1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মিশর, ইয়েমেন কোন পথে?

৪ ফেব্রুয়ারি ২০১১

প্রেসিডেন্ট হোসনি মুবারকের বিরোধী এবং সমর্থকদের মধ্যে যেন এক ধরণের পথের গৃহযুদ্ধ শুরু হয়েছে৷ সেনাবাহিনী শুধু দু’পক্ষের মধ্যে ব্যবধান হিসেবে কার্যকরি৷ওদিকে সাংবাদিকদের উপর হামলার ঘটনা বেড়ে চলেছে৷

কায়রোর তাহরির চত্বরে মুবারক বিরোধী এবং মুবারক সমর্খকদের সংঘর্ষছবি: picture-alliance/dpa

পরিস্থিতি কোন দিকে, সে প্রশ্ন সবারই৷ তবে মুবারকের উপর আন্তর্জাতিক চাপও যে বাড়ছে, তা'তে সন্দেহ নেই৷ মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গতকালও সরাসরি মিশরের উপরাষ্ট্রপ্রধান ওমর সুলেইমানের সঙ্গে কথা বলেছেন৷ তবে বাইডেনের বক্তব্য তাঁর প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার চেয়ে বেশীদূর যায়নি৷ সেক্ষেত্রে দুই প্রভাবশালী সেনেটর, রিপাবলিকান জন ম্যাককেইন এবং ডেমোক্র্যাট জন কেরি এবার সোজাসুজি মিশরে ক্ষমতা হস্তান্তর শুরু করার দাবি তুলেছেন, এবং সে প্রস্তাব সেনেটে সমর্থিতও হয়েছে৷

মার্কিন এবিসি নিউজ'এর সাক্ষাৎকারে মুবারক বলেছেন, তিনি পদত্যাগ করতেই চান, কিন্তু তাঁর ভয় হল, সেক্ষেত্রে দেশে অরাজকতার সৃষ্টি হবে৷ তিনি নাকি ওবামাকেও ঠিক সেই কথাই বলেছেন৷

আসলে কায়রো সরকার, মার্কিন সরকার, এমনকি ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতৃবর্গ, সকলেই যেন অপেক্ষা করে দেখছেন, কায়রোর রাস্তায় ইতিহাস কী মোড় নেয়, কোন রূপ ধারণ করে৷ কিন্তু জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংগঠন এফএও তো এক অন্য কারণ দর্শিয়েছে: জানুয়ারিতে বিশ্ব জুড়ে খাদ্যপণ্যের দাম নাকি রেকর্ড পর্যায়ে পৌঁছয়৷ নিঃসন্দেহে টিউনিশিয়া, মিশর, ইয়েমেন, এমনকি জর্ডানেও সাধারণ মানুষের ক্ষোভের একটা উৎস তাই৷ মজার কথা, বিশ্বে খাদ্যের উৎপাদনে কিন্তু সেরকম কোন তারতম্য ঘটেনি৷ অর্থাৎ খাদ্যপণ্য নিয়েও বিশ্ব জুড়ে ফাটকাবাজির যে একটা প্রবণতা চালু হয়েছে, সেটাই হয়তো এই মূল্যবৃদ্ধির ইন্ধন যোগাচ্ছে৷

সব সন্তোষ কিংবা ক্ষোভের উৎসছবি: picture-alliance/ZB

মিশর, ইয়েমেন, জর্ডান, সর্বত্রই তো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত স্বার্থ জড়িত৷ এ' যেন এক হিসেবে মার্কিন স্বার্থের সঙ্গে মার্কিন আদর্শের সংঘাত৷ তবে পরিস্থিতি যে সর্বত্রই একরকম বিস্ফোরক, এমন নয়৷ ইয়েমেনের রাজধানী সানাতেও সালেহ বিরোধী এবং সালেহ সমর্থকরা মিছিল করেছে, কিন্তু ব্যাপারটা রক্তপাত অবধি গড়ায়নি৷ ওদিকে জর্ডানে রাজা দ্বিতীয় আবদুল্লাহ ইসলামি নেতৃবর্গের সঙ্গে বৈঠক করেছেন৷ এবং বৈঠকের পর ইসলামিক অ্যাকশন ফ্রন্টের এক নেতা বলেছেন, বৈঠক ইতিবাচক হয়েছে৷ অর্থাৎ আলাপ-আলোচনার পন্থা যে একেবারে তামাদি হয়ে গেছে, এমন নয়৷

প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ