1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মিশর ভয়াবহ পরিস্থিতির দিকে

১ আগস্ট ২০১৩

একদিকে এভাবে সরকারবিরোধী অবস্থানে সমর্থকদের অনড় থাকতে উদ্বুদ্ধ করছে মুসলিম ব্রাদারহুড৷ অন্যদিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ব্রাদারহুড সমর্থকদের বিক্ষোভ থামাতে মরিয়া৷ মিশর আবার বিস্ফোরণোন্মুখ৷

Supporters of Egypt's ousted President Mohammed Morsi chant slogans during a protest outside Rabaah al-Adawiya mosque, where they have installed a camp and hold daily rallies at Nasr City, in Cairo, Egypt, Wednesday, July 31, 2013. Egypt's military-backed government has ordered the police to break up the sit-in protests by supporters of ousted President Mohammed Morsi, saying they pose an "unacceptable threat" to national security. Information Minister Dorreya Sharaf el-Din said in a televised statement Wednesday that the police are to end the demonstrations "within the law and the constitution." The Arabic writing on the white shirt reads "A martyr project". (AP Photo/Khalil Hamra) pixel
ছবি: picture-alliance/AP

দেশের প্রথম নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসি সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে ক্ষমতাচ্যুত হবার পর থেকে মিশরের রাজনৈতিক সংকট নতুন রূপ নিয়েছে৷ অবশ্য কায়রোসহ দেশের অনেক শহরের রাস্তার চিত্রই বদলায়নি৷ আগে যেখানে ছিল মুরসিবিরোধীদের ভিড়, সেখানে এখন মুরসিসমর্থকরা সোচ্চার৷ আগে ছিল মুরসির পতনের দাবি, এখন দাবি তাঁকে মুক্ত করার – ক্ষমতায় ফেরানোর৷ মুসলিম ব্রাদারহুড সমর্থকদের রুখতে খুব কঠোর অবস্থান নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার৷ বিক্ষোভরত মুসলিম ব্রাদারহুড সমর্থকদের রাস্তা থেকে সরাতে পুলিশকে সক্রিয় হতে বলেছে মন্ত্রীপরিষদ৷ সেক্ষেত্রে আরো রক্তক্ষয়, আরো প্রাণহানির আশঙ্কা৷ গত শনিবার একদিনেই সারা দেশের তাঁদের ৮০ জন সমর্থক মারা গেছে বলে দাবি করে মুসলিম ব্রাদারহুডের পক্ষ থেকে বিক্ষোভরতদের প্রতি কোনো অবস্থাতেই রাজপথ না ছাড়ার আহ্বান জানানো হচ্ছে৷ কায়রোর রাজপথে মাইকে মুসলিম ব্রাদারহুড সমর্থকদের প্রয়োজনে মৃত্যুও বরণ করে নিতে উদ্বুদ্ধ করতে বলা হচ্ছে, ‘‘শহিদরা মরেনা, শহিদরা বেহেশতে যায়৷''

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করে মুসলিম ব্রাদারহুডের এ মুহূর্তে এ ছাড়া কোনো গতিও নেই৷ ইংল্যান্ডের ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মুসলিম ব্রাদারহুড বিষয়ক বিশেষজ্ঞ খলিল আল-আনানি মনে করেন, ‘‘ওরা (মুসলিম ব্রাদারহুড) এখন কিছুটা দুর্বল অবস্থায় আছে৷ ওদের হাতে এখন আসলে অন্য কোনো কার্ড নেই৷'' তাঁর মতো অনেক বিশ্লেষকই মনে করেন, বিক্ষোভকারীদের প্রাণহানির ঘটনা যত বাড়বে মিশরের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপও তত বাড়বে – এই দৃষ্টিভঙ্গি থেকে রাজপথ ছাড়ছে না, খুব তাড়াতাড়ি হয়ত ছাড়বেওনা মুসলিম ব্রাদারহুড৷ এ অবস্থায় সরকার যদি আারো কঠোর অবস্থান নেয় তাহলে পরিস্থিতি যে আরো ভয়াবহ হয়ে উঠবে তা বলাই বাহুল্য৷

এসিবি/ডিজি (এএফপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ