জার্মান কথাটা হলো ‘অক্টোবারফেস্ট', অর্থাৎ অক্টোবর মাসের ফেস্টিভাল কিংবা উৎসব – যার প্রধান পানীয় বিয়ার৷ সেই অক্টোবারফেস্টের ছোঁয়াচ লেগেছে এশিয়ায়, কারণ এশিয়ার মানুষ বিয়ার ফেস্টের মজা আবিষ্কার করেছেন৷
বিজ্ঞাপন
মল্ট এবং হপ্স থেকে যে হাল্কা সুরাজাতীয় – তেতো স্বাদের – পানীয়টিকে জার্মানরা সুরা না বলে ‘খাদ্যদ্রব্য' বলেন, যে পানীয়টিকে বাদ দিয়ে অক্টোবারফেস্ট কেন, জার্মানির কথাই কল্পনা করা যায় না, সেই বিয়ারের কাহিনি৷
চটুল সংগীত আর বিয়ার সহযোগে বন্ধুবান্ধব – প্রসঙ্গান্তরে বান্ধবীদের নিয়ে আমোদ করাটাই যদি অক্টোবারফেস্টের সংজ্ঞা হয়, তবে সে'ধরনের ‘ফেস্ট' ফিলিপাইন্সের রাজধানী ম্যানিলাতেও পাবেন৷ এখন প্রশ্ন হলো: সুদূর জার্মানির অক্টোবারফেস্টের ‘স্পিরিট' বা প্রেরণার সঙ্গে সাধারণ ফিলিপিনোরা কতটা পরিচিত?
ফিলিপাইন্সের প্রাচীনতম এবং বৃহত্তম ব্রুয়ারি হলো সান মিগুয়েল৷ সেখানকার মার্কেটিং ম্যানেজার ভিঙ্কি আবালোস বলেছেন, ‘‘অক্টোবারফেস্ট হলো বন্ধুত্ব উদযাপন করার একটা বাস্তবিক সুযোগ৷ এর মতো আর কিছু নেই৷'' এছাড়া ‘‘বিয়ার বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজন ও অতিথিদের মধ্যে ‘বন্ডিং'-এর (সম্পর্ক ঘনীভূত করার) পানীয় হয়ে দাঁড়িয়েছে,'' বলে ভিঙ্কি মনে করেন৷
‘অক্টোবরফেস্ট’-এ নজর কাড়বেন যেভাবে
অক্টোবরফেস্ট এখন এক বৈশ্বিক উৎসব৷ তবে মূল আয়জনটা হয় জার্মানির মিউনিখে৷ বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিয়ার উৎসবের রয়েছে বিশেষ পোশাক, রীতিনীতি৷ চলুন এই উৎসবে নজর কাড়ার কিছু উপায় জেনে নেই৷
ছবি: dapd
ঐতিহ্যবাহী পোশাক
‘ড্রিন্ডেল’ এবং ‘লেডারহোসে’ জার্মান পোশাক হিসেবে গোটা বিশ্বেই পরিচিত৷ তবে অক্টোবরফেস্টে শুধু জার্মানরাই তাঁদের ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরে না৷ ছবির এই দলটিতে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, অস্ট্রিয়া, ফ্রান্স এবং চেক প্রজাতন্ত্রের নাগরিকরা৷ তবে পোশাকে তাঁরা জার্মানই বটে!
ছবি: DW/I. Moog
পুরনো স্টাইলে ফেরা
কয়েক বছর আগে কাউকে ড্রিন্ডেল পরতে দেখলে বাকিরা ভ্রুকুটি করতেন৷ এখন আবার ড্রিন্ডেল গুরুত্ব পেতে শুরু করেছে৷ বিশেষ করে অক্টোবরফেস্ট চলাকালে বিভিন্ন রং, সুতার এবং স্টাইলের ড্রিন্ডেল সব জায়গায় কিনতে পাওয়া যায়৷
ছবি: cc - Florian Schott
ক্ল্যাসিক সংস্করণ
আপনি ঐতিহ্যবাহী, আধুনিক কিংবা কালো রংয়ের ড্রিন্ডেল কিনতে পারেন৷ তবে এগুলোর সঙ্গে মানানসই রঙিন ‘অ্যাপ্রন’ বেছে নিতে হবে৷ আর তখনই পোশাকটি পূর্ণতা পায়৷
ছবি: Getty Images
খরচ আছে
ড্রিন্ডেল যে শুধু দেখতে সুন্দর তা নয়, দামিও৷ মোটামুটি মানের একটি ড্রিন্ডেল কিনতে খরচ হয় ৮০ থেকে ১০০ ইউরো৷ চাইলে আরো দামি পোশাকও কিনতে পারেন৷ এমনকি সিল্কের এবং আসল ‘সোয়ারভস্কি’ পাথর দিয়ে সাজানো ড্রিন্ডেলও রয়েছে৷ তবে সেগুলোর দাম এক লাখ ইউরোর মতো৷
ছবি: Getty Images
আফ্রিকান ড্রিন্ডেল
এই পোশাক জার্মানির দক্ষিণাঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী হতে পারে৷ তবে ডিজাইনাররা এটির একটি আন্তর্জাতিক রূপ দেয়ার চেষ্টা করছেন৷ মিউনিখের ‘নো নি’ কোম্পানি ছবির এ সব ড্রিন্ডেলে ব্যবহার করেছেন আফ্রিকার কাপড়৷
ছবি: Dirndl à l´Africaine
দৃষ্টি আকর্ষক
ড্রিন্ডেল বাছাইয়ের পর এর সঙ্গে মানানসই অন্তর্বাস ঠিক করতে হবে আপনার৷ অক্টোবরফেস্টের মৌসুমে বিভিন্ন দোকানে ড্রিন্ডেলের সঙ্গে পরার বিশেষ অন্তর্বাস পাওয়া যায়৷ ড্রিন্ডেল কার্যত যে কারণে বিখ্যাত, সেটা ফুটিয়ে তুলতে এ সব অন্তর্বাস বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ৷
ছবি: dapd
এটাও কি দরকার?
শুধু পোশাক নয়, অক্টোবরফেস্টের সাজে সাজতে চাইলে এর সঙ্গে মানানসই অনুসঙ্গও জরুরি৷ যেমন এই কানের দুলটি দেখুন৷ বিখ্যাত হৃদয়াকৃতির ‘জিঞ্জারব্রেড’-এর আদলে তৈরি এই রিং অনেকেই পরেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/F. Leonhardt
মোবাইল জিঞ্জারব্রেড
নিজে এত সুন্দর করে সাজবেন আর সঙ্গের মোবাইলটিকে নগ্ন রাখবেন – তা কি হয়? বরং মোবাইলের জন্য বেছে নিতে পারেন জিঞ্জারব্রেড পোশাক৷ তবে অক্টোবর ফেস্টে মোবাইল ব্যবহার খুব একটা সহজ নয়৷ অনেক মানুষের ভিড়ের কারণে সেখানে সহজে ‘সিগনাল’ পাওয়া যায় না৷
ছবি: Prag Agency
চর্চাটা আগেভাগেই শুরু হোক
এমনকি অক্টোবরফেস্টের সবচেয়ে কম বয়সি দর্শনার্থীও পোশাক সম্পর্কে সচেতন৷ ছবির ছেলেটি ঐতিহ্যবাহী পোশাকের প্যারেডে অংশ নিয়েছে, যা অক্টোবর ফেস্টের একটি অংশ৷ প্রতিবছর গড়ে ৬০ লাখ মানুষ মিউনিখের এই উৎসবে হাজির হন৷
ছবি: picture-alliance/dpa
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়
পোশাক নিয়ে তো অনেক কথাই হলো৷ অক্টোবরফেস্টে যে কারণে যাবেন, সেটার কথা আবার ভুলে যাবেন না যেন৷ সেটা হলো ‘বিয়ার’৷ মিউনিখের অক্টোবরফেস্টে গিয়ে ‘ওয়েট্রেসকে’ সংক্ষেপে ‘কোল্ড লাইট ওয়ান’ বললেই তিনি বুঝে যাবেন যে, আপনি কী চাচ্ছেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa
10 ছবি1 | 10
বিয়ার একটি পানীয়
এশীয়রা বিয়ার পান করতে শিখেছেন ও শিখছেন৷ সারা বছর ধরেই এই মহাদেশে নানা বিয়ার ফেস্ট চলে৷ কিরিন বিয়ার ইউনিভার্সিটির পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৩ সালে বিশ্বের বিয়ার সরবরাহের মোট ৩৪ শতাংশ উৎপাদন করা হয় এশিয়া মহাদেশে৷ অপরদিকে হাইনেকেন জানাচ্ছে যে, এশীয়রা গতবছর মাথা পিছু ২৯ লিটার বিয়ার পান করেছেন৷
এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল আর ইউরোপ জুড়লে বিশ্বব্যাপী বিয়ারপানের গড় দাঁড়ায় মাথা পিছু ৪৮ লিটার – কিন্তু আপাতত ইউরোপের মানুষরা গড়ে মাথা পিছু ৫৯ লিটার বিয়ার পান করে থাকেন, বলছে হাইনেকেন কোম্পানির রিপোর্ট৷ কাজেই এশিয়ার ইউরোপকে ধরে ফেলতে এখনো অনেক বাকি৷ অপরদিকে আগামী পাঁচ বছরে বিশ্বব্যাপী বিয়ার পানের পরিমাণ যতটা বাড়বে, তার ৭০ ভাগই আসবে এশিয়া থেকে – এই হলো পণ্ডিতদের ভবিষ্যদ্বাণী৷
এশীয় চ্যাম্পিয়নশিপ
এশিয়ায় বিয়ার পানে যে সব দেশ এগিয়ে, তাদের মধ্যে প্রথমেই জাপানের নাম করতে হয়৷ জাপানে বিয়ার ফেস্ট চলে সারা বছর ধরে; শুরু হয় বসন্তে, অর্থাৎ এপ্রিল মাস থেকেই৷ টোকিও-র বড় বড় পার্কে জার্মানির অনুকরণে বিয়ার ফেস্টের আয়োজন করা হয়৷ এশীয় অক্টোবারফেস্টের কথা ভাবতে গেলে, জাপানের পরেই আসবে চীন৷ ২০১৩ সালে চীনে বিয়ার উৎপাদনের পরিমাণ ছিল চার হাজার ছ'শো কোটি লিটার, যা কিনা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিগুণ এবং জার্মানির বিয়ার উৎপাদনের প্রায় পাঁচগুণ৷
‘অক্টোবরফেস্ট’-এ দারুণ সব খাবার
জার্মানির দক্ষিণে অবস্থিত মিউনিখ শহরে শুরু হয়েছে ‘অক্টোবরফেস্ট’৷ এ উৎসবের কথা বললে সবাই ধরে নেন, এ শুধু বিয়ার পানের আয়োজ৷ আসলে কিন্তু তা নয়৷ বিয়ারের পাশাপাশি অনেক খাবারও থাকে সেখানে৷ দেখে নিন সেগুলো কী...
ছবি: dpa
মচমচে ‘ব্রেৎসেল’
অক্টোবরফেস্ট বা অক্টোবর উৎসব উদযাপনে মচমচে, নোনতা স্বাদের এক ধরণের রুটি সবসময়ই থাকে৷ এর জার্মান নাম, ‘ব্রেৎসেল’৷ বিয়ার, সসেজ আর সরষের চাটনির সঙ্গে পরিবেশন করা হয় বাভারিয়া অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী এই খাবার৷
ছবি: PhotoSG/Fotolia
‘ভাইসভুর্স্ট’
সাদা রংয়ের এই সসেজগুলোর জার্মান নাম, ‘ভাইসভুর্স্ট’৷ ‘ভাইস’ মানে সাদা আর ‘ভুর্স্ট’-এর অর্থ ‘সসেজ’৷ আসলে মাংসের কিমা সেদ্ধ করার পর এমন সাদা হয়ে যায়৷ এ খাবার যে কোনো সময় খাওয়া যায় না৷ বাভারিয়ানরা ‘ভাইসভুর্স্ট’ খান শুধু সকালে৷
ছবি: Fotolia
নানা রকমের সসেজ
অক্টোবরফেস্টে থাকে হরেক রকমের সসেজ৷ সঙ্গে খাওয়ার জন্য থাকে বিভিন্ন আকার ও স্বাদের রুটি৷ এ সময় জার্মানির দক্ষিণাঞ্চলের শহর মিউনিখে গেলে বকভুর্স্ট, ব্রাটভুর্স্ট, কারিভুর্স্ট, ফ্রাংকফুর্টার ভুর্স্ট বা নকভুর্স্ট-এর মধ্যে একটা অন্তত চেখে দেখার সুযোগ কি কেউ ছাড়ে?
ছবি: Getty Images/K. Angerer
‘অক্টোবরফেস্টের ষাঁড়’
এ উৎসবের আরেক আকর্ষণ আস্ত ষাঁড়ের ‘রোস্ট’৷ তাঁবুর সামনে ঝুলিয়ে রাখা হয় আগুনে ঝলসানো ষাঁড়ের দেহ৷ ১১৩ বছর ধরে এই খাবার বাভারিয়ানদের ঐতিহ্যের অংশ৷ সবজি, রেড ওয়াইন সস বা আলুর সঙ্গে খুব মজা করে খাওয়া হয় এই মাংস৷
ছবি: picture-alliance/dpa
একটা শোয়াইনহেক্সে দেবেন, প্লিজ!
অক্টোবরফেস্টে গিয়ে অনেকেই এই অনুরোধটা করেন৷ ধর্মীয় বা অন্য কোনো কারণে যাঁরা শূকরের মাংস খান না, তাঁদের কথা আলাদা৷ তবে যাঁরা এই ‘শোয়াইনহেক্সে’ খান, তাঁদের কাছে কিন্তু লবণ বা ভিনেগার মাখানো এই ঝলসানো শূকরের মাংস খুবই পছন্দের৷
ছবি: Mike-Fotografie - Fotolia.com
সামুদ্রিক খাবার
সসেজ পছন্দ করেন না? কোনো সমস্যা নেই৷ অক্টোবরফেস্টে আপনার জন্য আছে নানা ধরণের সামুদ্রিক খাবার৷ চিংড়িসহ অনেক রকমের মাছ তো আছেই, ছোট-বড় কাঁকড়ার অনেক রকমের রেসিপিও থাকে সেখানে৷
ছবি: Fotolia/stockcreations
‘ভাইসেন হেন্ড্ল’
মুরগির মাংসের এক ধরনের জার্মান রেসিপি এটি৷ সত্যি কথা বলতে কি, এ মাংস বেশ সুস্বাদুও বটে! আর চেহারার কথা বললে ‘শোয়াইনহেক্সে’-এর তুলনায় ‘ভাইসেন হেন্ড্ল’ কমই বা কিসে?
ছবি: DW/Shant Shahrigian
পনির
পনির, মানে জার্মান ‘চিজ’ ছাড়াও কিন্তু অক্টোবরফেস্ট হয় না৷ এখানে যেসব পনির পাওয়া যায়, তার মধ্যে ‘রাকলেট’ নামের এই ‘ডিশ’-টি খুবই জনপ্রিয়৷ রুটি বা আলুর ওপর গরম পনির, সঙ্গে মরিচ আর মিষ্টি পিঁয়াজ – এমন খাবার ভালো না লেগে পারে!
ছবি: Fotolia
আদার কেক
আদা দিয়ে তৈরি এই কেকগুলো দেখতে এমনই হয়৷ ‘হার্ট’ বা হৃদয়ের আকারের এই কেকে লেখা থাকে, ‘ইশ লিবে ডিশ’, অর্থাৎ আমি তোমাকে ভালোবাসি৷ কথ্য ভাষায়, ‘ই মগ ডি’ (ইশ মাগ ডিশ), অর্থাৎ ‘আমি তোমাকে পছন্দ করি’ – এ বার্তাও লেখা থাকে অনেক কেকে৷
ছবি: Bauer Alex/Fotolia
বড় বড় নুডলস!
বাভারিয়া অঞ্চলের আরেকটি জনপ্রিয় খাবার নুডলস৷ সাধারণ নুডলসের চেয়ে অনেক বড় আকারের এই নুডলস রুটি বা শবজি দিয়ে খেতে হয়৷ অনেক সময় নডুলসের ভেতর পালং শাক, মাংস অথবা নানা রকম মশলা পুর হিসেবে দিয়ে ‘ডাম্পলিং’ বা ‘মোমো’ বানিয়েও খান জার্মানরা৷
ছবি: dpa
10 ছবি1 | 10
বেইজিং অথবা শাংহাই-এর মতো বড় শহরগুলিতে সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে নানা বিয়ার ফেস্টের আয়োজন করা হয়, যদিও চীনের বৃহত্তম এবং সবচেয়ে নাম করা ‘অক্টোবারফেস্ট' আয়োজিত হয় পুবের চিংদাও বন্দরে৷ চীনের সবচেয়ে পুরনো বিয়ার ব্রুয়ারি এখানেই, যার প্রতিষ্ঠা ১৯০৩ সালে৷ চিংদাও বিয়ার ফেস্টিভাল সংঘটিত হয় আগস্ট মাসে, চলে ১৬ দিন ধরে; গতবছর ৪০ লাখ অতিথি এসে এখানে মোট এগারো'শো টন বিয়ার সেবন করেছিলেন৷
এশীয়রা বিয়ারের স্বাদ পান ঔপনিবেশিকতার আমলে৷ কাজেই পশ্চিমি বিয়ার কোম্পানিগুলি এশিয়ায় ভালোই ব্যবসা করে থাকে, যেমন মালয়েশিয়ায় কার্লসবার্গ কিংবা গিনেস৷ তারাও নিজের নিজের বিয়ারের বিক্রি বাড়ানোর জন্য নানা ধরনের বিয়ার ফেস্টের আয়োজন করে থাকে৷ তবে জার্মানির অক্টোবারফেস্টের একটা নিজস্ব টান ও আকর্ষণ আছে, যে টানে ভারতের ব্যাঙ্গালোর শহরে প্রতিবছর ১৭ থেকে ১৯শে অক্টোবর ‘‘ব্যাঙ্গালোর অক্টোবার ফেস্ট'' আয়োজিত হয়ে থাকে৷ এই ফেস্টে গতবছর এসেছিলেন ৭৫ হাজার অতিথি৷ এভাবেই অক্টোবর মাস এলে ভিয়েতনামের হ্যানয় ও হো চি মিন সিটি-তে পাওয়া যাবো ‘‘অক্টোবারফেস্ট ভিয়েতনাম'' – এবং সিঙ্গাপুরে ‘‘অক্টোবরফেস্ট এশিয়া'', যেখানে নাকি খাঁটি বাভেরীয় খানা-পিনা-নাচনা-গাওনা, সব কিছুই পাওয়া যাবে, মায় বাভেরিয়ান বিয়ার সুদ্ধু৷