1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মিউনিখ-কাণ্ডে অভিযুক্ত আফগানকে ফেরত পাঠানোর নির্দেশ

১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

মিউনিখে ট্রেড ইউনিয়নের মিছিলে গাড়ি নিয়ে হামলার ঘটনায় অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। হামলাকারী আফগান হলেও জার্মানিতে বৈধভাবে বাস করেন।

জার্মানির মিউনিখে মিছিলে হামলা
এখানেই গাড়ি নিয়ে মিছিলে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগছবি: Tasneem Zahra/DW

মিউনিখের পুলিশ জানিয়েছে, আক্রমণকারীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করার পর মনে করা হচ্ছে, ইচ্ছাকৃতভাবে ওই মিছিলে সে হামলা চালিয়েছিল। আক্রমণকারীর নাম প্রকাশ না করলেও প্রশাসন জানিয়েছে, সে আফগান নাগরিক কিন্তু বৈধভাবে জার্মানিতে বসবাস করছে।

বাভারিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জোয়াখিম হারম্যান জানিয়েছেন, আক্রমণকারী ব্যক্তি আফগান হলেও জার্মানিতে বৈধভাবে বসবাস করছে সে। তার কাজের পারমিটও আছে। তার বিরুদ্ধে এর আগে কোনো অপরাধমূলক মামলা হয়নি। তার নামে কখনো ডিপোর্টেশন অর্ডারও বার হয়নি। মন্ত্রীর কথায়, ''ওই ব্যক্তি জার্মানিতে সম্পূর্ণ বৈধভাবে বসবাস করছে।''

২০১৬ সালে নাবালক হিসেবে ওই ব্যক্তি অন্য কারো সঙ্গে জার্মানিতে এসেছিল। ২০২০ সালে সে জার্মানিতে অভিবাসনের জন্য দরখাস্ত করে। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ হয়ে যায়। তাকে দেশে ফিরে যেতে বলা হয়। কিন্তু ২০২১ সালের এপ্রিল মাসে মিউনিখ তাকে রেসিডেন্সি পারমিট দেয়। তখন থেকে বৈধভাবে সে জার্মানিতে বসবাস করছে।

এরপর মিউনিখেই ওই ব্যক্তি স্কুলে যায়। পরে একটি চাকরির কোর্সও করে। একটি দোকানের নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে কাজ করে। দোকানে চুরির বেশ কয়েকটি মামলায় তাকে আদালতে যেতে হয়েছিল অপরাধী হিসেবে নয়, সাক্ষী হিসেবে। এই কারণেই প্রাথমিকভাবে পুলিশের মনে হয়েছিল, ওই ব্যক্তি একাধিক অপরাধের সঙ্গে জড়িত। কিন্তু পরে দেখা যায়, তার বিরুদ্ধে কোনো অপরাধমূলক রেকর্ড নেই।

শলৎসের বক্তব্য

জার্মানচ্যান্সেলর ওলফ শলৎস বৃহস্পতিবার একটি নির্বাচনি প্রচারে ছিলেন। জার্মানির একটি টিভি চ্যানেলে দর্শকদের প্রশ্নের সরাসরি উত্তর দিচ্ছিলেন তিনি। সেখানে সন্ত্রাসবাদের প্রসঙ্গও আসে। মিউনিখের ঘটনাটির প্রসঙ্গও ওঠে। শলৎস জানিয়েছেন, এই ধরনের ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের জার্মানিতে শাস্তি না দিয়ে সরাসরি দেশে ফিরিয়ে দেয়াই ঠিক রাস্তা বলে তিনি মনে করেন। এক্ষেত্রেও সেই একই কথা বলেছেন তিনি।

তালেবানের বক্তব্য

আফগানিস্তানের তালেবান সরকার জানিয়েছে, জার্মানি থেকে আফগান নাগরিকদের ফেরত পাঠালে তাদের দেশে ফেরত নিতে আপত্তি নেই। কিন্তু তার বদলে জার্মানিতে আবার আফগানিস্তান কনসুলেট খুলতে দিতে হবে। ওই কনসুলেটের মাধ্যমেই এই প্রত্যর্পণ করতে হবে।

এখন তৃতীয় দেশের মাধ্যমে একাজ করে জার্মানি। মূলত পাকিস্তান হয়ে আফগানিস্তানে ফেরত পাঠানো হয় মানুষদের। তালেবানের বক্তব্য, তৃতীয় দেশের মাধ্যমে একাজ আর করা যাবে না। জার্মানিকে সরাসরি তালেবান সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে হবে এবং দূতাবাস খুলতে দিতে হবে।

এএফডি-র বক্তব্য

অতি দক্ষিণপন্থি দল এএফডি-র চ্যান্সেলর পদপ্রার্থী এলিস উইডেল জানিয়েছেন, তার দল ক্ষমতায় থাকলে ওই ব্যক্তি জার্মানিতে ঢুকতেই পারতো না। তার বক্তব্য, ''প্রতিবার একই জিনিস দেখা যায়। অভিবাসনপ্রার্থীকে প্রথমে অনুমতি দেওয়া হয় না। কিন্তু তাকে ফেরত পাঠানোও হয় না। পরে ঠিকই সে কোনো না কোনো ভাবে দেশে বৈধভাবে থেকে যাওয়ার কাগজপত্র পেয়ে যায়।''

এসজি/জিএইচ (ডিপিএ, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ