মিশর
২২ ডিসেম্বর ২০১২মিশরে গত একমাস ধরে পরিস্থিতি অত্যন্ত উত্তেজনাপূর্ণ তাদের প্রস্তাবিত সংবিধান নিয়ে৷ প্রেসিডেন্ট মোহাম্মেদ মুরসি যে সংবিধান জাতির সামনে হাজির করেছেন তা গোটা দেশকে প্রায় দুইভাগে ভাগ করে ফেলেছে৷ একদিকে ইসলামপন্থী ও তাদের সমর্থকরা অন্যদিকে সংখ্যালঘু ও ধর্মনিরপেক্ষতাবাদীরা৷ তবে গণভোটের রায়ের পর একটি আপাত সমাধান মিলবে বলে মনে হচ্ছে৷ গণভোটে মুসলিম ব্রাদারহুডের বিজয়ের সম্ভাবনা বেশি বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা৷ কারণ এক সপ্তাহ আগে প্রথম পর্বে অনানুষ্ঠানিকভাবে শতকরা ৫৭ ভাগ ভোট পাওয়ার দাবি করেছে মুসলিম ব্রাদারহুড৷ আর শনিবার যেসব জায়গাতে ভোট হচ্ছে সেখানে মুসলিম ব্রাদারহুডের সমর্থন বেশি৷ তাই এখানেও তাদের বিজয়ের সম্ভাবনা রয়েছে৷
এবারের ভোটে প্রায় আড়াই কোটি ভোটার রয়েছে৷ বার্তা সংস্থাগুলো জানিয়েছে, সকাল থেকেই ভোট কেন্দ্রগুলোতে প্রচুর ভোটার দেখা গেছে৷ একাধিক জায়গায় অনিয়মের খবর পাওয়া গেলেও ভোটের বেলাতে সেগুলো তেমন প্রভাব ফেলেনি৷ এছাড়া মুরসি বিরোধীরা শনিবারও দুয়েকটি জায়গায় সহিংস বিক্ষোভে জড়িয়ে পড়ে বলে জানা গেছে৷ সোমবার চূড়ান্ত ফলাফল জানা যাবে৷
ভোটারদের মধ্যে যারা প্রস্তাবিত সংবিধানের বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন তাদের যুক্তি হলো, এই সংবিধানে সংখ্যালঘু খ্রিষ্টানদের তেমন গুরুত্ব দেওয়া হয় নি৷ এছাড়া নারীদের বিষয়েও উদাসীনতা দেখা গেছে৷ তাই এই সংবিধান দেশকে ঐক্যবদ্ধ করতে পারবে না৷ অন্যদিকে সংবিধান সমর্থক ভোটারদের মতে, দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম জনগোষ্ঠীর কথা মাথায় রেখে এই সংবিধান প্রণীত হয়েছে৷ অনেকে বলছেন, গত দুই বছর ধরে যে রাজনৈতিক অস্থিরতা চলছে দেশটিতে তার অবসান হওয়াটা বেশি জরুরি৷ তাই এই সংবিধান প্রণীত হলে আপাতত রাজনৈতিক অস্থিরতা কমবে৷
বিরোধীরা বলছে অবশ্য ভিন্ন কথা৷ ফ্রি ইজিপ্শিয়ান পার্টির নেতা আহমেদ সাইদ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘‘আমি আরও অস্থিরতা দেখতে পাচ্ছি৷ মুসলিম ব্রাদারহুড বিষয়টি নিয়ে যেভাবে খেলছে মানুষ তা গ্রহণ করবে না৷'' অন্যদিকে মুসলিম ব্রাদারহুডের নেতা মোহামেদ বাদি বলেন, ‘‘সংবিধান প্রণীত হয় গেলে গোটা দেশ একটি লক্ষ্যমুখে এগুতে শুরু করবে৷''
আরআই/এএইচ (রয়টার্স, এএফপি, ডিপিএ)