1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্সে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে নানা মত

১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

ইউরোপের সঙ্গে কথা না বলেই ডনাল্ড ট্রাম্প পুটিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বিষয়টি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন ইউরোপের নেতারা।

মিউনিখ নিরাপত্তা কনফারেন্স
মিউনিখ নিরাপত্তা কনফারেন্সে ইউক্রেন নিয়ে আলোচনাছবি: Matthias Schrader/AP Photo/picture alliance

ফ্রান্স জানিয়েছে, ইউরোপের নেতাদের নিয়ে সোমবার তারা একটি বৈঠক করবে। সেখানে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে অ্যামেরিকার বর্তমান অবস্থান নিয়ে আলোচনা হবে। কারণ মিউনিখ নিরাপত্তা কনফারেন্সের ইউরোপের নেতাদের সঙ্গে অ্যামেরিকার কার্যত বিতণ্ডা হয়েছে ইউক্রেন প্রশ্নে।

অ্যামেরিকার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন, ইউক্রেন এবং ইউরোপীয় দেশগুলিকে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে। ইউক্রেন যুদ্ধের সমাধান নিয়ে দ্রুত বৈঠক শুরু করা দরকার।

বস্তুত, গত সপ্তাহেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প টেলিফোনে দীর্ঘ আলোচনা করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিনের সঙ্গে। কিন্তু বৈঠকের আগে তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বা ইউরোপের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেননি। বিষয়টি খুব ভালো ভাবে নেয়নি ইউরোপ। বিষয়টি নিয়ে মিউনিখ নিরাপত্তা কনফারেন্সে তারা প্রশ্ন তুলেছে।

একটি গণমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় রুবিও জানিয়েছেন, ট্রাম্প তাদের নির্দেশ দিয়েছেন, দ্রুত ইউক্রেন যুদ্ধ সমাধানের জন্য আলোচনায় বসতে। তার কথায়, ''বাস্তবসম্মত আলোচনা শুরু হওয়া দরকার। যা এখনো পর্যন্ত হয়নি। তবে সেই আলোচনায় ইউক্রেনকে থাকতেই হবে, কারণ এই যুদ্ধে তারা অন্যতম পক্ষ।''

রাশিয়ার হুমকির পর দেশে বাঙ্কার তৈরির চিন্তা জার্মানির

02:25

This browser does not support the video element.

পাশাপাশি ইউরোপের নেতাদেরও এই আলোচনায় থাকতে হবে বলে জানিয়েছেন রুবিও। তার কথায়, ''যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ইউরোপ রাশিয়ার বিরুদ্ধে একাধিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। বিভিন্নভাবে তারা এই যুদ্ধের সঙ্গে যুক্ত থেকেছে। ফলে আলোচনায় তাদের থাকাও জরুরি।''

ইউরোপের নেতারা প্রশ্ন তুলেছেন, কারও সঙ্গে আলোচনা না করে ট্রাম্প কেন পুটিনকে ফোন করলেন। উত্তরে রুবিও বলেছেন, একটি ফোন কল এত বড় যুদ্ধের সমাধান করতে পারে না। বিষয়টি জটিল এবং রক্তক্ষয়ী। ফলে পরবর্তী আলোচনার দিকে নজর দেওয়া দরকার। এবং তার প্রস্তুতি শুরু করা উচিত।

শুক্রবার রুবিও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গেও কথা বলেছেন। জেলেনস্কি তাকে বলেছেন, ইউক্রেনকে ছাড়া ইউক্রেন নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত তিনি মেনে নেবেন না, ঠিক যেমন ইউরোপকে ছাড়া ইউরোপ নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত মেনে নেয়া সম্ভব নয়।

এদিকে শনিবার ইউক্রেন নিয়ে আলোচনার জন্য ট্রাম্পের প্রতিনিধি কেথ কেলগ বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে আলোচনায় ইউরোপ সরাসরি যুক্ত হবে না। তবে তাদের নির্দিষ্ট ইনপুট বা মতামত শোনা হবে। স্বাভাবিকভাবেই ইউরোপ এই অভিমত সমর্থন করতে পারেনি।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ