1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মিশরে বিক্ষোভ

২৪ নভেম্বর ২০১২

বিক্ষোভ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে হোসনি মুবারকের পতনের পর নির্বাচনে জয়ী হয়ে প্রেসিডেন্ট হন মোহাম্মেদ মুরসি৷ এখন তাঁর ক্ষমতা কুক্ষিগত করার প্রচেষ্টার বিরুদ্ধেও উত্তাল হয়ে উঠেছে মিশরের রাজপথ৷ উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিশ্ব সম্প্রদায়৷

Protesters gather at Tahrir square in Cairo November 23, 2012. Angry youths hurled rocks at security forces and burned a police truck as thousands gathered in central Cairo to protest at Egyptian President Mohamed Mursi's decision to grab sweeping new powers. Police fired tear gas near Tahrir Square, heart of the 2011 uprising that toppled Hosni Mubarak at the height of the Arab Spring. Thousands demanded that Mursi should quit and accused him of launching a "coup". REUTERS/Mohamed Abd El Ghany (EGYPT - Tags: POLITICS CIVIL UNREST)
ছবি: Reuters

মূলত মুসলিম ব্রাদারহুড তথা মিশরের ইসলামপন্থীদের সমর্থন নিয়ে এবং স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের বুলি আউড়িয়ে নির্বাচনে জয়ী হন মোহাম্মেদ মুরসি৷ কিন্তু দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই তিনি প্রেসিডেন্টের হাতে সকল ক্ষমতা কুক্ষিগত করার চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছেন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা৷ কারণ ইতিমধ্যে নির্বাহী এবং আইন প্রণয়নের ক্ষমতা কুক্ষিগত করেছেন মুরসি৷ আর গত সপ্তাহে নতুন আদেশ জারির মধ্য দিয়ে বিচার বিভাগের উপরেও প্রেসিডেন্টের ক্ষমতাকে স্থান দিয়েছেন তিনি৷

কিন্তু মিশরের জনতা মুরসির এই সর্বশেষ পদক্ষেপকে মানতে নারাজ৷ তাদের আশঙ্কা, এর মধ্য দিয়ে মুরসি যেন নিজেকে আরেক মুবারকে পরিণত করতে যাচ্ছেন৷ তাই এর বিরুদ্ধে দেশটির রাজধানী কায়রোসহ সুয়েজ এবং আলেক্সান্দ্রিয়াতেও বিক্ষোভ শুরু হয়েছে৷ শনিবারও অব্যাহত রয়েছে বিক্ষোভ আন্দোলন৷ শুক্রবার রাতে কায়রোর ঐতিহাসিক তাহরির চত্বরে অন্তত ৩০টি তাবু গেঁড়ে অবস্থান গ্রহণ করে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীরা৷ আর শনিবার সকালে তাদের সাথে যোগ দিতে আরো অনেক নেতা-কর্মী সেখানে তাবু স্থাপনের চেষ্টা করে৷ এসময় পুলিশ তাদের বাধা দেয় এবং ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে৷

এছাড়া বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভকারীরা ইসলামিস্ট ফ্রিডম ও জাস্টিস পার্টির দলীয় কার্যালয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়৷ মুরসির সমর্থকরাও পিছিয়ে নয়৷ তারাও বিভিন্ন শহরে সমবেত হয়ে মুরসির প্রতি তাদের সমর্থন ব্যক্ত করে৷ কায়রোয় প্রেসিডেন্ট ভবনের সামনে সমবেত তাঁর সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বক্তৃতায় মুরসি বলেন, ‘‘আমরা চাই রাজনৈতিক, সামাজিক এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং সেজন্যই আমি কাজ করে যাচ্ছি৷''

ছবি: AFP/Getty Images

তবে মুরসির এমন নীতিকথায় সন্তুষ্ট নয় বিরোধী দলগুলো৷ বামপন্থী, উদারপন্থী এবং সমাজবাদী দলগুলো মুরসির এমন একনায়কতন্ত্রসুলভ পদক্ষেপের বিরুদ্ধে আগামী মঙ্গলবার নতুন করে বিক্ষোভ করার ঘোষণা দিয়েছে৷ উদারপন্থী দল দুস্তুর পার্টি তাদের ফেসবুক পাতায় এই কর্মসূচির তথ্য প্রকাশ করে সকলকে তাতে অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে৷

মুরসির এমন পদক্ষেপে এবং মিশরের উত্তাল পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন৷ মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ভিক্টোরিয়া নু্ল্যান্ড বলেছেন, ‘‘২২শে নভেম্বর ঘোষিত সিদ্ধান্ত ও আদেশ মিশরের মানুষের এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মনে উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে৷ সেখানকার সাম্প্রতিক বিপ্লবের অন্যতম দাবি ছিল দেশের সব ক্ষমতা একক ব্যক্তি কিংবা প্রতিষ্ঠানের হাতে কুক্ষিগত না করা৷'' ইইউ এবং মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল পৃথক পৃথক বিবৃতিতে এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে৷

এএইচ / এসি (এএফপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ