিয়ম নয়৷’’ ফলে যদি তদন্তকারীদের মনে হয় যে নির্বাচনের ফলাফল বদলে দেবার মতো কিছু আছে, সেক্ষেত্রে তাদের সেই উদ্দেশ্যেই কাজ করা উচিত৷
বার আরও বলেন, ‘‘গুরুতর অভিযোগকে সাবধানতার সাথে পরিচালনা করতে হবে, এবং আন্দাজ ও নিছক ধারণার ওপর ভিত্তি করে ওঠা অভিযোগ কখনোই কেন্দ্রীয় তদন্তে জায়গা পাবে না৷’’
বারের চিঠি প্রকাশ্যে আসার কিছুক্ষণের মধ্যেই বিচার বিভাগের নির্বাচনি অপরাধ দপ্তরের প্রধান রিচার্ড পিলগার পদত্যাগ করেন বলে জানিয়েছে নিউ ইয়র্ক টাইমস৷
ডনাল্ড ট্রাম্প কোনো তথ্যপ্রমাণ ছাড়াই নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনেছেন, যা বিতর্কের সৃষ্টি করেছে৷ কিন্তু মিচ ম্যাককনেলসহ একাধিক রিপাবলিকান নেতৃত্বের মত, এই ফলাফলকে চ্যালেঞ্জ জানাবার সাংবিধানিক অধিকার রয়েছে ডনাল্ড ট্রাম্পের৷
এসএস/কেএম (এএফপি, এপি, রয়টার্স, নিউ ইয়র্ক টাইমস)
জো বাইডেনের জীবনের গল্প
২০২০ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেনের জীবনের গল্প দেখুন এই ছবিঘরে৷
ছবি: Kevin Lamarque/Reuters
জন্ম ও পরিবার
১৯৪২ সালের ২০ নভেম্বর স্ক্র্যানটন পেনসিলভ্যানিয়াতে জন্মগ্রহণ করেন জোসেফ রবিনেট বাইডেন জুনিয়র বা আজকের ‘জো বাইডেন’৷ জীবনের প্রথমভাগ বাইডেন কাটান দাদা-দাদির সাথে৷ পরিবারে আর্থিক অনটন থাকলেও বাইডেন স্কুলজীবনে তুখোড় ফুটবল, বেসবল খেলোয়াড় ছিলেন, যা পরে বিশ্ববিদ্যালয়েও তাঁকে জনপ্রিয় করে তোলে৷ জানা যায়, ছোটবেলায় বাইডেন কথা বলতে গেলে তোতলাতেন, যা কবিতা আবৃত্তি করার মাধ্যমে পরে নিয়ন্ত্রণে আনেন তিনি৷
ছবি: Handout Joseph Biden/AFP
তারুণ্য
প্রথমে ইতিহাস ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতক হবার পর আইনে স্নাতকোত্তর স্তরের পড়াশোনা করতে বাইডেন পাড়ি দেন নিউ ইয়র্কের সাইরাক্যুজ বিশ্ববিদ্যালয়ে৷ সেখানেই তাঁর পরিচয় নেলিয়া হান্টারের সাথে৷ ১৯৬৬ সালে নেলিয়া ও বাইডেন বিয়ে করেন৷
ছবি: Keystone/dpa/picture-alliance
রাজনীতিতে পদার্পণ
১৯৭২ সালে মাত্র ২৯ বছর বয়েসে ডেলাওয়ারে দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতাসীন রিপাবলিকান সেনেটর কেলেব বগসের বিরুদ্ধে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিসাবে নির্বাচনে লড়েন বাইডেন৷ অর্থাভাব, রাজনীতির ময়দানে অনভিজ্ঞতা সত্ত্বেও পারিবারিক সহায়তা ও মাঠপর্যায়ে প্রচার চালিয়ে গবসকে পরাজিত করেন বাইডেন৷ সেখান থেকেই ডেমোক্র্যাট হিসাবে তাঁর উত্থানের সূত্রপাত৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Keystone
পারিবারিক বিপর্যয়
সেনেটর নির্বাচিত হবার কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই বাইডেনের জীবনে আসে বিপর্যয়৷ একটি গাড়ি দুর্ঘটনায় তাঁর স্ত্রী নেলিয়া ও কন্যা নাওমির মৃত্যু হয়৷ মারাত্মকভাবে জখম হন তাঁর দুই পুত্রও৷ এই বিপর্যয়ের কারণে রাজনীতি ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন বাইডেন৷ কিন্তু দলের জোরাজুরিতে হাসপাতালেই সেনেটর পদে শপথগ্রহণ করেন বাইডেন৷ পরে ১৯৭৭ সালে জিল জেকবসকে বিয়ে করেন বাইডেন৷ তাঁদের একটি কন্যা রয়েছে, নাম অ্যাশলি৷
ছবি: Kevin Larkin/AFP/Getty Images
রাজনীতির চেয়ে পরিবারকে প্রাধান্য
বাইডেনের পারিবারিক জীবনে আবার বিপর্যয় আসে ২০১৫ সালে৷ ভাইস-প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন ব্রেন টিউমারজনিত জটিলতায় তিনি তাঁর পুত্র জোসেফকে হারান৷ পরের বছর ২০১৬ সালের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসাবে লড়ার পরিকল্পনা থাকলেও পরিবারকে সময় দিতে নির্বাচন থেকে সরে আসেন বাইডেন৷
ছবি: Kevin Lamarque/REUTERS
তবুও উত্তরণ
এর আগে ১৯৮৮ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রাথমিকভাবে অংশগ্রহণ করলেও প্রাইমারি নির্বাচনের আগেই নিজের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন৷ কিন্তু সেনেটর হিসাবে কাজ করে যান তিনি৷ ২০০৮ সালেও প্রথমে প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার আগ্রহ দেখিয়েছিলেন তিনি৷ জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতার প্রতীক হিসাবে ২০১৬ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা তাঁকে ‘প্রেসিডেনশিয়াল মেডাল অফ ফ্রিডম’ প্রদান করেন৷
ছবি: Getty Images/AFP/N. Kamm
গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ
রাজনীতির শুরু থেকেই বাইডেন ক্রেতা সুরক্ষা ও পরিবেশবিষয়ক ইস্যু নিয়ে সোচ্চার থেকেছেন৷ ২০১০ সালের ‘পেশেন্ট প্রোটেকশান অ্যান্ড অ্যাফোর্ডেবল কেয়ার’ আইনের বাস্তবায়নে তাঁর ভূমিকার কথা বারবার আলোচিত হয়েছে৷ শুধু তাই নয়, ১৯৯২ সাল থেকেই আইনি কড়াকড়ি বাড়ানো ও সাজার মেয়াদ বাড়ানোর পক্ষে তাঁর অবস্থান তিনি স্পষ্ট করেছেন, যা অনেক ক্ষেত্রেই তাঁর দলের নীতির সাথে পুরোপুরি খাপ খায়নি৷
ছবি: Jim Watson/AFP/Getty Images
বাইডেনকে ঘিরে বিতর্ক
১৯৮৮ সালের নির্বাচনি প্রচারের সময় বাইডেনের বিরুদ্ধে ব্রিটিশ লেবার পার্টির নিল কিনকের বক্তব্য চুরির অভিযোগ ওঠে৷ এছাড়া অ্যামেরিকার দক্ষিণাঞ্চলের বর্ণভিত্তিক বিভেদপন্থিদের সাথে সুর মিলিয়ে আদালতের রায়ের বিরোধিতা করে সমালোচিত হন বাইডেন৷ ২০১২ সালেও সমকামী জুটিদের বিয়ের অধিকারের পক্ষে কথা বলে বাইডেন শিরোনামে উঠে আসেন৷
ছবি: Carolyn Kaster/AP/picture alliance
যৌন নির্যাতনের অভিযোগ
২০২০ সালের মার্চ মাসে টারা রিড অভিযোগ আনেন যে ১৯৯৩ সালে জো বাইডেন তাঁকে যৌন নির্যাতন করেছিলেন৷ সেনেটর থাকাকালীন বাইডেনের অফিসে সহযোগী হিসাবে কাজ করতেন রিড৷ ১৯৯৩ সালে বিষয়টি আলোচিত হবার পর নতুন করে এবছর আবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রেক্ষিতে সেটি আলোচনায় উঠে আসে৷ এই অভিযোগ বাইডেন উড়িয়ে দিলেও আরো কয়েকজন নারী বাইডেনের বিরুদ্ধে অসঙ্গত আচরণের অভিযোগ এনেছেন৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/J. Locher
বাইডেনের যত নাম
গণমাধ্যমে বাইডেনের নামের সাথে জুড়েছে নানা ধরনের বিশেষণ৷ জীবনের গোড়ার দিকের অর্থনৈতিক বাস্তবতার কারণে কখনো তাঁর নাম হয়েছে ‘মিডল ক্লাস জো’৷ ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশগ্রহণের সময় বয়সের কারণে ডনাল্ড ট্রাম্প তাঁকে তাচ্ছিল্য করে বলেন ‘স্লো জো’ ও ‘স্লিপি জো’৷
ছবি: Jim Watson/AFP/Getty Images
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশগ্রহণ
২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিসাবে অংশগ্রহণ করেন জো বাইডেন৷ তার পক্ষে ব্যাপকভাবে প্রচারে নামেন সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা৷ টুইটার-ইন্সটাগ্রামে পাশে দাঁড়ান সেলেব্রেটিরাও৷ নির্বাচনে ডনাল্ড ট্রাম্পকে হারিয়ে বিজয়ী হন তিনি৷ বাইডেনের নির্বাচনসঙ্গী কমলা হ্যারিস দেশের প্রথম ভারতীয় বংশোদ্ভূত, প্রথম আফ্রিকান-অ্যামেরিকান ও প্রথম নারী ভাইস প্রেসিডেন্ট হয়ে ইতিহাস গড়েন৷