1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মিশর

১৬ জুন ২০১২

রাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যেই মিশরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হলো৷ সাবেক স্বৈরশাসকের অনুসারী নাকি ইসলামপন্থী, এই নিয়ে দ্বিধায় গোটা মিশর৷ দেশটিতে সেনাবাহিনীর কর্তৃত্বের ভবিষ্যতও বলে দেবে এই নির্বাচন৷

A woman shows her ink-stained finger after casting her vote at a polling station in Cairo June 16, 2012.Egypt's first free presidential election concludes this weekend in a run-off between the Muslim Brotherhood's candidate Mohamed Morsy and Ahmed Shafik, the last prime minister of ousted leader Hosni Mubarak. REUTERS/Suhaib Salem (EGYPT - Tags: POLITICS ELECTIONS)
ছবি: Reuters

মিশরে গত কয়েক দশকের মধ্যে এই প্রথম প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে এত জল্পনা কল্পনা তৈরি হয়েছে৷ সাবেক হোসনি মোবারকের আমলে মিশরের জনগণ নির্বাচনের আমেজ কখনোই টের পায়নি৷ গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে অভ্যুত্থানের পর গণতন্ত্রের যে আবহ তৈরি হয়েছে তার ফলে এবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে সকলের মধ্যেই আগ্রহ রয়েছে৷ তাই শনিবার সকাল থেকেই ভোটকেন্দ্রগুলোতে দেখা গেছে ভোটারদের লম্বা সারি৷ বার্তা সংস্থা ডিপিএ জানায়, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের চেয়ে দ্বিতীয় পর্যায়ে ভোট প্রদানের হার বেশি দেখা গেছে৷

নির্বাচনে লড়ছেন ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরশাসক হোসনি মোবারকের সর্বশেষ প্রধানমন্ত্রী আহমেদ শফিক৷ আর অন্যদিকে রয়েছেন একসময় নিষিদ্ধ মুসলিম ব্রাদারহুডের সমর্থিত প্রার্থী মোহাম্মদ মুরসি৷ এই দুইজনকে নিয়ে গোটা মিশরের মানুষ এখন দ্বিধাবিভক্ত৷ যেমন, ২৬ বছর বয়সী কপ্টিক খ্রিষ্টান তরুণ রোমানি চান না যে ইসলামপন্থী মুরসির মত কেউ ক্ষমতায় আসুক৷ তার বক্তব্য, ‘‘আমি শফিককে ভোট দেব, কারণ তিনি জানেন তাঁকে কী করতে হবে৷ এই দেশের প্রয়োজন একজন কঠোর মানুষের, দুর্বল কাউকে নয়৷ তবে আমরা এখনও জানি না আমাদের ভাগ্যে আসলে কী লেখা আছে৷''

মিশরের সংসদ ভেঙ্গে দিয়েছে আদালতছবি: picture-alliance/dpa

অন্যদিকে মিশরের অনেক মানুষ চান না, রক্তের বিনিময়ে যে গণঅভ্যুত্থান এসেছে এই নির্বাচনের মাধ্যমে আবারও সেই সাবেক মোবারক আমলের ভূত জনগণের কাঁধে চাপুক৷ যেমনটি বললেন, আইটি কর্মকর্তা মোহাম্মদ৷ তিনি বলেন, ‘‘আমি শফিককে ভোট দেব না কারণ তাঁর সঙ্গে আগের সরকারের সম্পৃক্ততা রয়েছে৷ আমার প্রার্থী মুরসি, তিনি এর মধ্যে অনেক কিছুই করেছেন, এমনকি রাজনীতিতেও৷ হ্যাঁ, মুসলিম ব্রাদারহুড ও তার রাজনীতি নিয়ে আমার আপত্তি রয়েছে তবে ভবিষ্যতে হয়তো তারা ভালো কিছু করবে এবং শুধু নিজেদের কথা চিন্তা না করে সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করবে৷''

দীর্ঘ অর্ধ শতাব্দেরও বেশি সময় ধরে মিশরের রাজনীতিতে কোণঠাসা হয়ে থাকার পর এই নির্বাচন ইসলামপন্থীদের জন্য নতুন সুযোগ নিয়ে এসেছে৷ তবে সর্বশেষ আদালতের রায় তাদের বিপক্ষে গিয়েছে৷ একই সঙ্গে দেশটির সেনাবাহিনীর সঙ্গে তাদের বিরোধ আরও স্পষ্ট হয়ে দেখা যাচ্ছে৷ এই ক্ষেত্রে ইসলামপন্থীরা তাদের পাশে জনগণকে পাচ্ছে কিনা সেটি স্পষ্ট হবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে৷

আরআই (ডিপিএ, এএফপি, এআরডি)/এসইউবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ