আর তিন মাস পরই বাংলাদেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আগের দু'টি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে যে ধরনের উত্তাপ ছিল, এবারের চিত্রটা পুরোপুরি ভিন্ন।
বিজ্ঞাপন
২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে ছিল হরতাল-অবরোধের মধ্যে গাড়িতে আগুন আর পেট্টোল বোমা হামলা। ফলে ঢাকা শহরের বাসিন্দাদের এক ধরনের আতঙ্ক নিয়েই ঘর থেকে বের হতে হতো। এরপর ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড না থাকলেও রাজনীতির মাঠ বেশ গরম ছিল। নানা ধরনের মিটিং-সিটিংয়ের মধ্যে ব্যস্ততা ছিল রাজনীতিবিদদের। এবার, অর্থাৎ ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে যে নির্বাচনটি হতে যাচ্ছে, এটি নিয়ে নেই ‘সন্ত্রাসী' কর্মকাণ্ড। অন্যদিকে প্রধান দুই দল কিছু সমাবেশ করলেও মিটিং-সিটিংয়ের ব্যস্ততা খুব একটা দেখা যাচ্ছে না। আগের দু'টি নির্বাচনে রাজনীতিবিদদের ব্যস্ততা দেখা গেলেও এবারের ভোট যেন উত্তাপ ছড়িয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যেও।
সাধারণ মানুষের মধ্যে কেন এই উত্তাপ? এবার আসি সেই প্রসঙ্গে। গত মে মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের জন্য ভিসানীতি ঘোষণা করে। মূলত এই ভিসানীতিই পাল্টে দিয়েছে অনেক কিছু। রাজনীতিবিদদের আচরণ যেমন বদলে গেছে, তেমনি আচরণ বদলে গেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী বা প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিদের। এমনকি ঢাকার পত্রিকা অফিসের নিউজরুমের চিত্রও পাল্টে গেছে। আগে যেখানে মিডিয়াগুলোতে সরকারের নিউজ সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে ছাপা হতো, এখন সেখানে গুরুত্ব পাচ্ছে বিরোধী দলের সংবাদও। কী জাদু আছে ওই ভিসানীতিতে? ঢাকায় আমি যে মিডিয়া হাউজে কাজ করি, তার নীচে ফুটপাতে চায়ের দোকানে প্রতিদিনই বিপুল সংখ্যক সাংবাদিকের আড্ডা হয়। সেই আড্ডার বিষয়বস্তুও এখন ভিসানীতি। এর মধ্যে আবার আগুনে ঘি ঢেলেছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। তিনি বলেছেন, সংবাদমাধ্যমও ভিসানীতির আওতায় আসতে পারে। এতদিন সাংবাদিকরা মোটামুটি নিশ্চিত ছিলেন সুষ্ঠু নির্বাচন বিঘ্নকারী ব্যক্তিরা ভিসানীতির আওতায় পড়বেন। অর্থাৎ, সাংবাদিকরা এর মধ্যে পড়বেন না। কিন্তু পিটার হাসের নতুন এই বক্তব্য সাংবাদিক মহলে বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বক্তব্যের পর সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে। এমনকি তথাকথিত তালিকাও ছড়িয়ে পড়েছে। সেই তালিকায় আওয়ামী লীগপন্থি সিনিয়র সাংবাদিক, সাংবাদিক নেতা, পত্রিকার সম্পাদকসহ প্রায় একশ' সাংবাদিকের নাম এসেছে। এর মধ্যে আবার ৭ জন সাংবাদিক নেতা ফ্রান্সে একটি অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য ভিসার আবেদন করেছিলেন। কিন্তু তাদের ভিসা না হওয়ায় অলিতে গলিতে সাংবাদিকদের আড্ডায় ভিসানীতি বাস্তবায়ন হয়েছে বলে আলোচনা হচ্ছে। এখন সামাজিক মাধ্যমে লেখালেখির ব্যাপারেও সাংবাদিকরা বেশ সাবধান। পত্রিকাগুলোর রিপোর্টে যেমন ভারসাম্য এসেছে, সাংবাদিকদের কথাবার্তায়ও এক ধরনের পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। প্রশাসন বা পুলিশের কর্মকর্তারাও বেশ সতর্ক।
এর আগে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে র্যাবের উর্ধ্বতন ৭ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল তখন কিন্তু এত আলোচনা হয়নি। কারণ, তখন নির্দিষ্ট ছিল যে, এই ৭ জনের ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা এসেছে। ফলে অন্যরা খুব একটা গা করেনি। কিন্তু এবারের ভিসানীতি সচেতন সবাইকেই নাড়া দিয়েছে। যিনি কোনোদিন অ্যামেরিকায় যাননি, তিনিও সতর্ক। আর যাদের যাওয়া-আসা আছে, তারা তো আরও বেশি আতঙ্কের মধ্যে আছেন। কী করলে আবার কী হয়, ফলে অনেকটা নিশ্চুপ তারা। বিরোধী পক্ষও এই ভিসানীতির এক ধরনের সুবিধা পেয়েছে।
এবার আসা যাক আর্থিক নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে। এখনও এই ধরনের কোনো নিষেধাজ্ঞা না এলেও ব্যাপকভাবে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। যদিও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম দুই দিন আগে বলেছেন, নির্বাচনের আগে আর কোনো নিষেধাজ্ঞা আসবে না। কিন্তু তার এই বক্তব্যে কেউ আস্বস্ত হতে পরছেন না। বিশেষ করে ব্যবসায়ি মহল আর্থিক নিষেধাজ্ঞা নিয়ে খুবই শঙ্কিত। বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির অবনতিতে গভীর উদ্বেগ জানিয়ে ইউরোপীয় পার্লামেন্টে সম্প্রতি একটি প্রস্তাব কণ্ঠভোটে গৃহীত হয়েছে। সেখানে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে ‘এভরিথিং বাট আর্মসের' (ইবিএ) সুবিধা অব্যাহত রাখা উচিত কিনা, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদস্যরা। এমনটি হলে পোশাক রপ্তানির উপর কেমন প্রভাব পড়তে পারে? বিষয়টি নিয়ে কথা হচ্ছিল পোশাক রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ'র সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ফজলুল আজিমের সঙ্গে। তার মতে, ইবিএ সুবিধা বাতিল হলে আমরা ভয়াবহ বিপদে পড়বো। কারণ, আমাদের পুরো রপ্তানির ৬০ ভাগই যায় ইউরোপে। এটা হলে আমাদের অর্থনীতি একটা মহাসংকটে পড়বে। অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা নিয়ে বাংলাদেশের মিডিয়াও খুবই সতর্কভাবে রিপোর্ট করছে। খুব বেশি রিপোর্টও দেখা যাচ্ছে না। ব্যক্তির উপর নিষেধাজ্ঞা আর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা তো এক জিনিস নয়।
সম্প্রতি বাংলাদেশের কয়েকটি পত্রিকায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সম্পদ থাকা ব্যক্তিদের নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। আমলাদের মধ্যে কার কার ছেলে-মেয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনা করে, তাদের তালিকাও এসেছে। কারা অবৈধভাবে অর্থ পাঠিয়ে সেখানে বাড়ি কিনেছেন, এমন কিছু নামও এসেছে। রাজনীতিবিদদের বাইরেও প্রশাসনের অনেকের নাম আছে এই তালিকায়। তবে সবক্ষেত্রেই যে খুব বেশি যাচাই-বাছাই করে এগুলো ছাপা হচ্ছে, এমনটিও নয়। এই ধরনের খবরগুলো পাঠককে এই মুহুর্তে খুবই আকৃষ্ট করছে। ফলে নিয়মিতই কিছু না কিছু খবর ছাপা হচ্ছে। নিউজরুমগুলোতে নিউজ যা-ই হোক, প্রতিদিনই আলোচনার বিষয়স্তু এরপর কী হবে? কী পদক্ষেপ নেবে যুক্তরাষ্ট্রসহ তার মিত্র পশ্চিমারা। আর কারাই বা থাকবেন এই তালিকায়? নির্বাচন যত এগিয়ে আসবে এই ধরনের আলোচনা ততই বাড়তে থাকবে এটা মোটামুটি নিশ্চিত করে বলা যায়।
বিভিন্ন দেশে যেসব কারণে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞা
গণতন্ত্র ও নির্বাচন প্রক্রিয়া ক্ষুণ্ন করা, মানবাধিকার লঙ্ঘন, গণমাধ্যমকে কাজ করতে না দেয়া, রাজনৈতিক অংশগ্রহণে বাধা দিতে আইন পাস- ইত্যাদি নানা কারণে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়ে থাকে যুক্তরাষ্ট্র৷
ছবি: Olga Yastremska/Pond5 Images/IMAGO
কয়েক দফা ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতায় নাইজেরিয়া
নাইজেরিয়ার অন্যতম শীর্ষস্থানীয় নিউজ সাইট ‘দ্য ক্যাবল’ জানিয়েছে, ২০১৯ সালের পর গণতন্ত্র ও নির্বাচনি প্রক্রিয়া ক্ষুণ্ন করার অভিযোগে কয়েক দফায় নাইজেরিয়ার নির্দিষ্ট কিছু ব্যক্তির বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র৷
ছবি: Yasuyoshi Chiba/AFP
প্রথমে সতর্ক বার্তা, পরে নিষেধাজ্ঞা
২০১৯ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি নাইজেরিয়ায় প্রেসিডেন্ট ও সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়৷ এরপর ২ মার্চ ২৯ রাজ্যে গভর্নর নির্বাচন হয়৷ তার আগে ২৪ জানুয়ারি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ক্ষুণ্ন করলে বা নির্বাচন সংক্রান্ত সহিংসতার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞাসহ অন্যান্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হতে পারে বলে সতর্ক করেছিল যুক্তরাষ্ট্র৷ এরপর নির্বাচনের পর ২৩ জুলাই কয়েকজনের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়৷
ছবি: Getty Images/AFP/L. Tato
সহিংসতায় প্রাণহানি, প্রেসিডেন্ট পুনর্নির্বাচিত
নাইজেরিয়ার অন্যতম শীর্ষস্থানীয় অ্যানালিসিস প্ল্যাটফর্ম এসবিএম ইন্টেলিজেন্স-এর হিসাবে ২০১৯ সালের ঐ দুই নির্বাচনের সময় সহিংসতায় ৬২০ জনের বেশি মানুষ মারা যান৷ আর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দেশটির সেই সময়কার প্রেসিডেন্ট মুহাম্মাদু বুহারি (ছবিতে বামে) পুনরায় নির্বাচিত হয়েছিলেন৷
ছবি: Reuters/A. Sotunde
এবার নির্বাচনের আগেই ভিসা নিষেধাজ্ঞা
২০২০ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর নাইজেরিয়ার কয়েকজনের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেয়ার কথা জানিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র৷ এর মধ্যে এডো ও অন্ডো রাজ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের আগেই কয়েকজনের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছিল৷ এছাড়া ২০১৯ সালে কোগি ও বায়েলসা রাজ্যে গভর্নর নির্বাচনে সংশ্লিষ্ট কয়েকজনের বিরুদ্ধেও নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়৷
ছবি: Pius Utomi Ekpei/AFP
নাইজেরিয়ায় এ বছরের নির্বাচনের পর আবার নিষেধাজ্ঞা
এ বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি নাইজেরিয়ায় প্রেসিডেন্ট ও কেন্দ্রীয় সংসদ নির্বাচন হয়েছে৷ আর ১১ মার্চ গভর্নর ও রাজ্য সংসদের নির্বাচন হয়৷ এসব নির্বাচনের সময় গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ক্ষুণ্ন করার দায়ে কয়েকজন ব্যক্তির উপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেয়ার কথা ১৫ মে জানায় যুক্তরাষ্ট্র৷ এর আগে গতবছর অনুষ্ঠিত দুটি রাজ্যের গভর্নর নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কয়েকজনের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেয়ার কথা এবছর জানুয়ারিতে জানানো হয়েছিল৷
ছবি: MICHELE SPATARI/AFP
নির্বাচন সম্পন্ন করতে না পারায় সোমালিয়ায় নিষেধাজ্ঞা
সোমালিয়ায় ২০২১ সালের ২৪ ডিসেম্বর সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল৷ কিন্তু রাজনৈতিক সংকটের কারণে সেই সময় ২৭৫ আসনের মধ্যে মাত্র ২৪টিতে নির্বাচন করা সম্ভব হয়৷ বাকি আসনের নির্বাচন ২৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে করার কথা বলা হয়েছিল৷ কিন্তু সেই সময়সীমাও আবার পিছিয়ে ১৫ মার্চ করা হয়৷ সে কারণে ২৫ ফেব্রুয়ারি কয়েকজনের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র৷ অবশেষে এপ্রিলে বাকি আসনগুলোর নির্বাচন সম্পন্ন হয়৷
ছবি: Farah Abdi Warsameh/AP/picture alliance
উগান্ডায় নিষেধাজ্ঞা
২০২১ সালের ১৪ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনের সময় গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ক্ষুণ্ন করার দায়ে ঐ বছরের ১৬ এপ্রিল কয়েকজনের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেয়ার কথা জানিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র৷
ছবি: Badru Katumba/AFP/Getty Images
গণতন্ত্রের উপর হামলা করায় নিকারাগুয়ায় নিষেধাজ্ঞা
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ছয় প্রার্থীসহ ২৬ জন রাজনৈতিক বিরোধীকে গ্রেপ্তার, রাজনৈতিক অংশগ্রহণে বাধা সৃষ্টিকারী বিভিন্ন আইন পাস, সুশীল সমাজ ও স্বাধীন গণমাধ্যমকে হয়রানি ইত্যাদি কারণে নিকারাগুয়ার ১০০ জনের বিরুদ্ধে ২০২১ সালের ১২ জুলাই ভিসা নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল যুক্তরাষ্ট্র৷ তারা সবাই দেশটির প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল ওর্তেগার (ছবিতে বামে) ঘনিষ্ঠ৷
২০২১ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি একটি মানবাধিকার সংস্থা, সাংবাদিক সংগঠন ও স্বাধীন ট্রেড ইউনিয়ন কর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযান এবং ১৮ ফেব্রুয়ারি দুই সাংবাদিকে কারাদণ্ড দেয়ার বেলারুশের ৪৩ জনের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র৷ এর আগে দুই দফায় আরও ৬৬ জনের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়৷ তারা সবাই বেলারুশের প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কো প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ছিলেন৷
ছবি: Ramil Nasibulin/BelTA/Reuters
সিয়েরা লিওনের জন্য ভিসা নীতি
এ বছর জুনে সে দেশে নির্বাচন হয়েছে৷ এরপর ৩১ আগস্ট ভিসা নীতি ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্র৷ এতে বলা হয়, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ক্ষুণ্ন করার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেয়া হবে৷
ছবি: Cooper Inveen/REUTERS
নির্বাচনের পর কম্বোডিয়ায় ভিসা নিষেধাজ্ঞা
২৩ জুলাই নির্বাচনের পর কম্বোডিয়ায় কিছু ব্যক্তির ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র৷ সেই সঙ্গে বিদেশি কিছু সহায়তা কর্মসূচিও স্থগিত করেছে৷ মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এক বিবৃতিতে বলেছিলেন, কম্বোডিয়ার নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি৷ দেশটির প্রধানমন্ত্রী হুন সেনের সিপিপি দলের কোনো শক্ত বিরোধী দল নির্বাচনে ছিল না৷
ছবি: Reuters/S. Pring
লাইবেরিয়ার জন্য ভিসা নীতি
১০ অক্টোবর দেশটিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে৷ তার আগে ২৭ সেপ্টেম্বর ভিসা নীতি ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্র৷ এতে বলা হয়, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ক্ষুণ্ন করার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেয়া হবে৷
ছবি: John Wessels/AFP
নিষেধাজ্ঞার আওতায় বাংলাদেশও
বাংলাদেশের নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ করার লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র ভিসা নীতি ঘোষণা করে গত ২৪ মে৷ এরপর ২২ সেপ্টেম্বর এই নীতির প্রয়োগ শুরুর কথা জানায় মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়৷ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ক্ষুণ্ন করায় দায়ী ব্যক্তিরা এর আওতায় পড়বেন বলে জানানো হয়েছে৷