যুক্তরাষ্ট্রের কর প্রথায় গত ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় রদবদল ইতিপূর্বেই হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভসে গৃহীত হয় ও আজ বুধবার চূড়ান্ত অনুমোদন পাবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে৷
বিজ্ঞাপন
বুধবার সকালে মার্কিন সেনেটে ৫১ বনাম ৪৮ ভোটে বিলটি গৃহীত হয়৷ ঘটনাটিকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে, কেননা কর সংস্কার সংক্রান্ত বিলটি যদি সত্যিই চূড়ান্তভাবে অনুমোদিত হয়, তাহলে সেটা হবে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষিত ও প্রণীত প্রথম বড় আইন৷
সেনেটে পার্টি লাইন অনুযায়ী ভোটে সব ডেমোক্র্যাট সদস্যরাই বিলটির বিরুদ্ধে ভোট দেন৷ ট্রাম্পের কর সংস্কারের ফলে কোম্পানিগুলির কর্পোরেট ট্যাক্স এক ধাক্কায় ৩৫ শতাংশ থেকে কমে ২১ শতাংশ দাঁড়াবে৷ এছাড়া মার্কিন কোম্পানিরা বিদেশ থেকে তাদের জামানত দেশে ফিরিয়ে আনলে সেই কর ১৫ দশমিক ৫ শতাংশে নেমে যাবে৷ ব্যক্তিগত আয়করের ক্ষেত্রে সবচেয়ে কম আয়ের মানুষেরা বছরে ৬০ ডলার কম আয়কর দেবার আশা করতে পারেন; অপরদিকে বছরে সাড়ে সাত লাখ ডলারের বেশি আয়ের ব্যক্তিবর্গের আয়কর প্রায় ৫১,০০০ ডলার কমে যাবে – মিডিয়া জুড়ে এই সব হিসাবনিকাশ করে দেখা ও দেখানো হচ্ছে৷ মোট কথা, করব্যবস্থায় এই রদবদলের ফলে বিত্তশালীরাই বেশি সুবিধা পাবে, বলে আগে থেকেই সমালোচনা শোনা যাচ্ছিল; বিশেষ করে ডেমোক্র্যাট তরফে সেই সমালোচনা ভবিষ্যতে তাদের নির্বাচনি প্রচার অভিযানে একটি বড় অস্ত্র হয়ে দাঁড়াবে, কারণ ট্রাম্পের এই বিল যে সাধারণ মার্কিন জনগণের অত্যন্ত অপ্রিয়, তাতে কোনো সন্দেহ নেই৷
ভোটাভুটি ও ট্রাম্পের টুইট
ডোনাল্ড ট্রাম্পের কিছু বিতর্কিত টুইট বার্তা
হোয়াইট হাউস ও নিজের প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের সঙ্গে শলাপরামর্শ না করেই ‘স্বতঃস্ফূর্ত’ টুইট বার্তা প্রকাশ করে বার বার বিতর্কের মুখে পড়েন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ তারই কিছু দৃষ্টান্ত তুলে ধরা হলো৷
ছবি: picture-alliance/dpa/P. Pleul
বার্সেলোনা হামলা, সন্ত্রাসবাদের দাওয়াই
স্পেনে একাধিক সন্ত্রাসী হামলার পর ডোনাল্ড ট্রাম্প চরম ইসলামপন্থিদের শায়েস্তা করতে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় এক মার্কিন জেনারেলের নৃশংস পদ্ধতি থেকে শিক্ষা নেবার পরামর্শ দেন৷ শুকরের মাংসে ডোবানো বুলেট দিয়ে জেনারেল পার্শিং ফিলিপাইন্সে ইসলামি বিদ্রোহীদের কীভাবে শায়েস্তা করেছিলেন, ট্রাম্প পরোক্ষভাবে সেই কাহিনির উল্লেখ করেন৷
ছবি: Getty Images/AFP/P. Barrena
শার্লটসভিলে তাণ্ডব
নব্য নাৎসি ও চরম দক্ষিণপন্থি গোষ্ঠীগুলির হিংসাত্মক তাণ্ডবের পর অ্যামেরিকাসহ গোটা বিশ্বে যখন সমালোচনার ঝড় উঠেছে৷ ট্রাম্প তখন তাণ্ডবকারী ও প্রতিবাদকারীদের ঢালাওভাবে হিংসার জন্য দায়ী করেন৷ চরম বিতর্কিত কনফেডারেট নেতাদের মূর্তি সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তেরও প্রবল সমালোচনা করেন তিনি৷
ছবি: Getty Images/D. Angerer
নিজের শিবিরই যখন লক্ষ্যবস্তু
শুধু ‘ফেক নিউজ’ নয়, ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজের রিপাবলিকান দলের একাধিক নেতা ও সংসদ সদস্যদের সমালোচনা বরদাস্ত করতে প্রস্তুত নন৷ শ্লেষাত্মক ও অপমানজনক টুইট বার্তার মাধ্যমে তিনি তাঁদের সরাসরি আক্রমণ করে আসছেন৷ ঘরের মধ্যেই অভাবে শত্রু বাড়িয়ে চললে চরম দুর্দিনে তিনি নিঃসঙ্গ হয়ে পড়বেন বলে মনে করিয়ে দিচ্ছেন অনেকেই৷
ছবি: Getty Images/W. McNamee
শিল্প-বাণিজ্য মহলের সঙ্গে সংঘাত
শার্লটসভিল কাণ্ডের পর দু’টি উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা নব্য নাৎসিদের প্রতি নরম মনোভাবের প্রতিবাদে প্রকাশ্যে ট্রাম্পের সমালোচনায় সোচ্চার হয়ে ওঠেন৷ তাঁরা পরিষদ ভেঙে দেবার উপক্রম করলে ট্রাম্প নিজেই টুইট বার্তায় সেই ঘোষণা করে লেখেন, তিনি ব্যবসায়ীদের চাপের মুখে ফেলতে চান না৷
ছবি: Imago/ZumaPress/O. Douliery
বেপরোয়া পররাষ্ট্র নীতি
নিজের প্রশাসনের পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ও সামরিক কর্মকর্তাদের মতামতের তোয়াক্কা না করেই অন্য দেশের বিরুদ্ধে তর্জন-গর্জন করতে ওস্তাদ ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে হুমকি ও ভেনেজুয়েলায় সামরিক হস্তক্ষেপের হুঙ্কার করে তিনি চরম অস্বস্তিকর পরিস্থিতি সষ্টি করেছেন৷
ছবি: picture alliance/AP Photo
5 ছবি1 | 5
ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স তাঁর মধ্যপ্রাচ্য যাত্রা স্থগিত রেখে সেনেট চেম্বারে সভাপতিত্ব করেছেন, বিলের পক্ষে ও বিপক্ষে সমান ভোট পড়লে যাতে তিনি তাঁর নিজের ভোটটি দিয়ে বিলটিকে জেতাতে পারেন৷ বিল পাস হওয়ার পরে পেন্সই সরব হর্ষধ্বনির মধ্যে ঘোষণা করেন: ‘‘কর ছাঁটাই ও কর্মসংস্থান আইনটি পাস হয়েছে৷ এর স্বল্প পরেই ট্রাম্প টুইট করেন: ‘‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেনেট সদ্য ইতিহাসের বৃহত্তম কর ছাঁটাই ও সংস্কার বিলটি পাস করেছে৷ ‘অতি খারাপ ব্যক্তিগত সনদ' (ওবামাকেয়ার) বাতিল৷''
হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভসের রিপাবলিকানরা মঙ্গলবারেই ২২৭ বনাম ২০৩ ভোটে কর সংস্কার বিলটি পাস করেন – কোনো ডেমোক্র্যাটই বিলটির পক্ষে ভোট দেননি – কিন্তু বিলটিকে সংশোধনের জন্য ফেরত পাঠাতে হয়, কেননা দৃশ্যত বিলটি সেনেটের নিয়মাবলী ভঙ্গ করেছে৷ সেনেটের নিয়মাবলীর যে তিনটি বিধিকে কেন্দ্র করে আপত্তি, সেগুলির বিষয়বস্তু হলো বাড়িতে ছেলেমেয়েদের শিক্ষা সংক্রান্ত সেভিংস অ্যাকাউন্ট ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে দান৷ সেনেটে পাস হওয়ার পর বিলটি আজ বুধবারেই হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভসে চূড়ান্ত ভোটের জন্য ফেরত যাবে৷ ভ্রম সংশোধনের পর ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেড় ট্রিলিয়ন ডলার অঙ্কের কর সংস্কার বাস্তব হয়ে ওঠার পথে, বলে ধরে নেওয়া যেতে পারে৷
২০১৮ সালের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাস থেকে এই কর হ্রাস কার্যকরি হবে৷ তবে বড় বড় কোম্পানিদের ক্ষেত্রে কর্পোরেট ট্যাক্স স্থায়ীভাবে কমলেও, ব্যক্তিবর্গের জন্য কর হ্রাসের মেয়াদ ২০২৬ সাল অবধি, সেনেটের নিয়মাবলীতে যেমন নির্দিষ্ট করা আছে৷
ইউরোপীয় অর্থমন্ত্রীরা চিন্তিত
গত সপ্তাহে ইউরোপের পাঁচটি বৃহত্তম অর্থনীতি, অর্থাৎ জার্মান, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, স্পেন ও ইটালির অর্থমন্ত্রীবর্গ মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি (অর্থমন্ত্রী) স্টিফেন মেনুশিনকে একটি উদ্বেগপূর্ণ পত্র লেখেন এবং মার্কিন কংগ্রেস ও সেনেটের সব উচ্চপদস্থ রিপাবলিকান রাজনীতিকদের কাছে তার কপি পাঠান৷
পত্রের বক্তব্য ছিল, যুক্তরাষ্ট্রে কর হ্রাস সংক্রান্ত বিলটি যদি তার বর্তমান খসড়ায় অনুমোদিত হয়, তাহলে তা বড় বড় কোম্পানিগুলির (‘কর্পোরেশন'-এর) কাছ থেকে ন্যায্য কর আদায়ের বিশ্বব্যাপী প্রথা ভঙ্গ করবে৷ এই বিল ‘‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিবিধ কর আদায় সংক্রান্ত চুক্তিসমূহের বিরুদ্ধে যাবে এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে বড় ধরনের গোলযোগ সৃষ্টির ঝুঁকি থাকবে'', বলে অর্থমন্ত্রীরা তাদের চিঠিতে মন্তব্য করেছেন৷
এসি/ডিজি (এপি, রয়টার্স)
ডনাল্ড ট্রাম্প: ব্যবসায়ী থেকে প্রেসিডেন্ট
রিয়েল স্টেট ব্যবসায়ী, জনপ্রিয় বইয়ের লেখক এবং রিয়েলিটি টিভি স্টার হিসেবে পরিচিত ডনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট৷ হোয়াইট হাউজে নানা বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন তিনি৷
ছবি: picture-alliance/dpa
পরিবার, সাম্রাজ্য
তিনি যাদের ভালোবাসেন তাদের নিয়ে তোলা ছবি৷ এখানে রয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের স্ত্রী মেলানিয়া, মেয়ে ইভানকা এবং টিফানি, ছেলে এরিক এবং ডোনাল্ড জুনিয়র এবং নাতি কাই ও ডোনাল্ড জন থ্রি৷ তাঁর তিন বড় সন্তান ট্রাম্প অরর্গানাইজেশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট৷
ছবি: picture-alliance/dpa
মিলিয়নিয়ার থেকে বিলিয়নিয়ার
১৯৮৪ সালে তোলা এই ছবিতে দেখা যাচ্ছে নিউ জার্সির ট্রাম্প প্লাজায় হারাহ’স ক্যাসিনো উদ্বোধন করছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ এটা অন্যতম এক খাত যেখানে বিনিয়োগ করে বাপের টাকায় মিলিয়নিয়ার হওয়া ট্রাম্প নিজেকে বিলিয়নিয়ারে পরিণত করেন৷
ছবি: picture-alliance/AP Images/M. Lederhandler
বাপের টাকায় ব্যবসা শুরু
রিয়েল স্টেট সাম্রাজ্যের শুরুটা ট্রাম্প করেছিলেন তাঁর বাবা ফ্রিডরিকের কাছ থেকে পাওয়া টাকা দিয়ে৷ তিনি তাঁর ছেলেকে শুরুতে এক মিলিয়ন মার্কিন ডলার দিয়েছিলেন৷ এবং তাঁর মৃত্যুর পর ট্রাম্প এবং তাঁর তিন ভাইবোন উত্তরাধিকার সূত্রে চার’শ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের মালিক হন৷
ছবি: imago/ZUMA Press
একটি নামের মধ্যে কী আছে?
ডোনাল্ড ট্রাম্প আগ্রাসীভাবে বিভিন্ন খাতে অর্থ বিনিয়োগ করেছেন এবং মার্কেটের উত্থান পতনের অভিজ্ঞতা পেয়েছেন৷ নিউ ইয়র্ক সিটির ট্রাম্প টাওয়ার তাঁকে দীর্ঘমেয়াদে সাফল্য এনে দিয়েছে৷ ট্রাম্প বলেছেন, তাঁর সম্পদের পরিমাণ দশ বিলিয়ন মার্কিন ডলার৷ তবে কখনো তিনি তাঁর এই দাবির পক্ষে কোনো আর্থিক কাগজপত্র প্রকাশ করেননি৷ বিশেষজ্ঞদের ধারণা, তাঁর সম্পদের পরিমাণ তিনি যা বলেন তাঁর এক-তৃতীয়াংশ মাত্র৷
ছবি: Getty Images/D. Angerer
‘খুব ভালো, খুব স্মার্ট’
ট্রাম্প নিজের সম্পর্কে নিজেই বলেন একথা৷ তিনি সুপরিচিত সুপরিচিত ‘ওয়ার্টন স্কুল অফ দ্য ইউনিভার্সিটি অফ পেনসেলভেনিয়ায়’ লেখাপড়া করেছেন এবং স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছেন৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/B.J. Harpaz
ক্যাপ্টেন ট্রাম্প
কলেজে পাঠানোর আগে ১৩ বছর বয়সে মিলিটারি অ্যাকাডেমিতে নিয়মানুবর্তিতা শেখাতে পাঠানো হয়েছিল ট্রাম্পকে৷ স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের আগেই একাডেমি থেকে একটি অফিসার’স ব়্যাংক অর্জন করেন তিনি৷ নির্বাচনি প্রচারাভিযানকালে তিনি জানান যে, তিনি স্কুলে কাঠামো এবং সামরিক সংস্কৃতি উপভোগ করেছেন৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/
ভিয়েতনাম যাওয়ার বদলে গোড়ালির চিকিৎসা
মিলিটারি শিক্ষা সত্ত্বেও ভিয়েতনাম যুদ্ধে যাননি ট্রাম্প৷ পড়াশোনা করার সময় তিনি চারবার কালহরণ করেছিলেন এবং গোড়ালির চিকিৎসার জন্য একবার বিরতি নিয়েছিলেন৷ ট্রাম্প হবেন প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট, যিনি দায়িত্ব গ্রহণের আগ অবধি কোনো সরকারি কার্যালয় বা সামরিক বাহিনীতে কাজ করেননি৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo
প্রথম স্ত্রী: ইভানা জেলনিউকোভা
১৯৭৭ সালে তৎকালীন চেকোস্লোভাকিয়ার ইভানা জেলনিউকোভাকে বিয়ে করেন ট্রাম্প৷ তাঁদের তিন সন্তান হয়৷ ডোনাল্ড জন জুনিয়র, ইভানকা মারি এবং এরিক ফ্রেডরিক৷ তবে বিবাহবহিভূর্ত সম্পর্কসহ নানা জটিলতায় ১৯৯০ সালে তাঁদের বিচ্ছেদ হয়ে যায়৷ ইভানা হচ্ছেন সেই নারী, যিনি ট্রাম্পের ডাক নাম দিয়েছিলেন ‘দ্য ডোনাল্ড৷’
ছবি: Getty Images/AFP/Swerzey
দ্বিতীয় পরিবার
ট্রাম্প পরবর্তীতে তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী মার্লা ম্যাপলসকে বিয়ে করেন৷ ১৯৯৩ সালে তাঁদের মেয়ে টিফানির জন্ম দেন ম্যাপেলস৷
ছবি: picture alliance/AP Photo/J. Minchillo
অন্য নারীদের সঙ্গে ট্রাম্প
ট্রাম্প সম্ভবত নিজের স্ত্রীর বদলে অন্য নারীদের সঙ্গে ছবি তুলতে ভালোবাসেন৷ তিনি প্রায়ই সুন্দরী প্রতিযোগিতায় যেতেন এবং তরুণী মডেলদের সঙ্গে ছবি তুলতেন৷ ১৯৯৬ থেকে ২০১৫ অবধি আয়োজিত সব ‘মিস ইউনিভার্স’ প্রতিযোগিতার একজন অংশীদার ছিলেন তিনি৷ নির্বাচনের আগে আগে এক অডিও প্রকাশ হয় যেখানে ট্রাম্প বলেছিলেন, তাঁর খ্যাতি তাঁকে কোনোরকম পরিণতির ভয় ছাড়াই মেয়েদের ‘গায়ে হাত দেয়ার’ সুযোগ করে দিয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/K. Lemm
বাণিজ্য এবং বিনোদনের মিশ্রণ
ট্রাম্প জানতেন কীভাবে সাধারণ মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে হয়৷ এই ছবিতে তাঁকে ‘ওয়ার্ল্ড রেসলিং এন্টারটেইনমেন্টের’ একটি শোতে দেখা যাচ্ছে৷ রিয়েলিটি টিভি শো ‘দ্য এপ্রেন্টিস’, যেখানে প্রার্থীদের নিয়োগ অথবা বাতিল করা হতো, ট্রাম্পকে খ্যাতি অর্জনে সহায়তা করেছে৷ শোতে ট্রাম্পের প্রিয় লাইন ছিলে, ‘ইউ আর ফায়ার্ড!’
ছবি: Getty Images/B. Pugliano
রাজনীতিতে ট্রাম্প
যদিও অতীতে রাজনীতির সঙ্গে তাঁর খুব কম যোগাযোগ ছিল, তারপরও ২০১৫ সালে সালের ১৬ জুলাই তিনি নিজেকে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেন৷ রাজনৈতিক স্লোগান হিসেবে তিনি ব্যবহার করেছেন ‘মেক অ্যামেরিকা গ্রেট এগেইন৷’ নির্বাচনি প্রচারণা চালানোর সময় তিনি অভিবাসী, মুসলমান, নারী এবং তাঁর বিরুদ্ধে থাকা প্রত্যেককে অপমান করেছেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/J. Lane
ওয়াশিংটনের পথে
প্রেসিডেন্ট হিসেবেও হোয়াইট হাউসে একের পর এক বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন ট্রাম্প৷ ৷ সবশেষ তার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রকাশ করল সে দেশের সংসদের নিম্নকক্ষ। অ্যামেরিকার ইতিহাসে ট্রাম্পই তৃতীয় প্রেসিডেন্ট যাঁর বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্টের প্রস্তাব আনা হয়েছে।