‘মিশরে কী হতে চলেছে বোঝা যাচ্ছে না’
২১ ডিসেম্বর ২০১২গত ফেব্রুয়ারিতে তীব্র আন্দোলনের মুখে ক্ষমতা ছাড়তে হয় হোসনি মুবারককে৷ তখন কে ভেবেছিল সেই মিশরে বছর না ঘুরতেই আবার দেখা যাবে লাগাতার আন্দোলন? এবারের আন্দোলন অবশ্য একেবারে ভিন্ন ধরনের৷ আন্দোলনকারীদের প্রতিপক্ষ এখন গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকার৷ মোহামেদ মুরসি মুসলিম ব্রাদারহুডের শীর্ষ নেতা হিসেবে প্রেসিডেন্ট হয়েছেন ছয় মাসও হয়নি, তার আগেই মিশর আবারো উত্তাল৷
প্রথমে বিরোধী দলগুলো নেমেছিল মুরসির জারি করা একটি ডিক্রি প্রত্যাহারের দাবিতে৷ বিরোধীদের অভিযোগ ছিল, নতুন প্রেসিডেন্ট সেখানে তাঁর এবং তাঁর দলের ক্ষমতা বাড়িয়ে নিয়েছেন৷ আন্দোলনের এক পর্যায়ে বাতিল করা হয় ডিক্রিটি৷ তবে তাতেও শান্তি বা স্থিতি ফেরেনি৷ নতুন সংবিধান প্রণয়নের পথে পা বাড়িয়ে বিরোধীদের আরো বেপরোয়া আন্দোলনের মুখেই ঠেলে দিয়েছেন মুরসি৷
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক কাবেরি গায়েন এখন মিশরে৷ তাই তাঁর কাছে জানতে চাওয়া, মুবারকের পতনের পর আবার উত্তাল তাহরির স্কয়ার, উত্তাল মিশর৷ কেমন দেখছেন? হোসনি মুবারকবিরোধী আন্দোলনের সময়ের সঙ্গে এখনকার তফাত কতটুকু? কথোপকথন এভাবে শুরু হলেও শেষ হয়েছে সংবিধান নিয়ে ‘হ্যাঁ', ‘না' ভোটের সম্ভাব্য ফলাফল এবং মিশরের নিকট ভবিষ্যত প্রসঙ্গে৷
কাবেরি বললেন, ‘‘মিশরে মুসলিম ব্রাদারহুড আর বিরোধী দলগুলো মুখোমুখি অবস্থানে, দু'পক্ষই খুব মরিয়া, তাই কী হতে চলেছে এক্ষুনি বলা খুব মুশকিল৷''
সাক্ষাৎকার: আশীষ চক্রবর্ত্তী
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ