1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মার্কিন-ইরানি সম্পর্কে উত্তেজনা

৩০ ডিসেম্বর ২০১৫

গত শনিবারের ঘটনা৷ হরমুজ প্রণালীতে ইরানের বিপ্লবী রক্ষীবাহিনীর প্রায় অঘোষিত এক রকেট টেস্ট৷ রকেটগুলি ছোঁড়া হয় মার্কিন হ্যারি এস. ট্রুম্যান বিমানবাহী পোত ও অন্যান্য জঙ্গিজাহাজ থেকে মাত্র ১,৩৭০ মিটার দূরে৷

Archivbild Iran Kriegsschiff Straße von Hormus
ছবি: Ebrahim Noroozi/AFP/Getty Images

ইরানের পরমাণু কর্মসূচি সংক্রান্ত বিরোধে সর্বাধুনিক প্রগতির খবর – অর্থাৎ ইরান যে তার সমৃদ্ধিকৃত ইউরেনিয়ামের একাংশ জাহাজে করে রাশিয়ায় পাঠিয়েছে, সে খবর পুরনো হতে না হতেই মার্কিন-ইরানি সম্পর্কে নতুন উত্তেজনা দেখা দিয়েছে৷

ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ডের মুখপাত্র কমান্ডার কাইল রেইন্স একটি বিবৃতিতে বলেছেন যে, হ্যারি এস. ট্রুমান বিমানবাহী পোত, ইউএসএস বাল্কলে ডেস্ট্রয়ার ও ফরাসি রণতরী এফএস প্রোভঁস-এর অদূরে ‘‘একাধিক অনিয়ন্ত্রিত রকেট'' নিক্ষেপ করা হয়েছে৷ তখন কাছে কিছু বাণিজ্যিক পোতও ছিল, বলে রেইন্স জানান৷

রেইন্স ইরানের এই পদক্ষেপকে ‘‘উচ্চমাত্রায় প্ররোচনামূলক'' বলে অভিহিত করেন৷ বলেন, ‘‘মিত্রজোটের জাহাজ ও বাণিজ্যিক জাহাজ চলাচলের এত কাছে, আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত একটি সমুদ্রপথের আওতায় অস্ত্রচালনা অনিরাপদ, অপেশাদারী ও আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক আইনের সঙ্গে অসামঞ্জস্য৷''

এনবিসি নিউজ প্রথম রকেট ফায়ারিং খবর দেবার পর থেকেই টুইটারে মন্তব্য শুরু হয়ে যায়৷ ‘রেজর' টুইট করেন: ‘ইরান চুক্তি বিশ্বকে নিরাপদ করেছে কেননা আমরা এই শান্তি উদ্যোগে আমাদের সহযোগীকে বিশ্বাস করতে পারি, যে সহযোগী সদ্য আমাদের বিমানবাহী পোতের কাছে রকেট ছুঁড়েছে৷'

স্টিফেন মিলার ব্যাপারটা আপেক্ষিকভাবে দেখার চেষ্টা করেছেন: ‘ন্যায়বিচার করতে গেলে বলতে হয় যে, রকেটটা ছোঁড়া হয়েছে ইরানের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক আপামর জনতার কথা স্মরণ করে৷'

রান আর ওমানের মধ্যে হরমুজ প্রণালী দিয়ে সারা বিশ্বে সমুদ্রপথে রপ্তানিকৃত খনিজ তেলের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ যায়৷ তথাকথিক ইসলামিক স্টেট বা আইএস-এর বিরুদ্ধে যুদ্ধেও আন্তর্জাতিক মিত্রজোটের জাহাজগুলির পক্ষে এই প্রণালীর গুরুত্ব অসীম৷ ইরান ইতিপূর্বে এই প্রণালী বন্ধ করে দেবার হুমকি দিয়েছে, তবে সম্প্রতি আর নয়৷ অপরদিকে এই এলাকায় ইরানের ‘ওয়ার গেমস' আর সামরিক মহড়া যেমন বহুদিন ধরে চলে আসছে, ঠিক তেমনই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সে বিষয়ে অভিযোগ করে আসছে৷ তবে মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন নীতি এখন একটা মোড় নিচ্ছে, যার প্রমাণ সদ্য ফাঁস হওয়া এই খবর: যুক্তরাষ্ট্র যখন ইরানের সঙ্গে পরমাণু নিয়ে আপোশ করার চেষ্টা করছে, তখন ইসরায়েলের নেতানিয়াহু তা বানচাল করার চেষ্টা করছিলেন৷ ওদিকে আবার পাল্টা প্রক্রিয়ায় মার্কিন এনএসএ গুপ্তচর সংস্থা খোদ নেতানিয়াহুর উপর নজর রেখেছিল৷

এসি/ডিজি (এপি, ডিপিএ, রয়টার্স)

আপনার কী মনে হয়? ইরান চুক্তি কি বিশ্বকে সত্যিই নিরাপদ করেছে? জানান নীচের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ