1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মিশরে নির্বাচনে ইসলামপন্থীদের বড় সাফল্য

৩ ডিসেম্বর ২০১১

মুবারক পরবর্তী মিশরে প্রথমবারের মতো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে গত সপ্তাহে৷ তিন পর্যায়ে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনের সেটা ছিল প্রথম পর্যায়৷ শুক্রবার সন্ধ্যায় জানা গেছে এর প্রাথমিক ফলাফল৷

ছবি: dapd

ফলাফল

যেমনটা ধারণা করা হয়েছিল হয়েছেও সেটাই৷ ইসলামপন্থী দলগুলো কমপক্ষে দুই-তৃতীয়াংশ ভোট পেয়েছে৷ এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়েছে সাবেক মুসলিম ব্রাদারহুড - নির্বাচনে যারা ফ্রিডম এন্ড জাস্টিস পার্টি হিসেবে অংশ নিয়েছে৷ এর পরেই রয়েছে চরমপন্থী ইসলামি দল আল-নূর৷ এই দলটির জন্ম হয়েছে এ বছরই, মুবারকের পতনের পর৷ আর মুসলিম ব্রাদারহুডের আবির্ভাব অনেক আগেই৷ যদিও মুবারকের আমলে দলটির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা ছিল৷ কিন্তু তথাপিও তারা তৃণমূল পর্যায়ে সামাজিক কর্মকান্ড চালিয়েছিল৷ ফলে সাধারণ মিশরীয়দের কাছে তাদের একটা গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে৷

আন্দোলনের নেতাদের অবস্থা

তাদের মধ্যে এখন পর্যন্ত মাত্র একজনের জয়লাভের খবর জানা গেছে৷ এছাড়া নির্বাচনে কোনো নারী প্রার্থীও জয়লাভ করতে পারেনি৷ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা এক নারী প্রার্থী বলছেন মিশরীয় সমাজে ধর্মীয় দলগুলোর প্রভাব থাকায় কোনো নারীর পক্ষে নির্বাচনে জেতা সম্ভব হয়নি৷

মুসলিম ব্রাদারহুডের মুখপাত্র মোহাম্মদ মরসিছবি: AP

মিশরীয়দের প্রতিক্রিয়া

মিশরীয় তরুণদের মনে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে৷ ফেসবকু, ট্যুইটারে তাদের মন্তব্য দেখে এমন আভাষই পাওয়া যাচ্ছে৷ যেমন ট্যুইটারে একজন লিখেছেন ‘আমরা নতুন আফগানিস্তান হতে যাচ্ছি!' অবশ্য মনে এ ধরণের ভাবনা আসার কারণও রয়েছে৷ কেননা সম্ভাব্য এক প্রেসিডেন্ট প্রার্থী বলেছেন মিশরের সব নারীকে বোরকা পরতে হবে৷ অবিবাহিত তরুণ-তরুণীদের প্রকাশ্যে একসঙ্গে থাকতে দেয়া হবেনা৷ অবশ্য প্রধান দুই ইসলামি দলের বিবৃতিতে এখনো পর্যন্ত এ ধরনের অবস্থা হওয়ার কোনো সম্ভাবনার আভাষ পাওয়া যায়নি৷

আন্তর্জাতিক বিশ্বের প্রতিক্রিয়া

এখন পর্যন্ত খুব বেশি প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি৷ শুধু ফ্রান্সের এক জুনিয়র মন্ত্রী বলেছেন মিশরে ইসলামপন্থী দলের সাফল্যের বিষয়টি ‘চিন্তার'৷ এ প্রসঙ্গে তিনি সাম্প্রতিককালে মরক্কো ও টিউনিশিয়াতেও ইসলামি দলগুলোর উত্থানের বিষয়ে দুশ্চিন্তা প্রকাশ করেন৷ এদিকে গাজার নিয়ন্ত্রণকারী হামাস মিশরের নির্বাচনের ফলাফলে আনন্দ প্রকাশ করেছে৷ বিবৃতিতে হামাসের এক মুখপাত্র বলেন এর ফলে ভবিষ্যতে মিশরের সঙ্গে ফিলিস্তিনিদের সম্পর্ক ভাল হবে৷ এছাড়া দেশে দেশে ইসলামি দলগুলোর উত্থান এটাই প্রমাণ করে যে, ইসলামকে রাজনৈতিকভাবে দমিয়ে রাখার পশ্চিমা চেষ্টা ব্যর্থ হচ্ছে৷

প্রতিবেদন: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: আরাফাতুল ইসলাম

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ