1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মাস্ক কি পরবো, নাকি ব্যাগেই থাকবে?

১৩ মার্চ ২০২০

জার্মানির বন শহরে করোনার আগমন ঘটে ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে৷ হঠাৎ করে শোনা গেল, এক কিন্ডারগার্টেন শিক্ষক করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন৷

ছবি: AFP/T. Silz

তার ক'দিন আগে ইউরোপের দেশটিতে প্রথম করোনা রোগী ধরা পড়ে৷ দেশটিতে এখন এই সংক্রমণের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে৷

জার্মানির চিকিৎসা ব্যবস্থা বিশ্বের অন্যান্য দেশের চেয়ে ভালো বলেই আমার বিশ্বাস৷ ফলে করোনা প্রতিরোধে তাদের প্রস্তুতি থাকার কথা৷ তাছাড়া, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ও সাধারণ মানুষকে আশ্বস্ত করছিল যে এখনই ভীতসন্ত্রস্ত হওয়ার কিছু নেই৷ তারপরও একটু নড়েচড়ে বসলাম৷ এই ভাইরাসের প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি এখনো৷ ফলে চিন্তাটা একটু বেশিই৷ যদিও মৃত্যুর হার প্রতি শতকে এখনো এক অংকের ঘরে রয়েছে বলে কেউ কেউ সান্তনা খোঁজেন৷ কিন্তু সামগ্রিকভাবে বিচার করলে সংখ্যাটা অনেক বেশি৷ 

ফলে, করোনা নিয়ে একেবারে নিরুদ্বেগ থাকা কঠিন৷ আর উদ্বেগটা খানিকটা বাড়লো যখন দেখলাম বিভিন্ন সুপারমার্কেটের কিছু তাক মুহূর্তেই খালি হয়ে গেল৷ ‘হ্যান্ড স্যানিটাইজারের' সংকট তৈরি হলো বনে৷ নানা স্থানে ঘুরে একদিন সকালে এক দোকানে সেটা পেলাম৷ সঙ্গে সঙ্গে চারটা নিয়ে ক্যাশের দিকে আগালাম৷ কিন্তু ক্যাশে বসে থাকা ব্যক্তি জানালেন জনপ্রতি তিনটার বেশি কেনা যাবে না৷

জার্মানদের একটা বিষয় ভালো লাগে৷ অন্যের প্রতি বেশ সহানুভূতিশীল তারা৷ আমাকে যখন তিনটার বেশি কিনতে দিচ্ছিল না, তখন পেছনে থেকে এক ভদ্রমহিলা বললেন, আমি কি বাকিটা কিনে তাকে দিতে পারি? ক্যাশে থাকা ব্যক্তি বললেন, বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী সেটা সম্ভব৷

একটা হ্যান্ড স্যানিটাইজার কম কিনলে জগৎ উল্টে যেত না৷ কিন্তু, ভদ্রমহিলার মহানুভবতার প্রতি সম্মান জানাতে তার প্রস্তাব গ্রহণ করলাম, তবে তাঁকে সেটার দাম দিয়ে দিলাম৷

এতো গেল স্যানিটাইজার, সুপার মার্কেটগুলোর চালসহ অন্যান্য শুকনো খাবারের তাকগুলোও দ্রুত খালি হয়ে গিয়েছিল জার্মানিতে প্রথমবার করোনা ছড়ানোর খবর প্রকাশ হওয়ার পর৷ কেননা, শুকনো খাবার অনেকেই কিনে ঘরে মজুত করেছেন৷ জার্মান জাতি গত শতকে দু'টি বিশ্বযুদ্ধে অংশ নিয়েছে৷ ফলে এ জাতি জানে খাদ্য এবং অন্যান্য সংকট কত ভয়াবহ হতে পারে৷ এখনো অনেক বৃদ্ধ-বৃদ্ধা স্বাভাবিক সময়েও বেজমেন্টে খাবার মজুত করে রাখেন কোন এক অজানা আতঙ্কে৷ ফলে তারা যে এমনটা করবেন, সেটা খুবই স্বাভাবিক৷  

আরাফাতুল ইসলাম, ডয়চে ভেলে

আমি আবার জার্মানদের এত তাড়াহুড়া দেখে অ্যামাজনে বেশ চড়া দামে একটি মাস্কও অর্ডার দিলাম৷ সেই মাস্ক নাকি করোনা ভাইরাস প্রতিরোধেও সক্ষম যদি সঠিকভাবে ব্যবহার করা হয়৷ অ্যামাজনের ওয়েবসাইটেই বিষয়টি লেখা ছিল৷ মাস্কটি কাঙ্খিত সময়ের আগেই আমার পোস্ট বক্সে হাজির হয়ে যায়৷ 

সমস্যা হয়েছে, বনে মাস্ক পরে বাইরে বের হওয়া মানুষের সংখ্যা অন্তত কম৷ ঘণ্টাখানেক শহরে হাঁটলে হয়ত একজনকে পাওয়া যাবে যে কিনা মাস্ক পরে ঘুরছেন৷ মোটের উপর গত কয়েকদিন ধরে নানা বিশ্বস্ত গণমাধ্যমও লিখছে মাস্ক নাকি তেমন একটা কার্যকর নয়! উল্টো মাস্ক নাকি পরা উচিত যে ইতোমধ্যে আক্রান্ত তাঁর! 

ফলে আমি আছি দোটানায়৷ আমার দামি মাস্কটা কি পরবো, নাকি ব্যাগে নিয়ে ঘুরবো? 

প্রিয় পাঠক, আপনি কি কিছু বলতে চান? লিখুন নীচের মন্তব্যের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

বাংলাদেশ