থ্রিডি প্রিন্টারে বানানো বিশ্বের সর্ববৃহৎ প্রবাল প্রাচীর মালদ্বীপে সমুদ্রের তলদেশে স্থাপন করা হয়েছে৷ একটি বিশেষ প্রকল্পের আওতায় জীববৈচিত্র্য রক্ষাই এই প্রাচীর স্থাপনের কারণ৷
বিজ্ঞাপন
কম্পিউটারের মাধ্যমে প্রতিটি প্রবালের নকশা করে থ্রিডি প্রিন্টারের সাহায্যে সিরামিক দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে এটি৷ এরপর প্রতিটি টুকরো একে অপরের সঙ্গে জোড়া দিয়ে প্রাচীর নির্মাণ করা হয়েছে৷ মজার ব্যাপার হলো কয়েকদিনের মধ্যেই এর উপর সত্যিকারের প্রবাল জন্ম নিয়েছে৷ এই প্রবাল প্রাচীর নির্মাণ ও স্থাপন একটি বিশেষ প্রকল্পের অংশ৷ মালদ্বীপে সমুদ্রের তলদেশে যেখানে এটি স্থাপন করা হয়েছে, সেখানে প্রবাল প্রাচীর ধ্বংস হওয়ার পাশাপাশি জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হচ্ছে৷ আর তা রক্ষা করাই এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য৷
রবিবার ‘বিবিসি আর্থ' তাদের ফেসবুক পাতায় এই ভিডিওটি পোস্ট করে৷ প্রথম ১২ ঘণ্টায় ভিডিওটি দেখা হয় ৩৭ লাখ বার৷ শেয়ার হয়েছে প্রায় ৮০০ বার৷
এপিবি/জেডএইচ
বৈচিত্র্যময় প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন
বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের বুকে জেগে ওঠা একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন৷ দ্বীপটি এখন দেশের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্রগুলোর একটি৷ ভ্রমণ মৌসুমে পর্যটকদের ঢল নামে ছোট্ট এই প্রবাল দ্বীপে৷
ছবি: DW/M. Mamun
নারিকেল জিঞ্জিরা
কক্সবাজার জেলার টেকনাফ সদর থেকে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার সমুদ্র গর্ভে এ দ্বীপটির অপর নাম নারিকেল জিঞ্জিরা৷ প্রায় ১৬ বর্গকিলোমিটার জুড়ে এ দ্বীপের বেলাভূমিতে প্রবাল পাথরের মেলা, সারি সারি নারিকেল বৃক্ষ, দিগন্তে হারিয়ে যাওয়া সমুদ্রের নীল জলরাশি পর্যটক আকর্ষণের মূল উপাদান৷
ছবি: DW/M. Mamun
নাফ নদী
টেকনাফের অপূর্ব নাফ নদী৷ বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে বিচ্ছেদ রচনা করেছে এই নদী৷ সেন্ট মার্টিন দ্বীপে যেতে যেতে নাফ নদীর সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন পর্যটকরা৷
ছবি: DW/M. Mamun
তৈঙ্গা পাহাড়
নাফ নদীর তীরে বাংলাদশের তৈঙ্গা পাহাড়৷ নেটং পাহাড় নামেও এর পরিচিতি আছে৷ এ পাহাড়েই এশীয় হাতির অভয়াশ্রম ‘গেম রিজার্ভ’৷
ছবি: DW/M. Mamun
দমদমিয়া ঘাট
টেকনাফের দমদমিয়া ঘাট থেকে সেন্টমার্টিনের জাহাজগুলো ছাড়ে সকাল ৯টা থেকে ১০ টার মধ্যে৷ জায়গাটি টেকনাফ শহরের প্রায় সাত কিলোমিটার আগে৷
ছবি: DW/M. Mamun
জাহাজ চলাচল
টেকনাফ থেকে দিনে পাঁচটি জাহাজ চলাচল করে সেন্টমার্টিনের পথে৷ প্রায় দুই থেকে আড়াই ঘন্টায় নাফ নদী আর বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিয়ে জাহাজগুলো পৌঁছায় প্রবাল দ্বীপে৷ সেন্টমার্টিন থেকে ফিরতি জাহাজগুলো ছেড়ে আসে বিকেল তিনটায়৷
ছবি: DW/M. Mamun
বৈচিত্র্য
সেন্টমার্টিনের পুরো জায়গাটিই আকর্ষণীয়৷ এর একেকটি জায়গার বৈচিত্র্য একেকরকম৷ পশ্চিম দ্বীপে গেলে এক রকম আবার পূর্ব দ্বীপটা আবার একবোরে অন্য রকম৷ একটু সামনের দিকে গেলে গলাচিপাটা আরো অন্যরকম৷ পুরো দ্বীপটাই বৈচিত্র্যে ভরপুর৷
সেন্টমার্টিন দ্বীপে সূর্যোদয়ের দৃশ্য মনকাড়া৷ এখানে সূর্য ওঠে মিয়ানমারের পাহাড়গুলোর আড়াল থেকে৷ সূর্যোদয় দেখার জন্য আদর্শ জায়গা দ্বীপের প্রবেশপথের পাশের সৈকত৷ সূর্যোদয়ের আগে থেকেই এখানে আকাশে রং মাখায় প্রকৃতি৷
ছবি: DW/M. Mamun
সূর্যাস্ত
সেন্টমার্টিনে সূর্যাস্তের দৃশ্যও অসাধারণ৷ সন্ধ্যায় এখানে সূর্য সমুদ্রের পানিতে তলিয়ে যায়৷ এ দ্বীপে সূর্যাস্ত দেখার ভালো জায়গা পশ্চিম সৈকত৷ দ্বীপের পশ্চিম প্রান্তে হোটেল অবকাশের সৈকত সূর্যাস্ত দেখার সবচেয়ে ভালো জায়গা৷
ছবি: DW/M. Mamun
জেলেদের মাছ ধরা
সেন্টমার্টিন দ্বীপে প্রায় দশ হাজার মানুষের বসবাস৷ বাসিন্দাদের প্রধান পেশা মাছ ধরা৷ ভাটার সময় পর্যটকরা দ্বীপের উত্তর সৈকতে জেলেদের মাছ ধরার দৃশ্য উপভোগ করতে পারেন৷
ছবি: DW/M. Mamun
নারিকেল গাছের সারি
সেন্টমার্টিনের উত্তর সৈকতে নারিকেল গাছের সারি দেখতে অপূর্ব লাগে৷ পুরো দ্বীপ জুড়েই নারিকেল গাছের ছড়াছড়ি৷
ছবি: DW/M. Mamun
নীল ও স্বচ্ছ পানি
সেন্টমার্টিনের দক্ষিণ সৈকত৷ এখানকার সমুদ্রের পানি একেবারেই নীল ও স্বচ্ছ৷ দক্ষিণ সৈকতে প্রবালের প্রাধান্যও বেশি৷ সেন্টমার্টিন দ্বীপে পর্যটকদের জন্য সাধারণ মানের বেশ কিছু হোটেল- রিসোর্ট আছে৷ ৫০০ থেকে ৫০০০ টাকায় এ দ্বীপে পর্যটকরা রাত্রিবাস করতে পারেন এসব হোটেল-রিসোর্টে৷
ছবি: DW/M. Mamun
ছেঁড়া দ্বীপ
সেন্টমার্টিনের একেবারে দক্ষিণ প্রান্তে ছেঁড়াদ্বীপ৷ এক সময় এ জায়গাটি মূল দ্বীপ হতে বিচ্ছিন্ন ছিল৷ বর্তমানে মূল দ্বীপের সাথে প্রায় মিলে গেছে৷ তবে এখনো জোয়ারের সময় এ দুই দ্বীপের সংযোগস্থল ডুবে গিয়ে বিচ্ছিন্ন করে দেয় মূল ভূ-খণ্ড থেকে৷ সেন্টমার্টিন থেকে ছেঁড়াদ্বীপ যাওয়ার জন্য বাহন ইঞ্জিন নৌকা কিংবা স্পিড বোট৷
ছবি: DW/M. Mamun
সমুদ্র সৈকতে ডাবের পানি
সেন্টমার্টিন সৈকতে ডাব বিক্রেতা৷ এ দ্বীপের ডাব পর্যটকদের মাঝে বেশ জনপ্রিয়৷
ছবি: DW/M. Mamun
শিশুদের আনন্দ
সেন্টমার্টিন সৈকতে স্থানীয় শিশুদের সঙ্গে খেলায় মেতেছে পর্যটক শিশু৷
ছবি: DW/M. Mamun
নিরাপত্তার অভাব
সেন্টমার্টিন সৈকতে সমুদ্র স্নানে পর্যটকরা৷ এখানকার সৈকতে কোনো লাইফ গার্ড না থাকায় প্রতিবছরই পর্যটকদের সমুদ্রে ভেসে যাওয়ার নজির আছে৷