1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভোটগ্রহণ শুরু মিশরে

২৬ মে ২০১৪

দুই দিনের ভোটগ্রহণ পর্বে মিশরের মানুষ সামরিক নেতা আবদেল ফাতাহ আল সিসি-কে গণতান্ত্রিক বৈধতা দেবেন – এমনটাই ধরে নেওয়া হচ্ছে৷ ইসলামিক ব্রাদারহুড এই নির্বাচন বর্জন করায় তাঁর সামনে কোনো শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী নেই৷

Ägypten Präsidentschaftswahl Wahlplakate in Kairo 25.05.2014
ছবি: Reuters

বছর তিনেক আগে হোসনি মুবারকের পতনের পর থেকেই মিশরের রাজনৈতিক অচলাবস্থা কাটছে না৷ সামরিক শাসন, সাধারণ নির্বাচন, প্রেসিডেন্ট নির্বাচন, আবার সামরিক বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ – একের পর এক ঘটনা মিশরের রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে৷ ২০১১ সাল থেকে সাতবার নির্বাচন ও গণভোট সত্ত্বেও দেশে শান্তি আসেনি৷ এবার সামরিক নেতা আবদেল ফাতাহ আল সিসি উর্দি ছেড়ে বেসামরিক সাজে দেশের হাল ধরে রাখতে চান৷ তিনি গণতান্ত্রিক পথে আবার ক্ষমতা ধরে রাখতে চান৷ সিসি নিজে অবশ্য দেশের প্রথম গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাত করেছেন৷ গত বছরের জুলাই ইসলামিক ব্রাদারহুড দলের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুরসিকে পদচ্যুত করার পর দেশে হিংসা ছড়িয়ে পড়েছিল৷

ছবি: Mohammed Mahjoub/AFP/Getty Images

এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন বর্জন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মুরসির ব্রাদারহুড দল৷ তরুণদের কিছু বিপ্লবি গোষ্ঠীও সেই বয়কটের ডাকে সুর মিলিয়েছে৷ ১৯৫২ সালে রাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থানের পর থেকেই গেমাল আবদেল নাসের, আনওয়ার সাদাত ও হোসনি মুবারকের মতো সামরিক নেতারাই দেশ শাসন করেছেন৷ তাঁদের ধারণা, লোক-দেখানো বৈধতা নিয়ে এবার মুরসি দেশের আগামী স্বৈরাচারী শাসক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে চলেছেন৷ ফলে দুই দিনের ভোটগ্রহণ পর্বে সিসি-র একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ প্রতিদ্বন্দ্বী বামপন্থি দলের হামদিন সাবাহি৷ উল্লেখ্য, চলতি বছরই মিশরে আবার সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবার কথা৷

সিসি নিজেও মনে করেন না, মিশর এখনো পুরোপুরি গণতন্ত্রের জন্য প্রস্তুত৷ তাঁর মতে, দেশে ‘আসল গণতন্ত্র' আসতে কয়েক দশক সময় লেগে যাবে৷ তবে তিনি ভোটারদের বিশাল সংখ্যায় ভোট দিতে উৎসাহ দিয়েছেন৷ তিনি ইসলামিক ব্রাদারহুড-কে পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন করার অঙ্গীকারও করেছেন৷ উল্লেখ্য, ব্রাদারহুড-কে সন্ত্রাসবাদী দল হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে৷

এই পরিস্থিতিতে ভোটাররা ‘শক্তিশালী নেতা' হিসেবে সিসি-কেই বেছে নেবেন – এমন ইঙ্গিতই স্পষ্ট হয়ে উঠছে৷ দেশের বেহাল অবস্থা সামাল দিতে আপাতত এ রকম মানুষের উপরেই ভরসা করা ছাড়া তাদের সামনে আর কোনো পথ খোলা নেই৷ ইউরোপীয় ইউনিয়ন সহ কিছু আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীর পর্যবেক্ষক ভোটগ্রহণ কেন্দ্রগুলি পরিদর্শন করছেন৷

এসবি/ডিজি (এএফপি, রয়টার্স, এপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ