মিশরে সরকার পতনের আন্দোলনের এক বছর পূর্তি
২৫ জানুয়ারি ২০১২বিশাল জমায়েতের উদ্দেশ্য
ইসলামপন্থী থেকে শুরু করে গণতন্ত্রকামী সাধারণ মিশরীয় নাগরিক সবাই রয়েছে তাহরির চত্বরে৷ এর মধ্যে একদল মিশরের ক্ষমতায় থাকা সামরিক শাসকদের পতন চাইছেন৷ আর আরেক দল, যারা মূলত মুসলিম ব্রাদারহুড নামক একটি ইসলামপন্থী সংগঠনের কর্মী, তারা আনন্দ প্রকাশ করছেন৷ অর্থাৎ সবাই একই জায়গায় রয়েছেন কিন্তু তাদের একেক জনের মনের অবস্থা একেক রকম৷ গণতন্ত্রকামীরা বলছেন, ফিল্ড মার্শাল টানটাউই, যিনি দেশটির শাসক ‘সুপ্রিম কাউন্সিল অব আর্মড ফোর্সেস'এর প্রধান, তাঁর আর সাবেক প্রেসিডেন্ট হুসনি মুবারকের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই৷ ফলে মুবারকের পতনের পরও মিশর এখনো আগের মতোই আছে বলে মনে করেন গণতন্ত্রকামীরা৷ অন্যদিকে মুসলিম ব্রাদারহুড কর্মীদের আনন্দের কারণ হলো তারা সংসদীয় নির্বাচনে বেশ ভাল করেছে৷ মুবারকের পতনের কারণেই সেটা সম্ভব হয়েছে৷ কেননা মুবারকের সময় ইসলামপন্থী ঐ সংগঠনটি নিষিদ্ধ ছিল৷
সামরিক শাসক
তারাও বলছে আজকের দিনটি আনন্দের৷ এ উপলক্ষ্যে তারা আলেকজান্দ্রিয়ায় নৌবাহিনীর একটি প্যারেডের আয়োজন করেছে৷ এছাড়া দিনটি উপলক্ষ্যে স্মারক মুদ্রাও ছাড়া হয়েছে৷
জনগণের দাবির প্রতিক্রিয়ায় সরকার
জনগণের মন পেতে একের পর এক পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার৷ যেমন আজকের দিনকে উপলক্ষ্য করে প্রায় তিন হাজার বন্দিকে মুক্তি দেয়ার কথা ঘোষণা দেয়া হয়েছে৷ এছাড়া ১৯৮১ সাল থেকে বলবৎ থাকা ‘জরুরি আইন' আংশিকভাবে প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে সরকার৷ তবে গণতন্ত্রকামীদের দাবি, জরুরি আইনের পুরো প্রত্যাহার৷ আর পদত্যাগের দাবির প্রতিক্রিয়ায় সরকার বলছে, নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর তাঁর কাছে ক্ষমতা ছেড়ে দেবে সামরিক সরকার৷ কিন্তু বিক্ষোভকারীরা চায়, সরকার এখনই চলে যাক৷
প্রতিবেদন: জাহিদুল হক
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক