1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আফগানিস্তান

২২ অক্টোবর ২০১২

পাকিস্তানের কিশোরী মালালা ইউসুফজাইয়ের ওপর হামলার নিন্দা আর সবার মতো আফগানিস্তানও করেছে৷ তবে এরপর আফগানদের প্রশ্ন, আফগানিস্তানে নারীদের অবস্থা তো মালালার চেয়ে কোনো অংশে খারাপ নয়৷

A twelve year old Afghan bride during the wedding ceremony in Herat on Sunday 25 December 2005. The vast majority of Afghanistan's population professes to be followers of Islam. Over 1400 years ago, Islam demanded that men and women be equal before God, and gave them various rights such the right to inheritance, the right to vote, the right to work, and even choose their own partners in marriage. For centuries now in Afghanistan, women have been denied these rights either by official government decree or by their own husbands, fathers, and brothers. In rural areas of the country women are not allowed to seek medical help from a male doctor. Afghanistan has the second highest maternal mortality rate in the world where poor health conditions and malnutrition made pregnancy and childbirth exceptionally dangerous for Afghan women. Foto: FARAHANAZ KARIMY +++(c) dpa - Report+++
ছবি: picture-alliance/dpa

মালালা ইউসুফজাইয়ের ওপর তালেবান গোষ্ঠী হামলা চালানোর পর গোটা বিশ্বের গণমাধ্যম যেন সেখানে হুমড়ি খেয়ে পড়েছে৷ নিন্দা আর ধিক্কারে স্রোত বয়ে গেছে হামলাকারী তালেবানের প্রতি৷ প্রতিবেশী দেশ আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই আর বাকিদের মতো মালালার প্রতি সহানুভূতি জানিয়েছেন৷ অথচ তাঁর নিজের দেশ আফগানিস্তানে নারীদের অবস্থা কি মালালার চেয়ে ভালো? সেখানকার নারী জনপ্রতিনিধিদের বক্তব্য সবাই মালালাকে নিয়ে ব্যস্ত থাকলেও আড়ালেই থেকে যাচ্ছে আফগান নারীরা৷

আফগান সংসদের নারী সদস্য এলাই এরশাদ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘‘প্রতিদিন কোনো না কোনো আফগান নারী নির্যাতিত হচ্ছে, ধর্ষিত হচ্ছে৷ কারো মুখে অ্যাসিড ছুড়ে চেহারা ঝলসে দেওয়া হচ্ছে৷ প্রেসিডেন্ট যে তাঁর নিজের দেশের নারীদের নিয়েই ভাবেন না৷ তাহলে তিনি মালালার জন্য কেন এত দরদ দেখাচ্ছেন?''

গত জুলাই মাসে আফগানিস্তানে নাজিবা নামে এক নারীর শিরচ্ছেদ করে বন্দুকধারীরা৷ তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল ব্যভিচারের৷ এই ঘটনার পর প্রতিবাদের ঝড় ওঠে৷ সে সময় প্রেসিডেন্ট কারজাই এই ঘটনার নিন্দা জানিয়েছিলেন৷ এবার পাকিস্তানে মালালার ঘটনাতেও ঠিক একইভাবে নিন্দা জানিয়েছেন তিনি৷ তাঁর এইসব মৌখিক নিন্দাই শোনা যায় শুধু, অথচ আফগানিস্তানে নারীদের দুর্দশা কাটার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না৷ দেশটির মানবাধিকার কমিশনের তথ্য মতে গোটা আফগানিস্তানে নারী নির্যাতন বেড়ে চলেছে৷

আফগান সংসদের অন্যতম নারী সদস্য সুরায়া পারলিকা বলেন, ‘‘মালালার অবস্থা পৃথিবীর আর যে কারোর চেয়ে আমরা ভালো বুঝি৷ আমাদের সরকার কেবল ফাঁকা বুলি দিয়ে নারীদের অধিকার রক্ষা করে চলেছে, কাজের কাজ কিছুই করছে না৷'' আফগানিস্তানের নারী সংসদ সদস্যরা অভিযোগ করেছেন, কারজাই সরকারের কোনো আগ্রহ নেই নারীদের অধিকার নিয়ে৷ তারা কেবল পশ্চিমাদের কাছ থেকে রাজনৈতিক সমর্থন পাওয়ার জন্যই এইসব কথা বলে থাকে৷

আরআই/ডিজি (রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ