1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মিডিয়া সেন্সরশিপ বাতিলের ঘোষণা দিয়েছে মিয়ানমার

২০ আগস্ট ২০১২

দীর্ঘ অর্ধশতাব্দি পর মিডিয়া সেন্সরশিপ বাতিল করার ঘোষণা দিয়েছে মিয়ানমার৷ সেদেশের গণতান্ত্রিক সংস্কারের অংশ হিসেবে এই উদ্যোগ সরকারের৷ মিয়ানমারের গণমাধ্যম এখন কাজ করতে পারবে স্বাধীনভাবে৷

ছবি: Reuters

সংবাদপত্র থেকে শুরু করে গীতিকবিতা এমনকি রূপকথার গল্প - মিয়ানামারে সবকিছুই ছিল সেন্সরশিপের আওতাভুক্ত৷ অর্থাৎ জান্তা সরকারের অনুমতি ছাড়া এসব প্রকাশ করা যাবে না৷ পত্রিকা প্রস্তুত করে তাই প্রথমে পাঠাতে হতো সেন্সরবোর্ডে৷ এরপর তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী, কাটছাট এমনকি সংবাদ বাদ দিয়ে প্রকাশ করতে হতো পত্রিকা৷ গত অর্ধশতাব্দি ধরে এটাই ছিল মিয়ানমারের বাস্তবতা৷ সোমবার থেকে বিষয়টি আর সেরকম থাকছে না৷

অবশ্য ভয় এখনো কাটেনি সাংবাদিকদের মন থেকে৷ ইয়াঙ্গনভিত্তিক একটি সাপ্তাহিক পত্রিকার সম্পাদক তাই এই বিষয়ে মন্তব্য করলেন নাম প্রকাশ না করার শর্তে৷ বার্তাসংস্থা এএফপি'কে তিনি বলেন, ‘‘মিয়ানমারের সব সাংবাদিকদের জন্য আজ (সোমবার) একটি মহান দিন৷ তারা বহু বছর ধরে ঘৃণ্য বিধিনিষেধের আওতায় কাজ করতে বাধ্য ছিলেন৷'' এই সাংবাদিক মনে করেন, থেন সেইন সরকারের নেতৃত্বে মিয়ানমারে যে উন্নয়ন চলছে এটা তারই এক উদ্দীপক উদাহরণ৷ গত বছর জান্তা সরকারের পতনের পর ক্ষমতা গ্রহণ করেন থেন সেইন৷

বলাবাহুল্য, মিয়ানমারের সকল ধরনের গণমাধ্যমের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য বিধিনিষেধ অবশ্য গত বছরই কিছুটা শিথিল করা হয়েছিল৷ তখন কম বিতর্কিত বিভিন্ন গণমাধ্যমকে সেন্সরের আওতা থেকে বাদ দেওয়া হয়৷ সোমবার থেকে রাজনৈতিক এবং ধর্মীয় পত্রিকাও সেন্সরবোর্ডের পূর্বানুমতি ছাড়া প্রকাশ করা যাবে৷

ছবি: dapd

মিয়ানমার সরকারের গণমাধ্যম বিষয়ক বিভাগ, পিএসআরডি'র প্রধান টিন্ট শ এই বিষয়ে বলেন, ‘‘এখন থেকে আর স্থানীয় গণমাধ্যমকে তাদের রিপোর্ট সেন্সরবোর্ডের কাছে পাঠাতে হবে না৷ ১৯৬৪ সালের ৬ই আগস্ট থেকে এই সেন্সরশিপ শুরু হয়েছিল এবং ৪৮ বছর দুই সপ্তাহ পর তা বাতিল করা হলো৷''

তবে চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রে সেন্সর প্রথা বাতিল হচ্ছে না৷ টেলিভিশন সংবাদের ক্ষেত্রেও খানিকটা বিধিনিষেধ থেকে যাচ্ছে৷ মিয়ানমারের তথ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বার্তাসংস্থা এএফপি'কে বলেছেন, সংবেদনশীল প্রতিবেদন প্রকাশের ক্ষেত্রে টিভি সাংবাদিকদের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পরামর্শ করতে হবে৷ অর্থাৎ সেক্ষেত্রে ‘সেল্ফ সেন্সর' প্রযোজ্য হবে৷

মিয়ানামের জান্তা সরকারের সময় কারাভোগ করা সাংবাদিকরা সেন্সরশিপ প্রথা বাতিলের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন৷ ‘সেভেন ডে' পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক নাইয়ান নাইয়ান নাইয়িং এই বিষয়ে বলেন, ‘‘ একজন সাংবাদিক হিসেবে আমি আনন্দিত, কেননা এখন আর আমাদের প্রতিবেদনগুলো প্রকাশের পূর্বে সরকারি নিরীক্ষা বিভাগে পাঠাতে হবে না৷''

এআই / ডিজি (এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ