মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের এমএইচ৩৭০ উড়ালের বিমানটির তল্লাশিতে যোগ দিয়েছে ২৪টিরও বেশি দেশ এবং তাদের ৬০টি জাহাজ ও বিমান৷ তবে এই তল্লাশি নিয়ে ভূ রাজনৈতিক জটিলতাও তৈরি হয়েছে ইতিমধ্যে৷
বিজ্ঞাপন
ভূ-রাজনৈতিক জটিলতা
মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের বোয়িং ৭৭৭-এর এমএইচ৩৭০ বিমানটি নিখোঁজ হওয়ায় দেশটি চীনের ব্যাপক সমালোচনার মুখে রয়েছে৷ মালয়েশিয়াকে তার দুর্বল যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং যাত্রীদের হত্যার দায়ে অভিযুক্ত করেছে চীন৷ অন্যদিকে, এই ঘটনাকে পুঁজি করে বিভিন্ন দেশের সীমান্ত ও তথ্যে চীন নজরদারির চেষ্টা করছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা৷
চীন, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া এবং ফিলিপাইন্সের মধ্যে সামুদ্রিক সীমা নিয়ন্ত্রণসহ নানা বিষয়ে নিয়ে রয়েছে বিরোধ৷ তল্লাশি এলাকা যত বাড়ানো হবে, এক একটি দেশের জরুরি তথ্য গোপন রাখার বিষয়টি ততই কঠিন হয়ে যাবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা৷ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একটি দেশের প্রতিনিধি জানিয়েছেন, ‘‘হয়ত এই অভিযান একটি গুপ্তচরের উপন্যাসে পরিণত হতে পারে৷''
কয়েকটি বিমান দুর্ঘটনা ও তার কারণ
আজকের এই অত্যাধুনিক প্রযুক্তির যুগেও কীভাবে একটি বিমান হারিয়ে যেতে পারে সেটা অনেকেই ভেবে পাচ্ছেন না৷ মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের ক্ষেত্রে হয়েছে সেটি৷ ছবিঘরে থাকছে কয়েকটি বিমান দুর্ঘটনার কথা ও তার কারণ৷
ছবি: AP
মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্স
৮ই মার্চ, ২০১৪৷ মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের একটি বিমান ২৩৯ জন যাত্রী নিয়ে কুয়ালালামপুর থেকে বেইজিং যাওয়ার পথে হারিয়ে যায়৷ এখনো সেই বিমানের হদিশ মেলেনি৷
ছবি: picture-alliance/dpa
এয়ার ফ্রান্স
বিমান হারানোর ঘটনা ঘটেছিল ২০০৯ সালের ১ জুনেও৷ সে সময় ব্রাজিল থেকে ফ্রান্স যাওয়ার পথে অ্যাটলান্টিক মহাসাগরে হঠাৎ করে হারিয়ে যায় এয়ার ফ্রান্সের একটি বিমান৷ প্রায় দু বছর পর সাগরের নীচে ধ্বংসপ্রাপ্ত অবস্থায় এর খোঁজ পাওয়া যায়৷ এতে ২২৮ যাত্রীর সবাই নিহত হন৷ বিমান চালানোর অত্যাধুনিক ব্যবস্থা কাজ না করায় বিমানটি দ্রুতগতিতে নীচে নেমে অ্যাটলান্টিকের পানিতে তলিয়ে যায় বলে পরবর্তীতে তদন্ত রিপোর্টে জানা গেছে৷
ছবি: dapd
ভোজা এয়ার
২০১২ সালের ২০শে এপ্রিল পাকিস্তানের বেসরকারি ‘ভোজা এয়ার’-এর একটি বিমান ল্যান্ডিং-এর সময় নামতে গিয়ে দুর্ঘটনায় পড়লে ১২৭ জন যাত্রীর সবাই নিহত হন৷ বৃষ্টিপাত ও ঝোড়ো হাওয়ার মধ্যে ইসলামাবাদ বিমানবন্দরে নামার চেষ্টাই দুর্ঘটনার কারণ বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে৷ বোয়িং ৭৩৭-২০০ বিমানটি করাচি থেকে ইসলামাবাদ যাচ্ছিল৷
ছবি: Reuters
ইরান এয়ার
২০১১ সালের ৯ জানুয়ারি ইরান এয়ারের একটি বোয়িং ৭২৭-২০০ বিমান তেহরান থেকে অরুমিয়ে যাওয়ার পথে নামতে গিয়ে খারাপ আবহাওয়ার কারণে দুর্ঘটনায় পড়লে ১০৫ জন যাত্রীর মধ্যে ৭৭ জন নিহত হন৷ বেঁচে যায় ২৮ জন৷
ছবি: picture-alliance/dpa
এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস
দুবাই থেকে ভারতের ম্যাঙ্গালোর বিমানবন্দরের রানওয়েতে নামার পর এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের একটি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ বিমান রানওয়ে থেকে ছিটকে দূরের পাহাড়ে গিয়ে আঘাত করলে বিমানটিতে আগুন ধরে যায়৷ এতে ১৫৮ জন নিহত হন৷ আর বেঁচে যান আটজন৷ পাইলটের গাফিলতি দুর্ঘটনার কারণ বলে তদন্তে জানা যায়৷ ঘটনাটি ঘটে ২০১০ সালের ২২শে মে তারিখে৷
ছবি: AP
আফ্রিকিয়া এয়ারওয়েজ
পাইলটের ভুলের কারণে ২০১০ সালের ১২ মে আফ্রিকিয়া এয়ারওয়েজের একটি বিমান লিবিয়ার ত্রিপোলিতে ল্যান্ডিং-এর আগে দুর্ঘটনায় পড়লে ১০৩ জন যাত্রী নিহত হন৷ তবে অবিশ্বাস্যভাবে বেঁচে যায় হল্যান্ডের নয় বছরের এক ছেলে!
ছবি: AP
প্রেসিডেন্টের মৃত্যু
২০১০ সালের ১০ই এপ্রিল পোল্যান্ডের বিমানবাহিনীর একটি বিমান দুর্ঘটনায় পড়লে দেশটির সে সময়কার প্রেসিডেন্ট সহ ৯৬ জন যাত্রীর সবাই নিহত হন৷ পোল্যান্ডের সরকারি তদন্ত প্রতিবেদনে দুর্ঘটনার জন্য পাইলটকে দায়ী করা হয়৷ বলা হয়, খারাপ আবহাওয়ায় ল্যান্ডিং এর পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ ছিল না পাইলটের৷
ছবি: AP
ইয়েমেনিয়া
ল্যান্ডিং এর আগে ইয়েমেনের এয়ারলাইন্স ‘ইয়েমেনিয়া’-র একটি বিমান সাগরে ভেঙে পড়লে ১৫৩ জন যাত্রীর ১৫২ জনই মারা যান৷ শুধু বেঁচে যায় ১২ বছরের একটি মেয়ে৷ দুর্ঘটনার কারণ পাইলটের ‘ঝুঁকিপূর্ণ ম্যানুভার’৷
ছবি: AP
8 ছবি1 | 8
এশিয়ার কয়েকটি দেশের সমস্যা হলো, এদের ন্যাটোর মতো আঞ্চলিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নেই৷ অন্যদিকে, বেশ কয়েকটি দেশের যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক রয়েছে৷ আবার কমনওয়েলথ সদস্য মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, নিউজিল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়া ব্রিটেনের সাথে বরাবরই সংকটময় মুহূর্তে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করে৷
ওয়াশিংটনে নিযুক্ত সাবেক ব্রিটিশ ডিফেন্স অ্যাটাশে এয়ার ভাইস মার্শাল মাইকেল হারউড বলেছেন, ‘‘তল্লাশির বিষয়টা যতই এগুচ্ছে আঞ্চলিক নিরাপত্তার বিষয়টি ততই প্রকট হয়ে উঠছে৷ কিছু কিছু দেশ মালয়েশিয়ার কাছে লিখিত আবেদন চেয়েছে তাদের অঞ্চলে তল্লাশি চালানোর জন্য৷'' সাবেক এই সেনা কর্মকর্তা আরো জানান, চীন ভারত মহাসাগরে বিভিন্ন এলাকায় জাহাজ পাঠাচ্ছে কারণ তারা বিশ্বের অন্যতম শক্তিধর দেশ এবং নিশ্চয়ই তাদের কোনো রাজনৈতিক প্রত্যাশা নিয়েই সেটা করছে৷ শুক্রবার আরো পাঁচটি চীনা জাহাজ ভারত মহাসাগরের অন্য একটি এলাকার দিকে রওনা হয়েছে৷ এর আগে চীন ভারত মহাসাগর এলাকায় নিখোঁজ বিমান খুঁজতে তাদের যুদ্ধজাহাজ নিয়ে প্রবেশ করতে চাইলেও ভারত দ্রুত তা নাকচ করে দেয়৷
চলছে তল্লাশি
সোমবার অস্ট্রেলিয়া কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভারত মহাসাগরে যেসব কমলা রঙের বস্তু দেখে তারা বিমান পাঠিয়েছিল, সেগুলো মাছ ধরার উপকরণ৷ অন্যদিকে, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবারো বলেছেন যে, তল্লাশি অভিযান চলতেই থাকবে৷ কেননা অনুসন্ধানের জন্য তারা কোনো সময়সীমা বেঁধে দেয়নি৷ রবিবার দুই মিটার লম্বা ঐ কমলা রঙের বস্তুটির সন্ধান পায় অনুসন্ধানী বিমান৷
যুক্তিযুক্ত ভাবনা
চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম চায়না ডেইলি তাদের সম্পাদকীয়তে স্বজনদের যুক্তিযুক্তভাবে ঘটনাটা বিবেচনা করতে অনুরোধ জানিয়েছে৷ সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, ‘‘কেবল ক্ষোভ প্রদর্শন করলেই হবে না, যুক্তি দিয়ে পরিস্থিতি বিচার করতে হবে৷ আমরা শোকাহত কেননা এটা নিশ্চিত যে বিমানটি ভারত মহাসাগরে বিধ্বস্ত হয়েছে এবং আরোহীদের কেউ আর বেঁচে নেই৷''
মালয়েশিয়ার বিমান নিখোঁজের সম্ভাব্য কারণ
মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের বোয়িং ৭৭৭-এর এমএইচ৩৭০ বিমানটির সন্ধান এখনো পাওয়া যায়নি৷ এটি নিখোঁজের সম্ভাব্য কারণগুলো নিয়ে এখন চলছে ব্যাপক আলোচনা৷ চলুন জানা যাক বিমান নিখোঁজের সম্ভাব্য কারণগুলো৷
ছবি: Reuters
কেন নিখোঁজ?
২০১৪ সালের ৮ই মার্চ নিখোঁজ হওয়া এমএইচ৩৭০ উড়ালের বিমানটি নিয়ে এখন যেসব প্রশ্ন দেখা দিয়েছে সেগুলো হচ্ছে, পাইলট কি নিকটবর্তী কোনো স্থানে বিমানটি অবতরণ করাতে চয়েছিলেন? বিমানটি কি অন্য একটি বিমানের রাডার সিগন্যালের আড়ালে চলতে চয়েছিল? বা এটি কি সত্যিই মালদ্বীপ পর্যন্ত উড়ে গিয়েছিল?
ছবি: Reuters
দ্রুত অবতরণের চেষ্টা
মালয়েশিয়ার এই বিমানটি নিখোঁজের ১২ দিন পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচিত কারণগুলোর একটি হচ্ছে, বিমানটির ককপিটে কোনো কারণে আগুন লেগে থাকতে পারে এবং সেকারণে পাইলট এটির যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ করে দ্রুত কাছাকাছি কোনো বিমানক্ষেত্রে অবতরণের চেষ্টা করেছিলেন৷ এ জন্যই হয়ত বিমানটি গতিপথ বদলে ছিল৷
ছবি: Reuters
ছিনতাই চেষ্টা
বিমান নিখোঁজের সম্ভাব্য কারণ হিসেবে ছিনতাইকে এখনো উড়িয়ে দেয়া হচ্ছে না৷ অনেকে সন্দেহ করছেন, বিমানের পাইলট বা ছিনতাইকারীরা ইচ্ছাকৃতভাবে বিমানের কমিউনিকেশন সিস্টেমে ভিন্ন একটি ঠিকানা প্রবেশ করিয়েছিলেন৷ ফলে উড়ালের এক পর্যায়ের বিমানটি ভিন্ন দিকে মোড় নেয়৷ অনেকের সঙ্গে মিডিয়া মুঘল রুপার্ট মারডকও এমন ধারণা করছেন৷
ছবি: Reuters
অন্য বিমানের আড়ালে চলার চেষ্টা
এ ধারণাটি অবশ্য হলিউড ছবির জন্য চমৎকার প্লট হতে পারে৷ কেউ কেউ মনে করছেন, এমএইচ৩৭০ উড়ালের বিমানটি সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের একটি বিমানের বেশ কাছাকাছি থেকে কিছুক্ষণ উড়েছিল, যাতে করে সিংগাপুর এয়ারলাইন্সের রাডার সিস্টেমের ছায়াতলে অবস্থান করে নিজেদের পরিচয় কিছু সময়ের জন্য লুকিয়ে রাখা যায়৷ (ফাইল ফটো)
ছবি: AP
উল্কার আঘাতে বাষ্পীভূত
মালয়েশিয়ার এই বিমানটিতে থাকা ২৩৯ জন আরোহীর দুই তৃতীয়াংশই চীনা নাগরিক৷ চীনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিমান দুর্ঘটনার সম্ভাব্য কারণ হিসেবে ধারণা করা হচ্ছে যে, উল্কার আঘাতে বিমানটি ধ্বংস এবং বাষ্পীভূত হয়েছে৷
ছবি: Reuters
মালদ্বীপ থেকে দেখা গেছে বিমানটি
দ্বীপরাষ্ট্র মালদ্বীপের একটি ছোট্ট দ্বীপের বাসিন্দারা ৮ই মার্চ সকালে খুব নীচু থেকে উড়ে যাওয়া একটি বিমান দেখেছেন বলে দাবি করেছেন৷ বিমানটি সাদা রংয়ের এবং এতে লাল রংয়ের লাইন আঁকা রয়েছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা, যা মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের সঙ্গে মিলে যায়৷ বিষয়টি এখন খতিয়ে দেখছেন মালদ্বীপ পুলিশ৷
ছবি: picture-alliance/dpa
বিমান খুঁজছেন কয়েক লাখ মানুষ
এমএইচ৩৭০ উড়ালের এই বিমানটি ইন্টারনেটে খুঁজছেন কমপক্ষে ৩০ লাখ মানুষ৷ স্যাটেলাইট সংস্থা ‘ডিজিটালগ্লোব’ জানিয়েছে, বিমানের ধ্বংসাবশেষের খোঁজে তাদের অনলাইন ম্যাপ দেখা হয়েছে ২৫৭ মিলিয়ন বার৷
ছবি: NASA/dpa
আসলে কি কেউ কিছু জানে?
বিমানটি খোঁজার অগ্রগতি সম্পর্কে এক মালয়েশীয় কর্মকর্তা জার্মান বার্তাসংস্থা ডিপিএকে বলেছেন, ‘‘আমাদের কাছে কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই৷’’ বুধবার (১৯.০৩.১৪) পর্যন্ত এটাই বাস্তবতা৷ ফলে বিমান নিখোঁজ নিয়ে জল্পনা-কল্পনা ক্রমশই বাড়ছে, যার কোনটি সত্য কেউ জানে না! (ফাইল ফটো)
ছবি: Reuters
8 ছবি1 | 8
পাইলটের মেয়ের অভিযোগ
এদিকে, নিখোঁজ বিমানটির চালক বা পাইলটের মেয়ে আয়েষা জাহারি ব্রিটিশ ট্যাবলয়েডের প্রতি অভিযোগ জানিয়েছেন৷ তাঁর অভিযোগ, পত্রিকাটির প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে বিমান চালানোর আগে তাঁর বাবা স্থিতিশীল অবস্থায় ছিলেন না, যা সঠিক নয়৷ রবিবার ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড ডেইলি মেলে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হয়৷ যেখানে লেখা হয় ৫৩ বছর বয়সি পাইলট জাহারিয়া আহমেদ শাহ ‘ডিসটার্ব' ছিলেন৷ আয়েষা জাহারি রবিবার তাঁর ফেসবুক পাতায় লিখেছেন, ডেইলি মেল তোমাদের কল্পনা শক্তি এতই উন্নত, তোমাদের উচিত নিখোঁজ বিমান নিয়ে একটি চলচ্চিত্র বানানো৷
৮ই মার্চ মধ্যরাতে কুয়ালালামপুর থেকে রওনা হয়ে বেইজিংগামী এই বিমানটি ২৩৯ জন আরোহীসহ রহস্যময়ভাবে নিখোঁজ হয়ে যায়৷ বিমানটি ভারত মহাসাগরের কোথাও বিধ্বস্ত হয়েছে এবং এর যাত্রীদের কেউ বেঁচে নেই বলে ঘোষণা দেয় মালয়েশীয় কর্তৃপক্ষ৷