জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের ক্ষমতাসীন জোট তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর পরিচালনা পরিষদে নারীদের জন্য একটি কোটা চালুর পক্ষে৷ কিন্তু ব্যবসায়িক লবি গ্রুপগুলো কি শীর্ষ পদে নারী কোটা সমর্থন করে?
বিজ্ঞাপন
বৃহস্পতিবার বার্লিনে ‘জার্মান এমপ্লয়ার্স এসোসিয়েশন' বা বিডিএ-র এক মিটিংয়ে রাইনার ডুলারকে সংস্থার নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করা হয়, যিনি একজন পুরুষ৷
ম্যার্কেলের ক্ষমতাসীন জোট তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর পরিচালনা পরিষদে নারী কোটা নির্ধারণে রাজি হওয়ার ঠিক এক সপ্তাহ পর ৫৬ বছর বয়সি ডুলারকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করা হয়৷
জার্মানির শীর্ষস্থানীয় শিল্প লবি গ্রুপগুলোর শীর্ষ নেতৃত্বে নারীদের প্রতিনিধিত্ব খুবই কম৷ জার্মানির অর্থনীতি বিষয়ক দৈনিক হ্যান্ডেলসব্লাটকে বিডিএ জানিয়েছে, ‘‘বড় সংস্থাগুলোর পরিচালনায় আরও বৈচিত্র্য আনার লক্ষ্যে তারা নারী কোটা সমর্থন করে৷''
মঙ্গলবার সরকারি আইনপ্রণেতাদের এক সভায় ম্যার্কেল বলেন, ‘‘নারী কোটা যে শুধু যুক্তিসঙ্গত তাই নয়, আমি আন্তরিকভাবে তা সমর্থন করি৷''
ফেডারেশন অফ জার্মান ইন্ডাস্ট্রি বা বিডিআই-এর ম্যানেজমেন্ট দলের নারী সদস্য ইয়েরিস প্ল্যোগার প্রস্তাবিত নারী কোটার জন্য নির্দেশিকা তৈরির সময় ‘একটি ভারসাম্যপূর্ণ আপোশ' করতে ম্যার্কেল সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন৷ তিনি কোটা সিস্টেম প্রবর্তনকে শিল্পখাতের জন্য একটি বিশেষ চ্যালেঞ্জ মনে করেন৷
এনএস/জেডএইচ (ডিপিএ)
মেয়েদের জন্য সেরা দেশ
২০১৬ সালে ‘সেভ দ্য চিলড্রেন ফান্ড’ ১৪৪টি দেশে মেয়েদের পরিস্থিতি বিচার করে একটি ‘গার্লস অপরচুনিটি ইনডেক্স’ তৈরি করে৷ সূচকে ছিল বাল্যবিবাহ, কিশোরী মাতৃত্ব, প্রসূতিমৃত্যু, মহিলা সাংসদদের অনুপাত ও স্কুলের পড়াশুনা৷
ছবি: picture alliance / empics
তালিকার শীর্ষে সুইডেন
তাতে সম্ভবত কেউই বিশেষ আশ্চর্য হবেন না৷ মেয়েদের সুযোগ-সম্ভাবনার তালিকা যেন শুরুই হচ্ছে ইউরোপের উত্তরে সুইডেন, ফিনল্যান্ড, নরওয়ে - সেখান থেকে নেমে আসছে নেদারল্যান্ডস, বেলজিয়াম, ডেনমার্ক হয়ে স্লোভেনিয়ায়...
ছবি: Getty Images/D. Ramos
১২ নম্বরে জার্মানি
স্লোভেনিয়ার পর পর্তুগাল, সুইজারল্যান্ড, ইটালি, স্পেন হয়ে তবে জার্মানি৷ জার্মানির পরপরই অস্ট্রিয়া ও লুক্সেমবুর্গ৷ তারপর আসছে...
ছবি: Reuters/M. Dalder
১৫ নম্বরে ব্রিটেন
‘স্পাইস গার্লস’দের দেশ ব্রিটেনে যে মেয়েরা বেশি সুযোগ পাবে, সেটা ধরে নেওয়াটা বোধহয় ভুল হতো, কেননা ‘সেভ দ্য চিলড্রেন’-এর ইনডেক্সে যে ইন্ডিকেটরগুলি ব্যবহার করা হয়েছে, সেগুলি সামগ্রিক৷
ছবি: picture alliance / empics
২১ নম্বরে অস্ট্রেলিয়া
ইউএনডিপি’র হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট ইনডেক্সে এই দেশ কিন্তু দ্বিতীয় স্থানে৷ ‘গার্লস অপরচুনিটি ইনডেক্স’-এ অস্ট্রেলিয়ার এতটা নেমে যাওয়ার কারণ মহিলা সাংসদদের স্বল্পতা ও কিশোরী মাতৃত্বের অপেক্ষাকৃত উচ্চ হার৷ যুক্তরাজ্য (১৫) বা ক্যানাডার (১৯) স্থানও মূলত ঐ দু’টি কারণে৷
ছবি: Getty Images/S. Barbour
৩২ নম্বরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
জাতিসংঘের মানব উন্নয়ন তালিকায় যে দেশ অষ্টম, তার স্থান মেয়েদের সুযোগ-সম্ভাবনার বিচারে কাজাখস্তান (৩০) ও আলজেরিয়া (৩১)-এর চেয়েও নীচে৷ এর কারণ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কিশোরী মাতৃত্ব ও প্রসূতি মৃত্যুর হার অনুরূপ ধনী দেশগুলির তুলনায় বেশি৷ ২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্র্রে প্রতি এক লক্ষ শিশুর জন্মে ১৪ জন প্রসূতি মারা যান, যেখানে পোল্যান্ড, গ্রিস বা ফিনল্যান্ডে প্রতি এক লাখ শিশুর জন্মে তিনজন করে মা প্রাণ হারান৷
ছবি: picture-alliance/dpa/A. Rain
৬০ নম্বরে শ্রীলঙ্কা
উপমহাদেশের দিকে নজর দিলে, সবচেয়ে ভালো ফলাফল করেছে শ্রীলঙ্কা...
ছবি: Messe Berlin
৮৮ নম্বরে পাকিস্তান
এটাকেও চমক বলা চলে...
ছবি: Mirza Tours
৯০ নম্বরে ভারত
এটাকে চমক বলা চলে না...
ছবি: Getty Images/AFP/N. Seelam
১১১ নম্বরে বাংলাদেশ
বাদবাকি উপমহাদেশের মতোই, এখানেও অনেক কিছু করা বাকি৷
ছবি: N.Seelam/AFP/GettyImages
১৪৪ নম্বরে নাইজার
বিশ্বের দরিদ্রতম দেশগুলির মধ্যে পড়ে৷ নাইজারের মতো দেশে দারিদ্র্যকেই মেয়েদের দুরবস্থার মূল কারণ বলে ধরে নেওয়া চলে৷