1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মিসরাটায় গাদ্দাফি বাহিনীর হামলা চলছে, ত্রিপোলিতে ন্যাটোর হামলা

১৯ এপ্রিল ২০১১

ন্যাটো সহ পশ্চিমা বিশ্বের তর্জন গর্জন সত্ত্বেও গাদ্দাফি বাহিনী মিসরাটায় নিরীহ মানুষের হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে৷ মরিয়া হয়ে ন্যাটো এবার ত্রিপোলিতে হামলা চালাচ্ছে৷

হামলার মুখে মিসরাটাছবি: picture alliance / dpa

মিসরাটার পরিস্থিতি

মঙ্গলবারও মিসরাটার উপর হামলা চালিয়ে যাচ্ছে গাদ্দাফি বাহিনী৷ দেশের পশ্চিমে বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত একমাত্র শহরটি ফিরে পেতে মরিয়া গাদ্দাফি প্রশাসন৷ অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশানাল সহ বিভিন্ন পক্ষ থেকে নিরীহ মানুষের উপর সুপরিকল্পিত হামলার অভিযোগ আনা হচ্ছে৷ শহরের যেসব এলাকার উপর বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে, সেখানে ক্রমাগত গোলাবর্ষণ করে চলেছে সেনাবাহিনী৷ শহরে উপস্থিত অ্যামনেস্টির এক প্রতিনিধি জানিয়েছেন, কেন্দ্রস্থলে ব্যাপক সংঘর্ষ চলছে৷ হাসপাতালে আহতদের ভিড় বেড়েই চলেছে৷ তবে বিদ্রোহীদের এক মুখপাত্র দাবি করছেন, যে হামলা সত্ত্বেও শহরের আরও এলাকা তাদের নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে৷

ন্যাটো বাহিনীর কৌশল

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব অনুযায়ী লিবিয়ার নিরীহ মানুষকে রক্ষা করতে সবরকম পদক্ষেপ নিতে হবে৷ কিন্তু শুধু বিমান হামলায় তেমন কাজ হচ্ছে না – কোনো শহরের মধ্যে বিদ্রোহী ও সাধারণ মানুষের প্রাণহানি এড়িয়ে শুধু গাদ্দাফি বাহিনীর উপর হামলা চালানো প্রায় অসম্ভব বলা চলে৷ বিদ্রোহীরা নিজেদের বলে নিজেদের সাফল্য ধরে রাখতে পারছে না৷ এই অবস্থায় নতুন পথের খোঁজ করছে ন্যাটো৷ ব্রিটেন পূবের বেনগাজি শহরে সামরিক উপদেষ্টা পাঠাচ্ছে, যারা বিদ্রোহীদের সাংগঠনিক কাঠামো, যোগাযোগ ও অন্যান্য বিষয়ে সাহায্য করবেন৷ তবে জাতিসংঘের প্রস্তাবে স্থলবাহিনী পাঠানোর কোনো অনুমতি না থাকায় বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক দেখা দিচ্ছে৷ ফ্রান্স লিবিয়ায় ফরাসি সৈন্য পাঠানোর বিরোধিতা করছে৷ অর্থাৎ এই প্রথম ব্রিটেন ও ফ্রান্সের মধ্যে লিবিয়ার প্রশ্নে কিছুটা মতবিরোধ দেখা যাচ্ছে৷

বলপ্রয়োগ করে গাদ্দাফিকে তাড়ানোর কথা বলছেন বিরোধী নেতা জলিলছবি: Picture-Alliance/dpa

ত্রিপোলিতে হামলার বিষয় নিয়ে বিতর্ক

মঙ্গলবার ত্রিপোলি ও সির্ট'এ তে যে হামলা হয়েছে, তা নিয়ে আপত্তি করেছে রাশিয়া৷ তাদের মতে, এটা গাদ্দাফিকে ক্ষমতাচ্যুত করার চেষ্টা ছাড়া আর কিছুই নয়, জাতিসংঘের প্রস্তাবে যার কোনো বিধান নেই৷ এর আগে লিবিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনও এই হামলাকে ঔপনিবেশিক আগ্রাসন হিসেবে বর্ণনা করেছিল৷ এদিকে ইটালি সফরে গিয়ে লিবিয়ার বিরোধী নেতা মুস্তাফা আব্দেল জলিল বলেছেন, বল প্রয়োগ না করা হলে গাদ্দাফি কিছুতেই স্বেচ্ছায় ক্ষমতা ছেড়ে দেবেন না৷ জলিল ইটালির পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেন৷ কাতারের শাসকদের সঙ্গে আলোচনার পর তিনি এখন ইটালিতে৷ বুধবার তিনি প্যারিসে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নিকোলা সার্কোজির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন৷ জাতিসংঘের প্রস্তাবে এখনো তেমন কোনো কাজ না হওয়ায় গাদ্দাফিকে দেশছাড়া করার পক্ষে ঐকমত্য গড়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন তিনি৷

প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ