1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মিশরে পরিস্থিতি

৪ ফেব্রুয়ারি ২০১২

কায়রোর তাহরির চত্বরে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে বিক্ষোভকারীদের ভিড়৷ থেকে থেকে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ ঘটছে৷ জনতা গাড়ি ভাঙছে, দোকানপাট লুট করছে, পেট্রোল বোমা ছুঁড়ছে৷ পুলিশ চালিয়েছে কাঁদানে গ্যাস ও ছররা বুলেট৷

Egyptian security forces fire tear gas at protesters during clashes near the Interior Ministry in Cairo, Egypt, Saturday, Feb. 4, 2012. The number of people killed in clashes with Egyptian security forces in the wake of a deadly soccer riot rose on Saturday, according to a field doctor and a security official, as demonstrators in Cairo kept up their calls for an end to military rule and retribution for those killed in the soccer game violence. (Foto:Khalil Hamra/AP/dapd)
বিক্ষোভকারীদের পুলিশের ধাওয়াছবি: dapd

বুধবার পোর্ট সইদে একটি ফুটবল ম্যাচের পর দাঙ্গায় ৭৪ জন মানুষ প্রাণ হারায়৷ কায়রো থেকে আগত আল-আহলি দল স্থানীয় দল আল-মাসরি'র কাছে অপ্রত্যাশিতভাবে ১-৩ গোলে হারার ফলেই শুধু ঘটনাটা সংঘটিত হয়েছে, এ'কথা এখন কেউই বিশ্বাস করে না৷ স্টেডিয়ামে পুলিশ ও রায়ট পুলিশের নিষ্ক্রিয়তাকেই অনেকে তাদের যোগসাজসের প্রমাণ হিসেবে দেখছে৷

ওদিকে রয়েছে, কায়রো থেকে আল-আহলি'র যে গোঁড়া ফ্যানরা পোর্ট সইদে এসেছিল, সেই ‘আল্ট্রা'-রাই মিশরের অভ্যুত্থানে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে বিভিন্ন সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছিল৷ কাজেই কায়রোর আল-আহলি সমর্থকদের এখন ধারণা যে, বুধবার পোর্ট সইদে আল-মাসরি সমর্থকরা যখন মারমুখি হয়ে ওঠে, তখন পুলিশ জেনেশুনেই নিষ্ক্রিয় থাকে৷

মুবারকের পতনের পর মিশরের মানুষদের আকাশছোঁয়া আশার সিকির সিকিও পূরণ করতে পারেনি ফিল্ড মার্শাল হুসেইন তান্তাউয়ি'র সামরিক প্রশাসন৷ পোর্ট সইদের ঘটনা সেই অসন্তোষের বারুদে আগুন ছুঁইয়েছে৷ কাজেই মিশরীয় বিপ্লবের এই নতুন ঢেউ'এর দাবি: অবিলম্বে বেসামরিক সরকারের হাতে ক্ষমতা তুলে দিতে হবে৷ কিছু কিছু মহলের দাবি: প্রেসিডেন্ট নির্বাচনও জুন'এর পরিবর্তে এপ্রিলে করতে হবে৷

ছবি: dapd

বুধবারের ফুটবল ট্র্যাজেডি যাবৎ গত তিন দিনের সহিংসতায় প্রাণ হারিয়েছে আরো ১১ জন৷ তাদের বেশ কয়েকজন নাকি ছররা বুলেটের আঘাতে নিহত হয়েছে, বলেছেন পথেঘাটে সৃষ্ট ফিল্ড হসপিটালের চিকিৎসকরা৷ তাহরির চত্বরের কাছে নিহত পাঁচজন বিক্ষোভকারীর বয়স ১৮ থেকে ২১'এর মধ্যে, বলে জানিয়েছে সরকারি মেনা সংবাদ সংস্থা৷ গত তিন দিনে আহতের সংখ্যা সব মিলিয়ে আড়াই হাজারের বেশি৷ হতাহতের খবর এসেছে সুয়েজ ও আলেক্সান্দ্রিয়া থেকে৷ এই ফুঁসে ওঠা, উছলে ওঠা বিক্ষোভের শিকড় যতো গভীরেই হোক না কেন, সুপ্রিম কাউন্সিল অফ দ্য আর্মড ফোর্সেস বা স্ক্যাফ দেখছে ‘‘বিদেশি এবং দেশি'' শত্রুদের হাত৷ স্ক্যাফ চায়, স্থিতিশীলতায় প্রত্যাবর্তন৷

মিশরীয় ফুটবল সমিতির হর্তাকর্তাদের স্কেপগোট করে এই সংকটের সামাল দেওয়া যায়নি৷ এছাড়া বিপদ ঘনাচ্ছে অন্যদিকে: আরব বসন্তের তোলপাড়ের পর মিশরের পর্যটন শিল্প আবার কিছুটা পায়ে উঠে দাঁড়াতে চলেছিল৷ কিন্তু শুক্রবার সাইনেয়াই'তে দু'জন মার্কিন পর্যটক ও তাদের গাইডকে স্বল্পকালের জন্য অপহরণ করে, পরে আবার ছেড়ে দেওয়া হয়৷ সে খবরটা হবু পর্যটকদের কাছে অন্যরকম গুরুত্ব পেতে পারে৷

প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী
সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ