আন্তর্জাতিক খেলাধুলায় ডোপিং রুখতে মার্কিন সেনেটে পাস হয়েছে একটি বিল৷ কিন্তু তাতে সন্তুষ্ট নয় ওয়ার্ল্ড অ্যান্টি-ডোপিং এজেন্সি৷
বিজ্ঞাপন
২০১৪ সালে সোচি শীতকালীন অলিম্পিক চলাকালীন, রাশিয়ায় রাষ্ট্রীয় সহযোগিতায় চলতে থাকা ডোপিং-কীর্তিকলাপ জনগণের সামনে প্রকাশ করে শিরোনামে আসেন গ্রিগোরি রোচেনকভ৷ বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আত্মগোপন করে রয়েছেন তিনি৷ সেই রোচেনকভের কাজকে স্মরণে রেখে সোমবার মার্কিন সেনেট পাস করেছে ডোপিংবিরোধী বিল, যার নাম ‘রোচেনকভ অ্যান্টি-ডোপিং বিল’৷
এই বিলের আওতায় থাকবে আন্তর্জাতিক ইভেন্টে অংশগ্রহণ করা মার্কিন অ্যাথলিট, তাদের পৃষ্ঠপোষক এমনকি সম্প্রচারের সাথে যুক্ত কর্মীরাও৷
এবিষয়ে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যান্টি-ডোপিং এজেন্সি ইউএসএডিএ-র প্রধান ট্রাভিস টাইগার্ট বলেন, ‘‘এই আইন সৎ অ্যাথলিটদের সুরক্ষা দেবে৷ পাশাপাশি, আন্তর্জাতিক স্তরে যে ডোপিং চক্রান্ত চলছে, তা খেলাধুলার সাথে জড়িতদের জন্য ক্ষতিকর৷ এই আইন তাকে থামাতে ভূমিকা রাখবে৷’’
ডোপিং-এর কত রকম অজুহাত হতে পারে!
খেলাধুলার জগতে ডোপিং-এর জন্য ‘ব্যান’ প্রায় জলভাত হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ মূত্রে বা রক্তে নিষিদ্ধ ডোপিং পদার্থ ধরা পড়লে প্রশ্ন ওঠে, ক্রীড়াবিদের শরীরে তা ঢুকল কি করে৷ ঠিক তখনই নানা বিশ্বাস্য কিংবা অবিশ্বাস্য কাহিনির অবতারণা ঘটে৷
ছবি: Montage: picture-alliance/dpa/DW
চায়ের পেয়ালাতে বোধহয় কিছু ছিল
পেরুর জাতীয় ফুটবল একাদশের ক্যাপ্টেন এবং বায়ার্ন মিউনিখ ও হামবুর্গের সাবেক খেলোয়াড় পাওলো গেরেরো রাশিয়ায় আগামী বিশ্বকাপে অনুপস্থিত থাকবেন৷ কোকেন ও অন্যান্য মাদকের রেশ ধরা পড়ার পর তাঁর উপর এক বছরের নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে৷ গেরেরো বলছেন, তিনি নাকি জ্বর-জ্বর ভাব কাটানোর জন্য এক পেয়ালা চা খেয়েছিলেন৷ সেই চাতেই নাকি কিছু ছিল৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/R. Abd
কে যেন টুথপেস্টে...
জার্মানির ডিটার বাউমান ১৯৯২-এর অলিম্পিকে ৫,০০০ মিটার দৌড়ে চ্যাম্পিয়ন হন৷ পরে তাঁর ড্রাগ টেস্টে নান্ড্রোলোন ধরা পড়ায় ১৯৯৯ সালে বাউমানকে দু’বছরের জন্য ব্যান করা হয় – ফলে তিনি ২০০০ সালের সিডনি অলিম্পিকে অংশ নিতে পারেননি৷ বাউমানের যুক্তি ছিল, হেটেলে কে যেন তাঁর টুথপেস্টে কিছু একটা ঢুকিয়ে দিয়েছিল৷ তবে ২০০২ সালে মিউনিখের ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে বাউমান ৩৭ বছর বয়সে রুপো জেতেন ১০,০০০ মিটার দৌড়ে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
অন্যরা গঞ্জিকা সেবন করছিল
অলিম্পিকের ইতিহাসে স্নোবোর্ডিং-এ প্রথম সোনা জেতেন ক্যানাডার রস রেবাগলিয়াতি, ১৯৯৮ সালে নাগানোয় অনুষ্ঠিত শীতকালীন অলিম্পিকে৷ জেতার কয়েক ঘণ্টা পরেই তাঁর স্যাম্পলে গাঁজার মূল উপাদান টিএইচসি ধরা পড়ে, ফলে রেবাগলিয়াতিকে সাময়িকভাবে ডিসকোয়ালিফাই করা হয়৷ রেবাগলিয়াতির যুক্তি ছিল, অন্যরা যখন গাঁজা খাচ্ছিল, তখন তিনি সেখানে ছিলেন৷ ২০১৩ সালে রেবাগলিয়াতি মেডিক্যাল মারিজুয়ানার ব্যবসা শুরু করেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/D. Karmann
ডোপিং সত্ত্বেও চ্যাম্পিয়ন
বলা হয়, সেটাই নাকি খেলাধুলায় ডোপিং-এর প্রথম ঘটনা৷ ১৯০৪ সালে সেন্ট লুইসের ম্যারাথনে ট্রেনাররা দৌড়ের আগে মার্কিন দৌড়বীর টমাস হিক্সকে স্ট্রিকনিন বিষ ও ডিমের সাদাটি মিশিয়ে একটি পদার্থ সেবন করতে দিয়েছিলেন৷ হিক্স রেসে জেতেন ঠিকই, যদিও তিনি ফিনিশিং লাইনে কাত হয়ে পড়েন ও তার পর বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে দৃষ্টিভ্রমে ভোগেন৷ তবে ডোপিং সংক্রান্ত নিয়মকানুন না থাকায় হিক্সকে যথারীতি বিজয়ী ঘোষণা করা হয়৷
ছবি: picture-alliance/akg-images
ডোপিং নয়, পুরুষকার
ডেনিস মিচেল (ডান দিক থেকে দ্বিতীয়) ১৯৯২ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে রিলেতে সোনা জেতেন বটে, কিন্তু ছ’বছর পরে তাঁর শরীরে অবৈধ পরিমাণ টেস্টোস্টেরন পাওয়া যায়৷ মিচেল দাবি করেন যে, নমুনা দেওয়ার আগে তিনি নাকি পাঁচ বোতল বিয়ার পান করেছিলেন ও তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে অন্তত চারবার যৌনসম্ভোগ করেছিলেন৷ মার্কিন ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড অথরিটি ব্যাখ্যাটি মেনে নিলেও আইএএএফ তা মেনে নেয়নি৷
ছবি: picture-alliance/dpa/S.Simon
ঠোঁটের মলম থেকে বিপত্তি
নরওয়ের প্রখ্যাত মহিলা স্কি খেলোয়াড় টেরেজে ইউহাগ গতবছর একটি ড্রাগ টেস্টে অ্যানাবলিক স্টেরয়েডের জন্য পজিটিভ ফলের পর দেড় বছরের জন্য নিষেধাজ্ঞা পেয়েছেন – ফলে তিনি আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের শীতকালীন অলিম্পিকে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না৷ ইউহাগের বক্তব্য হলো, তিনি ঠোঁট না ফাটার একটি মলম ব্যবহার করেছিলেন৷ নরওয়ের স্কি দলের ডাক্তার, যিনি ইউহাগকে মলমটি দিয়েছিলেন, তিনি এই ঘটনার পর পরই পদত্যাগ করেন৷
ছবি: Getty Images/Bongarts/A. Hassenstein
অ্যাক্সিডেন্টের দরুণ ড্রাগ টেস্টে যেতে পারেননি
একাতেরিনি থানু ও তাঁর ট্রেনিং পার্টনার কনস্তান্তিনোস কেন্তেরিস ২০০৪ সালে এথেন্সে গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকের প্রাক্কালে একটি ড্রাগ টেস্টে হাজির হননি৷ সেদিনই এর কিছু পরে দু’জনকে হাসপাতালে পাওয়া যায় – উভয়ের নাকি একটি মোটরসাইকেল অ্যাক্সিডেন্ট হয়েছিল৷ দুই ক্রীড়াবিদ আর সেই অলিম্পিকে যোগ দেননি কিন্তু কর্তৃপক্ষ সাব্যস্ত করেন যে, তারা ভুয়ো বিবৃতি দিয়েছেন ও দুজনের বিরুদ্ধে এই মর্মে মামলাও করা হয়৷
ছবি: picture-alliance/dpa
রাষ্ট্রীয় ডোপিং
ক্রিগার (ছাবিতে ডানদিকে) আদতে ছিলেন হাইডি (ছবিতে বাঁ দিকে), সাবেক পূর্ব জার্মানির এক মহিলা শট পাটার৷ কমিউনিস্ট দেশটির ক্রীড়া কর্মকর্তারা হাইডিকে এমন পরিমাণে স্টেরয়েড দিতে থাকেন যে, হাইডির চেহারাই বদলে যায়৷ শেষমেষ হাইডি জেন্ডার রিঅ্যাসাইনমেন্ট সার্জারির পর পুরোপুরি ট্রান্সজেন্ডার সত্তা নেন ও আন্ড্রেয়াস ক্রিগার নামে পরিচিত হন৷
ছবি: Montage: picture-alliance/dpa/DW
ওজন কমাতে গিয়ে
অস্ট্রেলিয়ার শেন ওয়ার্ন ক্রিকেটের ইতিহাসে নিঃসন্দেহে এক মহান ব্যক্তিত্ব৷ সেই শেন ওয়ার্নকেও ২০০৩ সালে এক বছরের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়, কেননা তাঁর নমুনায় একটি ডিউরেটিক বা মূত্রবর্ধক পদার্থ পাওয়া গিয়েছিল৷ ওয়ার্ন বলেন, তিনি ওজন বাড়া নিয়ে সমস্যায় ভুগছিলেন; তখন তাঁর মা নাকি তাঁকে ঐ পথ্যটি খেতে দেন৷
ছবি: AP
9 ছবি1 | 9
টাইগার্ট আরো বলেন যে এই আইন খেলোয়াড়দের সাথে সাথে রোচেনকভের মতো আরো অনেক ‘হুইসলব্লোয়ার'দের কর্তৃপক্ষের নজরদারি ও হস্তক্ষেপ থেকে নিরাপত্তা দেবে৷ এই আইন অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক স্তরে ডোপিং এর সাথে জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তিযোগ্য অপরাধে অভিযুক্ত হিসাবে গণ্য করা হবে ও মার্কিন বিচারব্যবস্থার অধীনে চলবে বিচার ও তদন্তের কাজ৷ আইনে পরিণত হলে, এই বিশেষ ধারাভঙ্গের জন্য এক মিলিয়ন মার্কিন ডলার (প্রায় ৮৫ কোটি বাংলাদেশি টাকা) পর্যন্ত জরিমানা ও দশ বছর পর্যন্ত কারাবাসের শাস্তি হতে পারে৷
ডোপিঙে বিভক্ত পৃথিবী
২০১৯ সালেই এই ‘রোচেনকভ অ্যান্টি-ডোপিং' বিল সর্বসম্মতিক্রমে পাস হয় মার্কিন হাউস অফ রেপ্রেজেন্টেটিভসে৷ সোমবার সেনেটেও পাশ হবার পর এখন এই বিল প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের হস্তাক্ষরের অপেক্ষায়৷
কিন্তু ওয়ার্ল্ড অ্যান্টি-ডোপিং এজেন্সির মত, এই আইন বৈশ্বিক ডোপিংবিরোধী কাজে বাধা দিতে পারে৷ যেহেতু এই আইনের আওতায় রয়েছে শুধুই আন্তর্জাতিক ইভেন্ট, কোনো মার্কিন পেশাদার বা কলেজ লীগ নয়, সেক্ষেত্রে মার্কিন অ্যথলিটদের ছাড় দেবার যথেষ্ট সুযোগ রয়ে যাচ্ছে বলে তাদের মত৷ বিলটির প্রাথমিক খসড়ায় এই দুই লীগকে যুক্ত করা হলেও পাশ হওয়া বিলে তা ছিল না৷
সংবাদসংস্থা রয়টার্সকে একটি ইমেলে ওয়ার্ল্ড অ্যান্টি-ডোপিং এজেন্সি বা ওয়াডা জানিয়েছে, ‘‘ওয়াডা ও আরো কয়েকটি রাষ্ট্র ও ক্রীড়া সংগঠন এই রোচেনকভ আইন নিয়ে সংশয় প্রকাশ করছে৷ বিশেষ করে, একাধিক বৈশ্বিক ও রাষ্ট্রীয় আইনের এক্তিয়ার এই আইনের এক্তিয়ারের সাথে মিলে যাওয়ায় তা বিশ্বজুড়ে সমান আইনসৃষ্টির কাজে বিঘ্ন ঘটাবে৷ বিশ্বে যত অ্যান্টি-ডোপিং প্রোগ্রাম আছে, তার মূলেই রয়েছে আইনের একীকরণের গুরুত্ব৷’’
মার্কিন পেশাদার ও কলেজ লীগের জন্য আলাদা আইনের প্রেক্ষিতে ওয়াডার বক্তব্য, ‘‘যদি মার্কিন খেলোয়াড়েরাই সমান আইনের আওতায় না আসেন, তাহলে সারা বিশ্ব কেন তা মানবে?’’
এসএস/কেএম (এএফপি, রয়টার্স)
২০১৮ সালের অক্টোবরের ছবিঘরটি দেখুন...
খ্যাতির চূড়া থেকে ক্রীড়া তারকাদের পতন
ক্রীড়ায় অর্জনের হাত ধরে খ্যাতি ও সফলতা আসে৷ তবে এক্ষেত্রে সবচেয়ে প্রতিভাধররাও কেলেঙ্কারি ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড থেকে বাইরে থাকে না৷ নিজেদের ভাবমূর্তি নস্যাৎকারী খ্যাতিমান ক্রীড়া তারকাদের এক জায়গায় নিয়ে এসেছে ডয়চে ভেলে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
ধর্ষণের অভিযোগ রোনাল্ডোর বিরুদ্ধে
পর্তুগালের ফুটবল মহাতারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডোর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনেছেন মার্কিন মডেল ক্যাথরিন মায়োর্গা৷ তিনি অভিযোগ করেছেন যে, ২০০৯ সালে লাস ভেগাসের এক হোটেল কক্ষে রোনাল্ডো তাঁর সঙ্গে জোরপূর্বক যৌনসম্পর্ক স্থাপন করেন৷ পরে বিষয়টি আদালতের বাইরে নিষ্পত্তির জন্য অর্থ প্রদান করেন৷
ছবি: Picture-Alliance/dpa/P. Campos
ও জে সিম্পসন এবং আলোচিত বিচার
চমৎকার কলেজ ফুটবল ও এনএফএল ক্যারিয়ার সত্ত্বেও সিম্পসনের বেশি পরিচিতি তাঁর সাবেক স্ত্রী নিকোল ব্রাউনের হত্যাকাণ্ডের বিচার নিয়ে৷ সিম্পসন দোষী প্রমাণিত না হলেও, এ বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে সংবাদমাধ্যমে তুমুল আলোচনায় তাঁর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়৷ সাবেক এই অ্যামেরিকান ফুটবলার ২০০৭ সালে ডাকাতি ও অপহরণের দায়ে ন’বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/Los Angeles Daily News/M. Chun
মারাদোনা, ব্যাড বয় সুপারস্টার
আশির দশকে ফুটবলে অসামান্য নৈপুণ্য দেখিয়ে একজন ফুটবল কিংবদন্তির মর্যাদা পান দিয়েগো মারাদোনা৷ তবে অতিরিক্ত মাদক সেবনের ফল হিসেবে মাঠে তাঁর আচরণ নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়৷ এ জন্য অনেকবার মাঠে নামা থেকে বিরত থাকতে হয়েছে তাঁকে, ক্যারিয়ারের শেষ দিকে হয়েছেন নিষিদ্ধ৷ অনেকের কাছে নিন্দিতও হয়েছেন তিনি৷
ছবি: picture-alliance/NurPhoto/R. Jebarah
মারিয়ন জোন্স, কলঙ্কিত লেগাসি
এই অ্যামেরিকান স্প্রিন্টার ২০০০ সালের সিডনি অলিম্পিকে পাঁচটি সোনার পদক জেতেন৷ জোন্স বারবার দৃঢ়তার সঙ্গে ডোপিংয়ের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছিলেন৷ তবে ফেডারেল তদন্তে ক্যালিফোর্নিয়ার একটি ল্যাবে তাঁর অপরাধের প্রমাণ পাওয়া যায়৷ ২০০৭ সালে তিনি প্রকাশ্যে স্টেরয়েড ব্যবহার ও কর্তৃপক্ষের কাছে মিথ্যা বলার কথা স্বীকার করেন৷ এরপর তাঁর কাছ থেকে সব অলিম্পিক পদক কেড়ে নেওয়ার পাশাপাশি ছ’মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/A. Butler
অস্কার পিস্টোরিয়াস, ইতিহাসের পাতা থেকে কারাগারে
‘ব্লেড রানার’ নামে পরিচিতি পাওয়া আফ্রিকান প্যারালিম্পিয়ান পিস্টোরিয়াসের দুই পা নেই৷ ধাতব পা লাগিয়ে ২০১২ সালে লন্ডন অলিম্পিকে ৪০০ মিটার দৌড়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেছিলেন তিনি৷ এর আগে ২০১১ সালে অ্যাথলেটিকস ওয়ার্ন্ড চ্যাম্পিয়নশিপেও পদক জেতেন তিনি৷ কিন্তু ২০১১ সালেই নিজেদের বাসায় বান্ধবী রিভা স্টিনক্যাম্পকে গুলি করে হত্যায় দোষী সাব্যস্ত হন তিনি৷
ছবি: Reuters/P. Magakoe
ইয়ান উলরিচ, জাতীয় নায়ক থেকে ভিলেন
প্রথম জার্মান হিসেবে ১৯৯৭ সালে ট্যুর ডে ফ্রান্স জয় করেন৷ এরপর ২০০০ সালে সিডনি অলিম্পিকে স্বর্ণ ও রৌপ্য পদক জেতেন৷ উলরিচ ছিলেন বিশ্বের সেরা সাইক্লিস্টদের একজন৷ তবে ২০১৩ সালে তিন ‘ব্ল্যাড ডোপিং’-র কথা স্বীকার করেন৷ অবসরের পরে একের পর কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়েন তিনি৷ মাদকাসক্ত অবস্থায় গাড়ি চালনা থেকে শুরু করে সম্প্রতি স্প্যানিশ দ্বীপ মালোরকায় প্রতিবেশীর বাড়ি ভেঙে নিন্দিত হয়েছেন ইয়ান উলরিচ৷