1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মুরসির ভারত সফর

অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি১৮ মার্চ ২০১৩

মিশরের প্রেসিডেন্ট মুরসির চারদিনের ভারত সফর নানা দিক থেকেই তাৎপর্যপূর্ণ৷ বিপ্লব-পরবর্তী মিশর সরকারের সঙ্গে ভারতের প্রাচীন সম্পর্ককে নতুন করে ঝালিয়ে নেয়া ছাড়াও সেদেশের অর্থনীতিকে পুনর্জ্জীবিত করার ওপর জোর দেয়া হবে৷

Berlin/ Der aegyptische Praesident Mohammed Mursi spricht am Mittwoch (30.01.13) in Berlin. Mursi besuchte am Mittwoch Berlin zu diplomatischen Gespraechen. (zu dapd-Text) Foto: Timur Emek/dapd
ছবি: dapd

সোমবার থেকে ভারত সফর শুরু করছেন মিশরের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসি৷ সঙ্গে আসছেন ৮০ সদস্যের এক উচ্চস্তরের প্রতিনিধিদল৷ হোসনি মুবারক পরবর্তী মুসলিম ব্রাদারহুডের ফ্রিডম ও জাস্টিস পার্টি সরকারের সঙ্গে ভারত তার সম্পর্কের নতুন মূল্যায়নের সুযোগ পাবে মুরসির এই সফরে৷ আফ্রিকা মহাদেশে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক দিক থেকে মিশরকে সহযোগী দেশ হিসেবে পাওয়া ভারতের দরকার নানা কারণে৷ পাশাপাশি, মিশরীয় বিপ্লবী সরকার উদীয়মান শক্তি হিসেবে ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের পরিধি বাড়াতে আগ্রহী হবে৷

মিশরের পরিস্থিতি এখনো পুরোপুরি স্বাভাবিক না হওয়ায় ভারত চিন্তিতছবি: REUTERS

ভারতের শীর্ষ রাজনৈতিক নেতৃত্বের সঙ্গে মিশরের প্রেসিডেন্টের আলোচনায় উঠে আসবে সিরিয়া ও মধ্যপ্রাচ্য শান্তি প্রক্রিয়ায় ভারতের অবস্থান ও সন্ত্রাস মোকাবিলা প্রসঙ্গ৷ গণঅসন্তোষের কারণে মিশরের আর্থিক সঙ্কট মোচনে ভারতের ভূমিকা কী হতে পারে, তা জানতেও সমান আগ্রহী হবেন প্রেসিডেন্ট মুরসি৷

 আলোচনার শীর্ষে থাকবে অর্থনৈতিক সহযোগিতা৷ জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের দুটি অগ্রণী দেশের মধ্যে ব্যবসা বাণিজ্যে বর্তমানে মিশরের পাল্লা ভারি৷ মিশর রপ্তানি করে ভারতে ২৩০ কোটি ডলারের পণ্য আর ভারত থেকে আমদানি করে ২০০ কোটি ডলারের মত৷ ভারত মূলত রপ্তানি করে গম ও অন্য কৃষিজাত পণ্য, ওষুধপত্র, তথ্য প্রযুক্তি ও পরিষেবা৷ মিশরে  টাটা, বিড়লা, কির্লোস্কারের মত ভারতীয় কোম্পানিগুলিতে কাজ করে প্রায় ৩০ হাজার লোক৷ বিপ্লব পরিস্থিতিতেও কোন ভারতীয় কোম্পানি মিশর ছাড়েনি৷ ভারত মিশরের সপ্তম বৃহত্তম বাণিজ্যিক সহযোগী দেশ৷

প্রেসিডেন্ট মুরসি বহু কোটি ডলারের আল-নাহাদা অর্থাৎ পুর্নজাগরণ প্রকল্পে ভারতের যোগদানের প্রস্তাব দিতে পারেন৷ এই প্রকল্প মিশর ও সুয়েজ এলাকার শিল্প ও নগরায়ণের চালচিত্রটাই বদলে দিতে পারে বলে বলা হয়েছে৷ এছাড়া তথ্যপ্রযুক্তি ও পরিষেবা ক্ষেত্রে ভারতের বিশেষজ্ঞ সহযোগিতায় আগ্রহী হতে পারে মিশর৷

শুধু তাই নয়, ভারতের সামাজিক বিবিধতা, সুষ্ঠু নির্বাচন ব্যবস্থাপনা, ভর্তুকির পরিবর্তে নগদ ক্যাশ টাকা ট্রান্সফার স্কীম, মাইক্রে-ক্রেডিট ইত্যাদির অভিজ্ঞতার বিষয়ে খোঁজখবর করতে পারে৷

উল্লেখ্য, মিশরের পরিস্থিতি এখনো পুরোপুরি স্বাভাবিক না হওয়ায় ভারত চিন্তিত৷ যে বিপ্লবের মধ্য দিয়ে মিশরে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, এখন সেই সরকারের বিরুদ্ধেই উঠছে স্বৈরাচারির অভিযোগ৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ