1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মালয়েশিয়ায় ব্যাপারটা অন্যরকম হবে: ফেটেল

১৮ মার্চ ২০১৩

ফর্মুলা ওয়ানের গত তিনবারের চ্যাম্পিয়ন জার্মান ড্রাইভার সেবাস্টিয়ান ফেটেল অস্ট্রেলিয়ান গ্রঁ প্রি’তে তৃতীয় হলেন বটে – টায়ার তাড়াতাড়ি ক্ষয়ে যাওয়ার ফলে – কিন্তু পরবর্তী রেস সম্পর্কে তিনি আশাবাদী৷

ছবি: Getty Images

তাঁর রেড বুল গাড়ির বুনিয়াদি গতিবেগ নিয়ে যে প্রশ্ন উঠতে পারে না, ফেটেল তা দেখিয়েছেন মেলবোর্নের কোয়ালিফায়ারে পোল পজিশন নিয়ে৷ কিন্তু পরে তাঁকে লোটাসের কিমি রাইক্কোনেন'এর কাছে হার মানতে হয়েছে, এবং সেটা অকারণে নয়৷

ডিগ্রেডেবল টায়ারের কারণেই রেস চলাকালীন ফেটেলকে রাইক্কোনেন'এর লোটাস এবং ফ্যার্নান্দো আলন্সো'র ফেরারি'র পেছনে পড়ে যেতে হয়৷ কিন্তু এ'সপ্তাহে মালয়েশিয়ার সেপাং'এ তা ঘটবে না বলেই ফেটেল আশা করেন৷

শেষ কথা নয়

মেলবোর্নের অ্যালবার্ট পার্ক স্ট্রিট ট্র্যাকে রেস শেষ হওয়ার পর ফেটেল ফর্মুলা ওয়ানের সরকারি ওয়েবসাইটকে বলেছেন: ‘‘আজ শুধু প্রথম একটা ধারণা পাওয়া গেল৷ কিন্তু শেষমেষ কে এগিয়ে, কে পিছিয়ে থাকবে, তা বুঝতে আরো অনেক সময় লাগবে৷''

অস্ট্রেলিয়ান গ্রঁ প্রি জিতেছেন লোটাসের কিমি রাইক্কোনেন'ছবি: Greg Wood/AFP/Getty Images

অ্যালবার্ট পার্কের চেয়ে সম্পূর্ণ অন্য ধরনের ট্র্যাক হবে মালয়েশিয়ায়৷ এবং প্রথম রেসে যা দেখা গেছে, তা থেকে বলা যায় যে, সব কিছু নির্ভর করবে টায়ারগুলো কীভাবে ব্যবহার করা হয়, তার ওপর - বলেছেন ফেটেল৷ এছাড়া আবহাওয়াগত পরিস্থিতি সম্পূর্ণ আলাদা থাকবে৷ বিভিন্ন ধরনের টায়ার ব্যবহার করা হবে৷ কাজেই অনেক ব্যবধান থাকবে৷ সবচেয়ে বড় কথা:

‘‘গত কয়েক বছর ধরে আমরা দেখেছি, মেলবোর্নে যা ঘটে, তা তার পরের রেসগুলোতে সচরাচর ঘটে না৷'' অবশ্য মরশুমের প্রথম রেসের মজাই হয়তো তাই৷ রেসের ৫৮টি ল্যাপে সাতবার লিডার বদলেছে৷ প্রত্যেকটি বাঁকেই টপ ড্রাইভারদের মধ্যে পরস্পরকে ওভারটেক করার হাড্ডাহাড্ডি চলেছে৷ সবশেষে আবার ফ্যানদের প্রিয় ‘‘তুষার মানব'', ফিনল্যান্ডের কিমি রাইক্কোনেন জিতেছেন৷ কাজেই ফর্মুলা ওয়ান ফ্যানদের তরফ থেকে কোনো আক্ষেপ শোনা যাবে না৷

টায়ার কি ওয়াস্তে

তবে এ'সবই ঘটেছে একটি অত্যন্ত অ-রোমাঞ্চিক কারণে: টায়ার নির্মাতা পিরেল্লি'কে বলা হয়েছিল, ফর্মুলা ওয়ান রেসিং কারগুলির জন্য এমন একটি টায়ার তৈরি করতে, যা আরো তাড়াতাড়ি ক্ষয়ে যাবে৷ সাধারণ মোটর গাড়ির জন্য সে ধরনের টায়ার তৈরি করলে পিরেল্লি'র ব্যবসা বহুদিন আগেই লাটে উঠতো৷

চলছে অস্ট্রেলিয়ান গ্রঁ প্রিছবি: Getty Images

কিন্তু ফর্মুলা ওয়ানের জন্য ডিগ্রেডেবল টায়ারের দরকার এই কারণে যে, তাহলে গাড়ির ড্রাইভারদের টায়ার বদলানোর জন্য আরো বেশি পিট স্টপ করতে হবে, যার ফলে তারা ল্যাপের পর ল্যাপ একে অন্যের পিছনে চক্কর কাটতে পারবে না৷ রেসের উত্তেজনাও বাড়বে৷

তা পিরেল্লি যে সে কাজ একটু বেশি ভালোভাবেই করে ফেলেছে, তার প্রমাণ পাওয়া গেল অ্যালবার্ট পার্কে৷ বলতে কি, রাইক্কোনেন জিতলেন বস্তুত তাঁর লোটাস ঐ পিরেল্লি টায়ার অন্যদের তুলনায় অতো তাড়াতাড়ি ক্ষইয়ে ফেলেনি বলে৷ রাইক্কোনেন মাত্র দু'টি পিট স্টপ করেছেন, যেখানে তাঁর মুখ্য প্রতিদ্বন্দ্বিদের তিনটি করে পিট স্টপ করতে হয়েছে৷ পিরেল্লির মোটরস্পোর্ট ডাইরেক্টর পল হার্নবেরি নিজে বলেছেন, পিরেল্লি নাকি এই ‘‘সুপারসফ্ট'' টায়ার নিয়ে মেলবোর্নে এসেছে অ্যাকশনের চাঞ্চল্য বাড়ানোর জন্য৷

আর প্রমাণ হয়েছে যে, ফেটেলের রেড বুল দৃশ্যত টায়ারের উপর বড়ই নির্দয় ছিল৷

এসি / এসবি (রয়টার্স, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ