সংগীত জগতের সংকট
২৮ জানুয়ারি ২০১৩ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অফ ফোনোগ্রাফিক ইন্ডাস্ট্রি বা আইএফপিআই-এর কার্যনির্বাহী ফ্রান্সেস মুর বলেছেন, ‘‘সারা বিশ্বের মুজিক ইন্ডাস্ট্রি ১৯৯৯ সাল যাবৎ এই প্রথম আবার বাড়তে চলেছে৷'' এএফপি সংবাদ সংস্থার বিবরণে এ কথা জানানো হয়েছে৷ ডিজিটাল মিউজিক, অর্থাৎ ডাউনলোড, সাবস্ক্রিপশন, বিজ্ঞাপন ইত্যাদি থেকে আয় নাকি বাড়ছে, বলেছেন মুর৷ যদিও এখানেও কপিরাইট সুরক্ষা তার পূর্বশর্ত৷
ডাউনলোড আর সাবস্ক্রিপশন সেবা বাড়ার পিছনে মূল কারণ হলো স্মার্টফোন আর ট্যাবলেটের ব্যবহার বৃদ্ধি, বলেছেন সোনি মিউজিক এন্টারটেইনমেন্টের প্রেসিডেন্ট এডগার বার্গার৷ কাজেই ২০১৩ সাল সম্পর্কে তিনি খুবই আশাবাদী৷ তবে ডিজিটাল প্রবৃদ্ধি সিডি এবং রেকর্ড ইত্যাদির বিক্রি কমাটা পুষিয়ে দিতে পারবে কিনা, সে বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের সন্দেহ আছে৷ অন্তত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো এলাকায় ডিজিটাল মিউজিক অন্যান্য ক্ষতি পুষিয়ে দিতে পারছে৷
গ্যাংনাম স্টাইল
ওদিকে দক্ষিণ কোরিয়ার ব়্যাপার সাই তাঁর গ্যাংনাম স্টাইল গানটি দিয়ে বিশ্বজয় করার পর দক্ষিণ কোরিয়ার মিউজিক ইন্ডাস্ট্রি তাদের কে-পপ বা কোরিয়া-পপ বয় গ্রুপগুলি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের বাজার মাত করার স্বপ্ন দেখেছে৷ কাজেই কান-এর মিডেম বাণিজ্য মেলায় তাদের উপস্থিতি দেখবার মতো৷ সাই স্বয়ং তো আসছেনই, আরো একটি অ্যাওয়ার্ড নিতে৷
‘ফশ্চিমের বাজারগুলো চিরকালই ছিল আমাদের কাছে এক ধরণের রোমান্টিক স্বপ্ন৷ কিন্তু কোরিয়ান রেকর্ড লেবেলগুলি বাস্তববাদী এবং এশিয়াই তাদের ডাল-রুটি জোগাবে,'' বলেছেন বিলবোর্ড কোরিয়ার প্রধান ক্লেটন জিন৷ কোরিয়ান মিউজিক রপ্তানির ৫০ শতাংশই যায় জাপানে৷ বলতে কি, এশিয়ার বাইরে কে-পপ কনসার্ট ২০১১ সালের আগে দেখা যায়নি৷
সাই তাঁর গ্যাংনাম স্টাইল নিয়ে কোরিয়ান মিউজিককে অন্য একটা পর্যায়ে নিয়ে গেছেন৷ দক্ষিণ কোরিয়ার অন্যান্য বয় ব্যান্ডরা এখন সাই-এর মতো যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে ম্যানেজার নেবার কথা ভাবছে৷ আবার যুক্তরাষ্ট্রের রেকর্ড কোম্পানিরাও কোরিয়ার ব্যান্ডগুলোর বাণিজ্যিক সম্ভাবনা আবিষ্কার করেছে৷ দক্ষিণ কোরিয়ার ‘‘গার্লস জেনারেশন'' মার্কিন লেবেল ইন্টারস্কোপ-এর সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ, যে ইন্টারস্কোপ লেডি গাগা থেকে ব্ল্যাক-আইড পিজ-এর পিছনে৷
ওদিকে কোরিয়ান মিউজিক বলতেই আজকাল গ্যাংনাম স্টাইল বুঝছে৷ সেটাও খুব আনন্দের কথা নয়৷
এসি/ডিজি (এএফপি)