1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মিশরে স্তোক, সিরিয়ায় প্রতিশ্রুতি: সবই ধোঁকা!

১১ জুলাই ২০১১

মিশরের প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক বক্তৃতায় অনেক আশা দেওয়া হয়েছে, কিন্তু কোনো পদক্ষেপের কথা বলা হয়নি৷ সিরিয়ায় প্রেসিডেন্ট আসাদ ঘটা করে ‘জাতীয় সংলাপ’ শুরু করেছেন, বিরোধীরা যা বয়কট করছে৷

কায়রোর তাহরির চত্বরে ফের শুরু হয়েছে বিক্ষোভছবি: picture alliance / dpa

মিশরে আন্দোলনকারীরা বলেছে, তারা কায়রোর তাহরির চত্বর ছেড়ে নড়ছে না

সামরিক শাসকদের বিরুদ্ধে তাদের অভিযোগ হল, দুর্নীতি বন্ধ হয়নি, সামরিক আদালত আগের মতোই ব্যবহার করা হচ্ছে, এছাড়া হোসনি মুবারক বিরোধী আন্দোলনে যে ৮০০ মানুষ প্রাণ হারিয়েছে, তাদের হত্যাকারীদের শীঘ্র বিচারের কোনো ব্যবস্থা হচ্ছে না৷ স্বয়ং মুবারকের বিচার প্রক্রিয়ায় বিলম্ব নিয়ে অসন্তোষ তো আছেই৷

প্রধানমন্ত্রী এসাম শরাফের বক্তৃতায় কোনো লাভ হয়নি

শরাফকে ‘‘লাল কার্ড'' দেখানোর কথা বলছেন তাহরির চত্বরের নাছোড়বান্দারা৷ ওদিকে শরাফ নাকি প্রতিবাদকারীদের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গেও দেখা করেছেন, বলে শরাফের অফিস ফেসবুকে বড় গলা করে ঘোষণা করেছে৷

সিরিয়ায় আসাদ বিরোধী বিক্ষোভ অব্যাহতছবি: picture-alliance/dpa

তাহরির চত্বরের দৃশ্য সম্পূর্ণ আলাদা

বিক্ষোভকারীরা চত্বরে যাবার সব সড়ক অবরোধ করেছে, ব্যারিকেড সৃষ্টি করেছে, ‘মোগাম্মা' প্রশাসনিক ভবনটির সামনে ‘অনির্দ্দিষ্টকালের জন্য অসহযোগ আন্দোলন' নোটিশ দিয়েছে৷ নয়তো রবিবার রাত অবধি তাহরির চত্বরে তাঁবুতে বসে রাজনীতির চর্চা করেছে৷ মঞ্চে কেউ রাজনৈতিক কবিতা শুনিয়েছে, কেউ গিটার বাজিয়ে গান গেয়েছে৷ তারা চায়, শরাফ তাহরির চত্বরে আসুন৷ তারা চায় দ্রুততর সংস্কার৷ তারা চায় মিশরে বর্তমানে ক্ষমতাসীন সামরিক পরিষদের প্রধান ফিল্ড মার্শাল মোহামেদ হুসেইন তান্তাভি'র বিদায়৷

আলোচনায় যোগ দেবে না সিরিয়ার বিরোধীরা

সিরিয়ায় তো মুখ্য বিরোধী গোষ্ঠীগুলি বলছে, আসাদ সহিংস দমননীতি পরিত্যাগ করে হাজার হাজার রাজনৈতিক বন্দিকে মুক্তি দেবার আগে তারা সরকারের সঙ্গে আলাপ-আলোচনায় যোগ দেবে না৷ যে সব মধ্যপন্থী বুদ্ধিজীবী, নিরপেক্ষ সাংসদ এবং গৌণ বিরোধী নেতারা তথাকথিত জাতীয় সংলাপে যোগ দিয়েছেন, তাঁরাও সরকারি দমননীতির সমালোচনায় মুখর৷ এমনকি সংলাপে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে কয়েকজন রাজনৈতিক ক্ষমতার উপর আসাদের বাথ পার্টির একছত্র আধিপত্য অবিলম্বে খারিজ করার ডাক দিয়েছেন৷ মনে রাখা দরকার, ১৯৬৩ সালে বাশার আল আসাদের পিতা হাফেজ আল আসাদ একটি সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতায় আসা যাবৎ এই বাথ পার্টি সিরিয়ায় শাসন চালাচ্ছে৷

প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দোপাধ্যায়

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ