1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রাজনৈতিক সংকট

সভেন পোহলে/এসিবি৫ জুলাই ২০১৩

একজন আপাতত আড়ালে৷ নিকট এবং দূর অতীত খুব গৌরবের না হলেও জেনারেল আবদেল ফাতাহ আল-সিসিই এখন এক অর্থে সবচেয়ে ক্ষমতাবান৷ রাষ্ট্র শাসনের ভার অবশ্য প্রধান বিচারপতি আদলি মনসুরের কাঁধে৷ দুই বিপরীত মেরুর মানুষই এখন শাসন করছেন মিশর৷

ছবি: picture-alliance/dpa

৪৮ ঘণ্টার 'চরমপত্র' দিয়ে দেশের প্রথম নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহামেদ মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করেছে সেনাবাহিনী৷ জেনারেল আবদেল ফাতাহ আল-সিসির দেয়া ‘হুমকি'-কে শুরুতে আমলে না নিলেও মুরসি পরে জোট সরকার গঠনের প্রস্তাব দিয়েছিলেন৷ তাতে কাজ হয়নি৷ তুমুল বিক্ষোভের মুখে পড়া মুরসিকে গৃহবন্দী করে নতুন নির্বাচনের ঘোষণা দেন আল-সিসি৷ নির্বাচনের আগে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করার ঘোষণাও দিয়েছিলেন তিনি৷ সেই ঘোষণার ধারাবাহিকতায় প্রেসিডেন্ট হয়েছেন আদলি মনসুর৷ নতুন দায়িত্বে শপথও নিয়েছেন স্বৈর শাসক হোসনি মুবারক এবং সদ্য ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট মুরসির অধীনে কাজ করা এই বিচারপতি৷

সেনা প্রধান আল-সিসিও কাজ করেছেন মুবারক এবং মুরসির আমলে৷ এই জায়গায় মিল থাকলেও আদলি মনসুর আর আল-সিসির অতীত কিন্তু দুজনকে ভিন্ন অবস্থানেই দাঁড় করিয়েছে৷ সাবেক প্রধান বিচারপতি মাহের আল-বেহাইরিস অবসর নেয়ার পর গত মাস, অর্থাৎ জুনের শেষ দিকে প্রেসিডেন্ট মুরসি সেই দায়িত্ব দেন মনসুরকে৷ কয়েকদিনের মধ্যেই তিনি হয়ে গেলেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রেসিডেন্ট৷ খুব তাড়াতাড়িই পেলেন বড় দায়িত্ব৷ তবে এ দায়িত্ব নির্বিঘ্নে পালন করতে পারবেন সে সম্ভাবনা কম৷ মুরসির মুসলিম ব্রাদারহুড দল এবং বিরোধী দলগুলোর মধ্যে কারো কাছেই তাঁর ভাবমূর্তি খুব উজ্জ্বল নয়৷ মুবারকের পতনের পর তাঁর অনুসারীদেরও নির্বাচনে অংশ নেয়ার অধিকার দেয়ার দাবিতে সোচ্চার হওয়ায় বরং দু'পক্ষেরই সমালোচনার তিরে বিদ্ধ হয়েছিলেন তিনি৷

আল-সিসি আরো বেশি সমালোচিত৷ সামরিক কর্মকর্তা হিসেবে উল্লেখযোগ্য তেমন কোনো প্রশংসনীয় কাজ তিনি করেছেন কিনা – তা অনেকটাই অজানা৷ মিশরের মানুষের কাছে দুটি বিষয় খুব মনে রাখার মতো৷ এক, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ১৯৬৭ এবং ১৯৭৩-এর যুদ্ধে তিনি অংশ নেননি৷ দুই, নারীর প্রতি তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি মুরসির আমলেও খুব সমালোচিত হয়েছে৷ সেনাসদস্যদের বিরুদ্ধে নারীদের যৌন নিপীড়নের অভিযোগ ওঠায়, নিপীড়িতদের ‘প্রেগনেন্সি টেস্ট' করানোর কথা বলেছিলেন আল-সিসি৷ তুমুল সমালোচনার মুখে পরে তিনি নিজের অবস্থান থেকে সরে এসেছিলেন৷

তবে আদলি মনসুর আর আল-সিসির মধ্যে একটা মিল রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের চোখে পড়েছে৷ জার্মানির রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ক্রিস্টিয়ান আর্চরাইনারের মতে মিশরের সেনাবাহিনী এমনিতে ধর্মনিরপেক্ষতায় বিশ্বাসী৷ আর আদলি মনসুরের তো মুবারকের পতনের পরের আগুনে সময়েও স্রোতের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর অতীত রয়েছে৷ এই দুটো বিষয় সংকটাপন্ন মিশরের সংকট নিরসনে কি ভূমিকা রাখবে?

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ