জার্মানির বন শহরে করোনার আগমন ঘটে ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে৷ হঠাৎ করে শোনা গেল, এক কিন্ডারগার্টেন শিক্ষক করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন৷
বিজ্ঞাপন
তার ক'দিন আগে ইউরোপের দেশটিতে প্রথম করোনা রোগী ধরা পড়ে৷ দেশটিতে এখন এই সংক্রমণের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে৷
জার্মানির চিকিৎসা ব্যবস্থা বিশ্বের অন্যান্য দেশের চেয়ে ভালো বলেই আমার বিশ্বাস৷ ফলে করোনা প্রতিরোধে তাদের প্রস্তুতি থাকার কথা৷ তাছাড়া, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ও সাধারণ মানুষকে আশ্বস্ত করছিল যে এখনই ভীতসন্ত্রস্ত হওয়ার কিছু নেই৷ তারপরও একটু নড়েচড়ে বসলাম৷ এই ভাইরাসের প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি এখনো৷ ফলে চিন্তাটা একটু বেশিই৷ যদিও মৃত্যুর হার প্রতি শতকে এখনো এক অংকের ঘরে রয়েছে বলে কেউ কেউ সান্তনা খোঁজেন৷ কিন্তু সামগ্রিকভাবে বিচার করলে সংখ্যাটা অনেক বেশি৷
করোনায় বাংলাদেশের উদ্যোগ
করোনা ভাইরাসকে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া মহামারি হিসেবে চিহ্নিত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা৷ গত ৮ মার্চ বাংলাদেশেও প্রথম এই ভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে৷ করোনা ভাইরাসের প্রভাব এবং পদক্ষেপগুলো দেখুন ছবিঘরে৷
ছবি: picture-alliance/ZUMAPRESS/A. I. Damanik
উহান ফেরত
করোনা ভাইরাসের সূত্রপাত হয় চীনের উহান নগরীতে৷ একটা পর্যায়ে শহরটিকে কার্যত বিচ্ছিন্ন করে ফেলে দেশটির সরকার৷ সেখানে আটকা পড়ে কয়েকশো বাংলাদেশি৷ তার মধ্যে পয়লা ফেব্রুয়ারি বিমানের বিশেষ ফ্লাইটে ৩১২ জনকে ঢাকায় ফিরিয়ে আনে সরকার৷
ছবি: A. Goni
কোয়ারেন্টাইনে ১৪ দিন
উহান ফেরতদের বিমানবন্দর থেকে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় নিয়ে যাওয়া হয় উত্তরা আশকোনা হজ ক্যাম্পে৷ সেখানে তারা কোয়ারেন্টাইনে থাকেন৷ ১৪ দিন পর সবাই সুস্থ অবস্থায়ই বাড়ি ফিরে যান৷ তাদেরকে আরো দশদিন নজরদারিতে রাখে সরকার৷
ছবি: Privat
প্রথম করোনা শনাক্ত
চীনের উহান থেকে বাংলাদেশিদের ফিরিয়ে আনার পর থেকে নিয়মিত সংবাদ ব্রিফিং করতে থাকে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট-আইইডিসিআর৷ এর মধ্যেই আট মার্চ বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো তিনজনকে কোভিড ১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত করার ঘোষণা দেন পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা৷
ছবি: Privat
ইটালি থেকে বাংলাদেশে
চীনের বাইরে কোরোনার প্রাদুর্ভাবে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছে ইটালি৷ বাংলাদেশে আক্রান্ত তিনজনের দুজনই এসেছেন এই দেশটি থেকে৷ তাদের একজনের সংস্পর্শে এসে পরিবারের আরেক নারী সদস্য আক্রান্ত হন৷ তবে তাদের একজন এরইমধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন৷ আরেকজনও করোনামুক্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছে আইইডিসিআর৷
ছবি: picture-alliance/S. Gombert
মুজিববর্ষের আয়োজনে কাটছাঁট
করোনা আক্রান্ত তিনজনকে যেদিন শনাক্ত করা হল সেদিনই প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেন৷ রাতে আসে মুজিববর্ষের ১৭ মার্চের উদ্বোধনী আয়োজন সীমিত আকারে করার ঘোষণা৷ আসছেন না ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদীসহ বিদেশি অতিথিরাও, জানান মুজিববর্ষ উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী৷
ছবি: bdnews24.com/PID
বাজারে প্রভাব
বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস শণাক্তের পর বাজারে রাতারাতি তার প্রভাব পড়ে৷ মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজারের অভাব দেখা দেয়৷ বেড়ে যায় দাম৷ পরবর্তীতে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বাজারে অভিযান শুরু করে৷ সরকার থেকে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের দাম বেঁধে দেয়া হয়৷
ছবি: DW/S. Hossain
ক্রিকেটে প্রভাব
বাংলাদেশে করোনা শনাক্তের একদিন পরই ছিল জিম্বাবোয়ের বিপক্ষে টি টোয়েন্টি ক্রিকেট ম্যাচ৷ এই ম্যাচে একজন দর্শকের জন্য শুধু একটি টিকেট কেনার সুযোগ দেয় বিসিবি৷ মাঠে দর্শকের উপস্থিতিও ছিল কম৷ পরে বিসিবি মুবিজববর্ষ উপলক্ষে বিশ্ব একাদশ বনাম এশিয়া একাদশের মধ্যে দুইটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ ও কনসার্টের আয়োজনও স্থগিত করে৷
ছবি: DW/S. Hossain
প্রবাসীদের পরিস্থিতি
সিঙ্গাপুর, আরব আমিরাত, ইটালি ছাড়া অন্য কোন দেশে বসবাসরত বাংলাদেশিরা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হননি৷ দিল্লিতে উহান থেকে আগত ২৩ জন বাংলাদেশি দিল্লি শহর থেকে ৪০ মাইল দূরে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন৷ তাদের বিষয়ে যোগাযোগ রাখছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়৷
ছবি: A. Goni
যাত্রীদের পরীক্ষা
দেশির তিনটি বিমান বন্দর, দুটি সমুদ্র বন্দর, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট ও বেনাপোল রেলওয়ে স্টেশন দিয়ে আগত যাত্রীদের স্ক্রিনিং বা শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে সরকার৷ কোভিড ১৯ আক্রান্ত সন্দেহে নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে ভাইরোলজি ল্যাবরেটরিতে৷
ছবি: picture-alliance/ZUMAPRESS/A. I. Damanik
কী করবেন
যেসব দেশে করোনা সংক্রমণ ঘটেছে সেখান থেকে বাংলাদেশে ফেরত আসা যাত্রীদের স্বেচ্ছা কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরামর্শ দিয়েছে আইইডিসিআর৷ কারো করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ দেখা দিলে প্রতিষ্ঠানের হটলাইনে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে৷
ছবি: Getty Images/AFP/Belga Mag
হটলাইন নাম্বার
মোট ১৩ টি হটলাইন চালু করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর৷ নাম্বার: ০১৪০১১৮৪৫৫১, ০১৪০১১৮৪৫৫৪, ০১৪০১১৮৪৫৫৫, ০১৪০১১৮৪৫৫৬, ০১৪০১১৮৪৫৫৯, ০১৪০১১৮৪৫৬০, ০১৪০১১৮৪৫৬৩, ০১৪০১১৮৪৫৬৮, ০১৯২৭৭১১৭৮৪, ০১৯২৭৭১১৭৮৫, ০১৯৩৭০০০০১১, ০১৯৩৭১১০০১১৷
ছবি: Fotolia/NinaMalyna
11 ছবি1 | 11
ফলে, করোনা নিয়ে একেবারে নিরুদ্বেগ থাকা কঠিন৷ আর উদ্বেগটা খানিকটা বাড়লো যখন দেখলাম বিভিন্ন সুপারমার্কেটের কিছু তাক মুহূর্তেই খালি হয়ে গেল৷ ‘হ্যান্ড স্যানিটাইজারের' সংকট তৈরি হলো বনে৷ নানা স্থানে ঘুরে একদিন সকালে এক দোকানে সেটা পেলাম৷ সঙ্গে সঙ্গে চারটা নিয়ে ক্যাশের দিকে আগালাম৷ কিন্তু ক্যাশে বসে থাকা ব্যক্তি জানালেন জনপ্রতি তিনটার বেশি কেনা যাবে না৷
জার্মানদের একটা বিষয় ভালো লাগে৷ অন্যের প্রতি বেশ সহানুভূতিশীল তারা৷ আমাকে যখন তিনটার বেশি কিনতে দিচ্ছিল না, তখন পেছনে থেকে এক ভদ্রমহিলা বললেন, আমি কি বাকিটা কিনে তাকে দিতে পারি? ক্যাশে থাকা ব্যক্তি বললেন, বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী সেটা সম্ভব৷
একটা হ্যান্ড স্যানিটাইজার কম কিনলে জগৎ উল্টে যেত না৷ কিন্তু, ভদ্রমহিলার মহানুভবতার প্রতি সম্মান জানাতে তার প্রস্তাব গ্রহণ করলাম, তবে তাঁকে সেটার দাম দিয়ে দিলাম৷
এতো গেল স্যানিটাইজার, সুপার মার্কেটগুলোর চালসহ অন্যান্য শুকনো খাবারের তাকগুলোও দ্রুত খালি হয়ে গিয়েছিল জার্মানিতে প্রথমবার করোনা ছড়ানোর খবর প্রকাশ হওয়ার পর৷ কেননা, শুকনো খাবার অনেকেই কিনে ঘরে মজুত করেছেন৷ জার্মান জাতি গত শতকে দু'টি বিশ্বযুদ্ধে অংশ নিয়েছে৷ ফলে এ জাতি জানে খাদ্য এবং অন্যান্য সংকট কত ভয়াবহ হতে পারে৷ এখনো অনেক বৃদ্ধ-বৃদ্ধা স্বাভাবিক সময়েও বেজমেন্টে খাবার মজুত করে রাখেন কোন এক অজানা আতঙ্কে৷ ফলে তারা যে এমনটা করবেন, সেটা খুবই স্বাভাবিক৷
আমি আবার জার্মানদের এত তাড়াহুড়া দেখে অ্যামাজনে বেশ চড়া দামে একটি মাস্কও অর্ডার দিলাম৷ সেই মাস্ক নাকি করোনা ভাইরাস প্রতিরোধেও সক্ষম যদি সঠিকভাবে ব্যবহার করা হয়৷ অ্যামাজনের ওয়েবসাইটেই বিষয়টি লেখা ছিল৷ মাস্কটি কাঙ্খিত সময়ের আগেই আমার পোস্ট বক্সে হাজির হয়ে যায়৷
সমস্যা হয়েছে, বনে মাস্ক পরে বাইরে বের হওয়া মানুষের সংখ্যা অন্তত কম৷ ঘণ্টাখানেক শহরে হাঁটলে হয়ত একজনকে পাওয়া যাবে যে কিনা মাস্ক পরে ঘুরছেন৷ মোটের উপর গত কয়েকদিন ধরে নানা বিশ্বস্ত গণমাধ্যমও লিখছে মাস্ক নাকি তেমন একটা কার্যকর নয়! উল্টো মাস্ক নাকি পরা উচিত যে ইতোমধ্যে আক্রান্ত তাঁর!
ফলে আমি আছি দোটানায়৷ আমার দামি মাস্কটা কি পরবো, নাকি ব্যাগে নিয়ে ঘুরবো?
প্রিয় পাঠক, আপনি কি কিছু বলতে চান? লিখুন নীচের মন্তব্যের ঘরে৷
জার্মানি কিভাবে সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ করে?
সম্প্রতি জার্মানিতেও করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীর দেখা মিলেছে৷ করোনায় আক্রান্ত রোগের মতো সহজেই ছড়িয়ে পড়ে এমন রোগের বিরুদ্ধে জার্মানির প্রতিরোধ ব্যবস্থা খুবই সুদৃঢ়৷ ছবিঘরে রয়েছে বিস্তারিত৷
ছবি: picture-alliance/dpa/A. Dedert
বিশেষজ্ঞদের আস্থা
সব পর্যায়ের বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, জার্মানির জনগণকে বড় কোনো বিপদের মুখোমুখি হতে হবে না৷ ইবোলার মত ভাইরাস আক্রান্তদেরও বাঁচাতে সব রকমের ব্যবস্থা নিয়ে রেখেছে তারা৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Center of Disease Control
আইনি সুরক্ষা
সংক্রামক রোগের চিকিৎসায় জনগণ আইনি সুরক্ষা পান জার্মানিতে৷ এখানে আছে ‘প্রোটেকশন অ্যাগেইনস্ট ইনফেকশন অ্যাক্ট’৷ এই আইনের আওতায় সব নাগরিককে সংক্রামক রোগের স্বাস্থ্যগত সুরক্ষা দেয়া সরকারের দায়িত্ব৷
ছবি: picture-alliance/dpa/A. Gebert
সংক্রামক রোগ নিরাময় নেটওয়ার্ক
২০০৩ সাল থেকে ভয়াবহ সংক্রামক রোগের নিরাময়ে মেডিকেল সেন্টারগুলোর সমন্বয়ে একটি নেটওয়ার্ক সদা সতর্ক রয়েছে৷ এই ক্লিনিকগুলো সারাদেশে ছড়িয়ে আছে৷ কেউ আক্রান্ত হলে সর্বোচ্চ দ্রুততার সঙ্গে এর যে কোনো একটিতে নিয়ে যাওয়া যায়৷ সেখানকার চিকিৎসক ও অন্য স্টাফরা খুবই দক্ষ৷ তাদের সর্বোচ্চ দক্ষতা নিশ্চিত করার সবরকমের প্রশিক্ষণ সরবরাহ করে রাজ্য সরকার৷
ছবি: picture-alliance/dpa/S. Stache
বিশেষায়িত বিমানবন্দর
জার্মানির হামবুর্গ, ড্যুসলডর্ফ, ফ্রাঙ্কফুর্ট ও মিউনিখ-এই চারটি বিমানবন্দর সংক্রামক রোগাক্রান্তদের ব্যবস্থাপনার জন্য বিশেষায়িত৷ কোনো ফ্লাইটে কেউ আক্রান্ত আছেন বোঝা গেলে বিমানটিকে সাথে সাথে এর যে কোনো একটি বন্দরে নিয়ে আসা হয়৷ রোগীদের জন্য আলাদা জায়গা রাখা থাকে৷ সেখানে তাদের আলাদা করে প্রাথমিক ব্যবস্খা নিয়ে দ্রুত যথাযথ হাসপাতাল বা ক্লিনিকে পাঠানোর ব্যবস্থা রাখা আছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/M. Becker
ব্যবস্থাপনায় দ্রুততা
এখন পর্যন্ত যতগুলো মারাত্মক সংক্রামক রোগের যতগুলো ঘটনা জার্মানিতে ঘটেছে, সেগুলোকে অতি দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে সামাল দেয়া হয়েছে৷ এমনকি ইবোলার সংক্রমণের ক্ষেত্রে খুব দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে সফলতা দেখিয়েছে দেশটি৷
ছবি: imago/ZUMA Press/M. Heine
নিয়মিত প্রশিক্ষণ
জার্মানির জনগণের স্বাস্থ্যগত দিকগুলো নিয়ে গবেষণা করে রবার্ট কখ ইনস্টিটিউট৷ তারা চিকিৎসক ও সেবাদানকারীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করে৷ বিশেষ করে মারাত্মক সংক্রামক রোগগুলো নিয়ে কাজ করার ক্ষেত্রে বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রায়েছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/M. Gambarini
তথ্য সরবরাহ ও সমন্বয়
বিশেষ পরিস্থিতিতে সমন্বয় কেমন করে করতে হয়, তার উদাহরণ জার্মানি৷ কোনো সংক্রামক রোগ ভয়াবহ আকার ধারণ করলে পরিস্থিতি কী করে সামাল দিতে হবে, তার তথ্য বিরামহীনভাবে চিকিৎসক, হাসপাতাল ও ফার্মেসিগুলোতে সরবরাহ করা হয়৷ সমন্বিতভাবে কাজটি করে চিকিৎসক, হাসপাতাল ও ফার্মাসিস্টদের নিজস্ব ইউনিয়ন ও সংগঠনগুলো৷ ইবোলার ক্ষেত্রেও তাই করা হয়েছিল৷
ছবি: picture-alliance/dpa/M. Becker
২৪ ঘন্টা জরুরি ব্যবস্থা
বিশেষ পরিস্থিতিতে শুধু চিকিৎসা নয়, গবেষক ও বিশেষজ্ঞ পরামর্শের ২৪ ঘন্টা জরুরি সেবা চালু রাখা হয়৷ যেমন, বার্নহার্ড নখট ইনস্টিটিউট ফর ট্রপিকাল মেডিসিন ও মারবুর্গ ইউনিভার্সিটির ভাইরলজি ইনস্টিটিউট রোগ নির্ণয়ে সাহায্য করতে ২৪ ঘন্টা তৈরি থাকে৷ রবার্ট কখ ইনস্টিটিউটে একটি ২৪ ঘন্টা হটলাইন নম্বর রাখা হয়৷
ছবি: picture-alliance/dpa/A. Dedert
যাত্রীদের জন্য তথ্য সেবা
যাত্রীদের জন্যও আলাদা তথ্যসেবা দেয়া হয়৷ জার্মান পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে ‘ট্রাভেল ও সেফটি ইনফরমেশন’-এর অধীনে তো এমনিতেই থাকে এসব তথ্য৷ এছাড়া সম্ভাব্য ভাইরাসের আক্রমণ ও উপসর্গ নিয়ে আলাদা তথ্য থাকে৷ উপসর্গ দেখা গেলে কী করতে হবে তাও লেখা থাকে৷
ছবি: picture-alliance/imagebroker/S. Grassegger
কেন্দ্র ও রাজ্যের তথ্যের আদান-প্রদান
বিশেষ পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের প্রতিনিধিরা বৈঠকে বসেন এবং তথ্যের আদান প্রদান করেন৷ সেখানে অনেক খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে বিচার-বিশ্লেষণ হয়৷ তারা একে অন্যের অভিজ্ঞতা থেকে উপকৃত হন এবং সিদ্ধান্ত নিতে পারেন৷