1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
রাজনীতিউত্তর অ্যামেরিকা

মার্কিন নির্বাচন: লড়ছেন না বাইডেন, ব্য়াটন হ্য়ারিসের হাতে

২২ জুলাই ২০২৪

নির্বাচনের দৌড় থেকে সরে দাঁড়ালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে প্রেসিডেন্টের লড়াইয়ে কমলা হ্য়ারিস।

জো বাইডেন এবং কমলা হ্য়ারিস
মার্কিন প্রেসিডেন্ট এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট এক ফ্রেমেছবি: Ricky Fitchett/ZUMA Press Wire/picture alliance

অভূতপূর্ব সিদ্ধান্ত। রোববার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ঘোষণা করলেন, তিনি নির্বাচনের দৌড় থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন। তবে বিশেষজ্ঞদের অনেকেরই বক্তব্য়, প্রবল চাপের মুখে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাইডেন। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা থেকে শুরু করে ডেমোক্র্য়াটদের একটি বড় অংশ চাইছিল, বাইডেন লড়াই থেকে সরে যান। অন্য কোনো কারণে নয়, তাদের সকলেরই বক্তব্য়, শারীরিকভাবে যথেষ্ট শক্তিশালী নন বাইডেন। বয়সের কারণে তিনি খানিকটা ন্যূব্জ হয়ে পড়েছেন। যার স্পষ্ট ইঙ্গিত মিলেছিল সিএনএন চ্য়ানেলে রিপাবলিকান প্রার্থী ডনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বাইডেনের বিতর্কসভায়। বাইডেনের কথা জড়িয়ে যাচ্ছিল সেখানে।

নৈশভোজে বাইডেনের ট্রাম্প-কৌতুক

01:46

This browser does not support the video element.

বাইডেনের সিদ্ধান্ত

রোববার একটি অনলাইন বিবৃতিতে বাইডেন লিখেছেন, 'সকলকে ধন্য়বাদ আমায় অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্ট হতে সাহায্য করার জন্য়। আমি দেশের জন্য় কাজ করতে পেরে খুশি এবং গর্বিত। দ্বিতীয়বার নির্বাচনে লড়ার জন্য় পথে নেমেছিলাম। কিন্তু দল এবং দেশের স্বার্থে সেই রাস্তা থেকে সরে দাঁড়াচ্ছি।'

গত বেশ কয়েকসপ্তাহ ধরেই ডেমোক্র্য়াট নেতারা বাইডেনের সরে দাঁড়ানো উচিত বলে সওয়াল করছিলেন। সেই পরিস্থিতির মধ্যে এই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিলেন বাইডেন।

এর পর কী

বাইডেনের পদত্য়াগের পর কমলা হ্য়ারিস একটি বিবৃতি দিয়েছেন। যেখানে তিনি বলেছেন, এই সিদ্ধান্ত নিতে পারার জন্য় বাইডেনকে তিনি সাধুবাদ জানান। বাইডেনের এই পদক্ষেপকে তিনি দেশপ্রেমের সঙ্গে তুলনা করেছেন। একইসঙ্গে হ্য়ারিস জানিয়েছেন, নতুন প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসেবে তার দল তাকে চিহ্নিত করেছে। তিনি ট্রাম্পকে হারিয়ে সেই আস্থার প্রতি মর্যাদা প্রদর্শন করবেন।

আনুষ্ঠানিক ঘোষণা

ডেমোক্র্য়াট শিবিরের অনেকেই বলছেন, এবার প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসেবে লড়াইয়ে নামবেন হ্য়ারিস। এতদিন তিনি দেশের ভাইসপ্রেসিডেন্ট ছিলেন। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে পরবর্তী প্রার্থীর নাম ঘোষণা হবে আগামী অগাস্ট মাসে। শিকাগোয় ডেমোক্র্য়াটদের কনভেনশনে আনুষ্ঠানিকভাবে এই নাম ঘোষণা করা হবে।

উল্লেখ্য, প্রাইমারিতে বাইডেন বিপুল সমর্থন পেয়েছিলেন। তার ভিত্তিতেই ডেমোক্র্য়াটদের কনভেনশনে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে তার নাম ঘোষণা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পরিবর্তীত পরিস্থিতিতে নতুন নেতার নাম ঘোষণা করা হবে। মনে করা হচ্ছে, হ্য়ারিসকেই সেই সুযোগ দেওয়া হবে। বস্তুত, ডেমোক্র্য়াট ফান্ড রাইসিং সংস্থা ইতিমধ্যেই হ্য়ারিসের নামে অর্থ সংগ্রহ শুরু করে দিয়েছে। যে অর্থ তার নির্বাচনি প্রচারে খরচ হবে।

তবে ওবামা যে বিবৃতি দিয়েছেন, সেখানে হ্য়ারিসের কথা বলা হয়নি। তিনি বলেছেন, আগামী অগাস্টে ডেমোক্র্য়াট নেতারা তাদের প্রার্থী বাছাই করে নেবেন।

বাইডেনের পাশে বিশ্ব

এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর বিশ্বের নেতারা বাইডেনেরপাশে দাঁড়িয়েছেন। যুক্তরাজ্য়ের প্রধানমন্ত্রী থেকে জার্মান চ্য়ান্সেলর-- সকলেই বাইডেনের এই সিদ্ধান্তকে সাহসী বলে অভিহিত করেছেন। একই সঙ্গে তারা বাইডেনের সুস্থতা কামনা করেছেন। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন এবং তার স্ত্রী হিলারি ক্লিনটন বিবৃতি দিয়ে বাইডেনের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং বাইডেনের প্রশংসা করেছেন।

ক্রেমলিন অবশ্য জানিয়েছে, বাইডেনের সিদ্ধান্তে তারা চিন্তিত। কারণ, বাইডেনের গতিপ্রকৃতি তাদের কাছে চেনা ছিল। নতুন যিনি আসবেন, তাকে নতুন করে জানতে হবে।

ডেমোক্র্য়াটদের একটি অংশ বাইডেনের এই সিদ্ধান্তে অবশ্য খুশি নয়। নির্বাচনি প্রচারের মাঝপথে প্রেসিডেন্টের এই সিদ্ধান্ত ঠিক নয় বলেই তারা মনে করছেন।

উল্লেখ্য আগামী ৫ নভেম্বরর অ্যামেরিকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। রিপাবলিকানরা ইতিমধ্যেই ট্রাম্পকে পদপ্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত করেছে।

এসজি/জিএইচ (এপি, এএফপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ