1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইসলামি সহযোগীতা সংস্থার সম্মেলন

৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৩

জঙ্গিবাদ এবং উগ্রবাদ কখনোই সমর্থনযোগ্য নয়, মালির সরকারের প্রতি সমর্থন আছ, কিন্তু সে দেশে ফ্রান্সের সেনাবাহিনীর উপস্থিতি অনাকাঙ্খিত – ঠিক এই মতই উঠে এসেছে ওআইসি সম্মেলন থেকে৷

ছবি: Reuters

গত মাসে মালি সরকারের অনুরোধে আল-কায়েদার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বলে পরিচিত জঙ্গিদের দমনে সে দেশে সেনাবাহিনী পাঠায় ফ্রান্স৷ সেই থেকে পশ্চিম আফ্রিকার দেশটির উত্তরাঞ্চল দখল করে নেয়া জঙ্গিদের সঙ্গে যুদ্ধ চলছে ফরাসি বাহিনীর৷ মালিসহ আফ্রিকার আরো কিছু দেশের বাহিনীও অংশ নিচ্ছে সেই যুদ্ধে৷ তবে বৃহস্পতিবার কায়রোতে দু'দিনের সম্মেলন শেষে ইসলামি সহযোগীতা সংস্থা ওআইসি জানিয়েছে, মালি সরকারের জঙ্গি দমনকে সমর্থন করলেও ঐ কাজে ফরাসি সৈন্যের উপস্থিতিকে অনভিপ্রেত মনে করে তারা৷ এ বিষয়ে ফরাসি সরকারের ভূমিকাকে ‘ঔপনিবেশিক মানসিকতা'-র প্রকাশ হিসেবেই দেখছে ৫৭টি ইসলামি দেশের জোট ওআইসি৷

সম্মেলনে উপস্থিত নেতারাছবি: Reuters

প্রথম দিন ওআইসির বিদায়ী চেয়ারম্যান, সেনেগালের প্রেসিডেন্ট ম্যাকি সাল তাঁর বক্তব্যে অবশ্য মালিতে ফরাসি বাহিনীর ভূমিকার প্রশংসা করেছিলেন৷ কিন্তু পরে অন্য সদস্য দেশগুলোর বক্তারা এ বিষয়ে কিছু বলেননি৷ সম্মেলন শেষে বৃহস্পতিবার ওআইসি জানায়, সম্মিলিতভাবে তারা পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালিতে ফরাসি বাহিনীর অবস্থানের বিপক্ষে৷ তবে জঙ্গিবাদ বা উগ্রপন্থা অবলম্বনকারীদের প্রতি সমর্থন নেই তাদের৷ ওআইসির ঘোষণায় বলা হয়েছে, মালি সরকারের জঙ্গির দমনে প্রয়াসকে সফল করতে একটি আন্তর্জাতিক বাহিনী গড়ার পক্ষে তারা৷ সেই বাহিনীতে কোনো দেশের অংশগ্রহণেই তাদের আপত্তি নেই, তবে ওআইসির একটাই শর্ত –  যৌথ বাহিনী যুদ্ধ করবে আফ্রিকার নেতৃত্বে৷

ওআইসি সম্মেলনটা হয়েছে মিশরের রাজধানী কায়রোতে৷ সম্মেলনে ইরানের প্রেসিডেন্ট আহমাদিনেজাদও অংশ নিয়েছেন৷ নিজের দেশে বিরাধী দলগুলো যখন সরকার বিরোধী আন্দোলনে অংশ নিচ্ছে, সে অবস্থাতেই মিশরের প্রেসিডেন্ট মোহামেদ মুরসি নিজের বক্তব্যে বলেন, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিতে হবে৷ এ প্রসঙ্গে তিনি সিরিয়ার বিরোধী দলগুলোর প্রতি আসাদ সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বানও জানান৷

এদিকে মিশরের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ইরানের প্রেসিডেন্ট আহমাদিনেজাদ বলেছেন, তিনি চান আলোচনার মাধ্যমে সিরিয়ার বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে আসাদ সরকারের সমঝোতার মাধ্যমেই সে দেশের চলমান সংকটের অবসান হোক৷ ইরানকে আসাদ সরকারের মিত্র মনে করা হয়৷ তা সত্ত্বেও সিরিয়ার প্রধান বিরোধী জোটের নেতা আহমেদ মোয়াজ আল-খাতিব বলেছেন যে তিনি আলোচনায় রাজি, তবে সেখানে থাকতে পারেন শুধু নিপীড়ন-নির্যাতনে প্রত্যক্ষভাবে অংশ না নেয়া কোনো মন্ত্রী বা সরকার সমর্থক কোনো নেতা৷

এসিবি/ডিজি (এএফপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ