পরম প্রার্থিত প্রথম উইকেট দ্রুতই পেয়ে যায় বাংলাদেশ; ইনিংসের অষ্টম ওভারে৷ কিন্তু এ সুবিধা নিয়ে পাকিস্তানের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে পারল কই!
বিজ্ঞাপন
যাচ্ছেতাই ফিল্ডিংয়ে অনেক রান উপহার দিয়েছে; সঙ্গে একের পর এক 'জীবন'৷ সে সুবিধা কাজে লাগিয়ে রানের পাহাড়ে পাকিস্তান৷ ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ৩১৫ রান তাঁদের৷
চ্যালেঞ্জ নিয়েই তাই এ বিশ্বকাপের শেষ ম্যাচের শেষ ইনিংসে ব্যাটিং করতে নামবে তাই বাংলাদেশ৷
এ খেলার গুরুত্ব এমনিতে ততটা নেই৷ সেমিফাইনালে ওঠার রেস থেকে আগেই ছিটকে গেছে বাংলাদেশ৷ পাকিস্তানের যতটুকু সম্ভাবনা, সেটি আক্ষরিক অর্থেই কাগজ-কলমে৷ তা বাস্তবায়িত হওয়ার নূন্যতম সম্ভাবনাও ছিল না৷ দুই দলের সামনে বিশ্বকাপটি ভালোভাবে শেষ করার উপলক্ষ্যই ঝুলে ছিল এ ম্যাচের আবহে৷ বাংলাদেশের জন্য বাড়তি আরেক প্রণোদনা৷ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মোর্তজার জন্য খেলা৷ বিশ্বকাপে এটি নিশ্চিতভাবেই তাঁর শেষ ম্যাচ৷ আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারেরও কি?
এ ম্যাচে অবসরের ঘোষণার গুঞ্জন ছিল প্রবল মাত্রায়৷ সেটি হোক বা না হোক, দীর্ঘদিনের অধিনায়কের বিশ্বকাপের শেষ ম্যাচটা স্মরণীয় করে রাখার তাড়না ছিল বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের৷
যদিও জঘন্য ফিল্ডিংয়ের সময়ের শরীরী ভাষায় তা মনে হয়নি৷
গড়পড়তা ফিল্ডিং বিশ্বকাপজুড়েই ভুগিয়েছে বাংলাদেশকে৷ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে কেন উইলিয়ামসনের সহজ রান আউট করতে পারেননি মুশফিক৷ ২৪৪ রান ডিফেন্ডর করায় সেটি ছিল ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ৷ সে রান আউট হলে ৭২ রানে তৃতীয় উইকেট পড়ে নিউজিল্যান্ডের; ম্যাচ জয়ের সম্ভাবনা জাগাতে পারত বাংলাদেশ৷ সেটি হয়নি; তৃতীয় উইকেট পড়তে পড়তে কিউইদের রান ১৬০ হয়ে যাওয়ায় আফসোস আরো বেড়েছে৷ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ডেভিড ওয়ার্নারের ক্যাচ পয়েন্টে ছেড়েছেন সাবি্বর রহমান৷ ১০ রানে থাকা ওই ওপেনার পরে যোগ করেন আরো ১৫৬ রান৷ এখানেই শেষ নয়৷ ভারতের বিপক্ষে রোহিত শর্মার ক্যাচ ছাড়েন তামিম ইকবাল৷ ৯ রানে জীবন পেয়ে ১০৪ করেন রোহিত; ১৮ রানে যেখানে প্রথম উইকেট পেতে পারত বাংলাদেশ, সেই 'প্রথম' শিকারের স্কোরবেকার্ডে ১৮০ রান উঠে যেতে দেখে মাশরাফি বিন মোর্তজার দল৷
বল হাতে সেরা যারা
টি টোয়েন্টি আর ওয়ানডে ক্রিকেট এমনিতেই ব্যাটসম্যানদের খেলা৷ নিয়মের বেড়াজালে বোলাররা বড় অসহায়৷ বেশির ভাগ উইকেট ব্যাটিংস্বর্গ হওয়ায় এবারের বিশ্বকাপে ব্যাটসম্যানদের দাপট আরো বেশি৷ তা সত্ত্বেও বল হাতে আলো ছড়াচ্ছেন অনেকেই৷
ছবি: Getty Images/AFP/L. Parnaby
১. মিচেল স্টার্ক (অস্ট্রেলিয়া)
প্রথম দল হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার সেমিফাইনালে ওঠায় বাঁ হাতি এই ফাস্ট বোলারের অনেক অবদান৷ আট ম্যাচে ৭৪.২ ওভার বল করেছেন তিনি, ৩৭৩ রান দিয়ে ১৫.৫৪ গড়ে নিয়েছেন ২৪ উইকেট৷ ৫ উইকেট পেয়েছেন দুইবার৷
ছবি: Getty Images/M. Steele
২. লকি ফার্গুসন (নিউজিল্যান্ড)
স্টার্কের ঠিক পরেই রয়েছেন নিউজিল্যান্ডের ফাস্টবোলার লকি ফার্গুসন৷ সাত ম্যাচে ৬৩.৪ ওভার বল করে ৩১৬ রান দিয়ে ১৮.৫৮ গড়ে ১৭ উইকেট নিয়েছেন লকি ফার্গুসন৷ সেরা বোলিং ৪/৫৭৷
পাকিস্তানে ফাস্টবোলার মোহাম্মদ আমির সাত ম্যাচে ৬৬ ওভার বোলিং করে নিয়েছেন ১৬ উইকেট৷ গড় ২০.৪৩৷ সেরা বোলিং ৫/৩০৷
ছবি: AFP/D. Sakar
৫. মার্ক উড (ইংল্যান্ড)
ইংল্যান্ডের এই বাঁ হাতি ফাস্ট বোলার আট ম্যাচে ৭০.৪ ওভারে ৩৬৯ রান দিয়ে ২৩.০৬ গড়ে ১৬ উইকেট নিয়ে আছেন পঞ্চম স্থানে৷ সেরা বোলিং ৩/১৮৷
ছবি: AFP/O. Scarff
৬. ট্রেন্ট বোল্ট (নিউজিল্যান্ড)
নিউজিল্যান্ডের ফাস্টবোলার ট্রেন্ট বোল্ট আট ম্যাচে ৭৯ ওভার বল করে ৩৭০ রান দিয়ে ২৪.৬৬ গড়ে ১৫ উইকেট নিয়েছেন৷ চার উইকেট নিয়েছে দুইবার৷ সেরা বোলিং ৪/৩০৷
ছবি: Getty Images/D. Rogers
৭. মুস্তাফিজুর রহমান (বাংলাদেশ)
মুস্তাফিজুর রহমান সাত ম্যাচেই ১৫ উইকেট পেয়েছেন৷ তবে দিয়েছেন ৪০৯ রান, গড় ২৭.২৬৷ সেরা বোলিং ৫/৫৯৷
ছবি: Getty Images/AFP/S. Khan
৮. মোহাম্মদ সামি (ভারত)
চার ম্যাচেই ১৪ উইকেট নিয়েছেন মোহাম্মদ সামি৷ ৩৫.১ ওভার ১৯৩ রান দিয়ে তার বোলিং গড় ১৩.৭৮৷ সেরা বোলিং ৫/৬৯৷
ছবি: Getty Images/A. Davidson
৯. জাসপিত বুমরাহ (ভারত)
সাত ম্যাচে ৬৪ ওভারে ২৯৫ রান দিয়ে ২১.০৭ গড়ে ১৪ উইকেট নিয়েছেন তিনি৷ তাঁর সেরা বোলিং ৪/৫৫৷
ছবি: Getty Images/AFP/A. Dennis
১০. ক্রিস মরিস (সাউথ আফ্রিকা)
সাত ম্যাচের ছয় ইনিংসে বল করার সুযোগ পেয়ে ৫৪.৪ ওভারে ২৭৮ রান দিয়ে ২৩.১৬ গড়ে ১২ উইকেট নিয়েছেন তিনি৷ তাঁর সেরা বোলিং ৩/১৩৷
ছবি: Getty Images/AFP/L. Parnaby
10 ছবি1 | 10
পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচেও বাজে ফিল্ডিংয়ের ধারা অব্যাহত বাংলাদেশের!
টসজয়ী ব্যাটিং নেয়া পাকিস্তানের প্রথম উইকেট তৃতীয় ওভারেই পেতে পারত মাশরাফির দল৷ মিড অফ ফিল্ডার যথেষ্ট তত্পর ছিলেন না বলে ফখর জামান রান আউট হননি৷ এটি তেমন আফসোসে পোড়ায়নি বাংলাদেশকে৷ সপ্তম ওভারে মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিনের বলে মেহেদী হাসান মিরাজের হাতে ক্যাচ দেন জামান (১৩)৷ তবে ১ রানের সময় ইমাম-উল-হকের রান আউট সুযোগ মিস করা ভুগিয়েছে মাশরাফির দলকে৷ ইমাম ও বাবর আজমের জুটিতে ম্যাচে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে পাকিস্তান৷
২২তম ওভারে দলীয় ১০০-তে পৌঁছে যায় সরফরাজ আহমেদের দল৷ পরের ওভারে মোসাদ্দেক হোসেনকে বাউন্ডারি মেরে নিজের ফিফটিতে পৌঁছান আজম৷ এর কয়েক ওভার পরই মুস্তাফিজুর রহমানের বলে পয়েন্টে তাঁর ক্যাচ ফেলেন মোসাদ্দেক৷ ৫৭ রানে থাকা আজমের তখন এ বিশ্বকাপের মোট রান ৪৩৫৷ পাকিস্তানীদের মধ্যে এক আসরে সর্বোচ্চ রানে ১৯৯২ টুর্নামেন্টে জাভেদ মিয়াঁদাদের ৪৩৭ রানের রেকর্ডটি এরপর আর অক্ষত থাকেনি৷ পরে দারুণ স্বাচ্ছন্দ্যের সঙ্গে খেলা আজম পর পর দুটি চার মেরে সেঞ্চুরি থেকে আরেকটি চারের দূরত্বে পৌছে যান৷ কিন্তু সাইফের পরের বলে হয়ে যান এলবিডাব্লু৷ ৯৮ বলে ৯৬ রানের ইনিংস যায় থেমে৷ ভেঙে যায় ১৫৭ রানের দ্বিতীয় উইকেট জুটি৷
মাইলস টু গো, বিফোর আই স্লিপ
তাঁদের কেউ এখনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেননি৷ হিসেব বলছে, অনেক ক্রিকেটারের দেখা মিলবে না পরের বিশ্বকাপে৷ বয়স তো আটকে রাখা যায় না! শেষ বিশ্বকাপে কেউ সফল, কেউ ব্যর্থ৷ কিন্তু ক্রিকেটের গল্পে, তাঁরা বেঁচে থাকবেন আপন কীর্তিতে৷
ছবি: Getty Images/AFP/P. Ellis
মাশরাফী মোর্ত্তজা, বাংলাদেশ
তিন মাস পরে বয়সটা হবে ৩৬৷ বার বার ইনজুরিতে বিপর্যস্ত তিনি৷ তাঁর নেতৃত্বে বিশ্ব ক্রিকেটে নিজেদের জাত চিনিয়েছে বাংলাদেশ৷ তাই মাশরাফী শুধু খেলোয়াড় নয়, বাংলাদেশে মাশরাফী এক আবেগের নাম৷ যিনি শরীর দিয়ে নয়, দলকে এগিয়ে নিতে মন আর প্রাণ উজাড় করে খেলেন৷ ২১৬টি ওয়ান ডে খেলে নিজের ঝোলায় উইকেট পুরেছেন ২৬৬টি৷
ছবি: Getty Images/AFP/S. Khan
এমএস ধোনি, ভারত
ক্যাপ্টেন কুলের নেতৃত্বে দ্বিতীয় দফায় বিশ্বকাপ জিতে ভারত৷ এবারও ফর্মের তুঙ্গে আছে দলটি, যদিও নেতৃত্বে নেই ধোনি৷ তবে অভিজ্ঞতাটা সতীর্থ কোহলির সঙ্গে ভাগ করে পাড়ি দিচ্ছেন সব বাধা৷ বয়স হয়েছে৷ গেইলকে বাদ দিলে বিশ্বকাপের এ আসরে ৩৮ বছর বয়সি ক্রিকেটার খুঁজে পাওয়া দুষ্কর৷ তবুও দলের জন্য খেলছেন একজন ধোনি৷ বিশ্বকাপ খেলার ইতি ঘটছে এবার৷ এ পর্যন্ত ৩৪৮টি ম্যাচে তাঁর সংগ্রহ ১০ হাজার ৭২৩ রান৷
ছবি: Reuters/Action Images/A. Boyers
লাসিথ মালিঙ্গা, শ্রীলঙ্কা
৩৫ বছর বয়সেও ধার কমেনি৷ এখনো দলের মূল স্ট্রাইক বোলার তিনি৷ কিন্তু ঝাঁকড়া চুলের এই পেসারকেও হয়ত ইতি বলতে হবে ক্রিকেটের নিয়মে৷ শ্রীলঙ্কার বহু অর্জনে জড়িয়ে থাকবেন মালিঙ্গা৷ ওয়ান ডের হিসেব বলছে, ২২৪ ম্যাচে ব্যাগে ভরেছেন ৩৩৪ উইকেট৷
ছবি: picture-alliance/dpa/empics/PA-Wire/S. Cooper
ক্রিস গেইল, ওয়েস্ট ইন্ডিজ
প্রতিপক্ষ যে দলই হোক, গেইলকে নিয়ে ভাবতে হবেই৷ ৪০ ছুঁই ছুঁই বয়সেও উইলো কাঠ হাতে বড্ড ভয়ঙ্কর তিনি৷ ভাবলেশহীন মুখয়াববের এই ক্রিকেট-দানব গুঁড়িয়ে দিতে পারেন যেকোনো দলকেই৷ ২৯৮ ম্যাচে সংগ্রহ করে ফেলেছেন ১০ হাজার ৩৯৩ রান৷ এবার তিনি খেলে ফেললেন নিজের শেষ বিশ্বকাপ৷
ছবি: Reuters/Action Images/L. Smith
ডেভিড ওয়ার্নার, অস্ট্রেলিয়া
বয়স ৩৩ হতে খুব বাকি নেই৷ আগামী বিশ্বকাপে তাঁর খেলাটা অনিশ্চিত৷ চার বছর পর অস্ট্রেলিয়ার মতো দলে ৩৭ বছর বয়সে টিকে থাকাটা সত্যিই মুশকিল৷ এ পর্যন্ত ওয়ান ডে খেলেছেন ১১৪টি৷ ৪৫.৪১ গড়ে রান করেছেন চার হাজার ৮৫৯৷ এই বিশ্বকাপেও আছেন দারুণ ফর্মে৷ ৫১৬ রান নিয়ে বেশি রান করা ব্যাটসম্যানদের তালিকায় আছেন তৃতীয় স্থানে৷ সেমিফাইনাল পর্যন্ত আরো একটি খেলা বাকি আছে৷ টপকে যেতে পারেন সবাইকে৷
ছবি: Getty Images/AFP/P. Ellis
এয়ন মরগান, ইংল্যান্ড
ইদানিং দাপুটে ক্রিকেট খেলছে ইংল্যান্ড৷ নেতৃত্ব দিয়েই শুধু নয়, ব্যাট হাতেও প্রতিপক্ষকে সমান দুশ্চিন্তায় রাখছেন মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান মরগান৷ তার হাত ধরেই অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠছে দলটি৷ বয়সের হিসেবটা বলছে, আগামী বিশ্বকাপে হয়তো আর নামা হবে না মাঠের লড়াইয়ে৷ ২৩১ ম্যাচে ব্যাট হাতে করেছেন সাত হাজার ২৯৪ রান৷
ছবি: Getty Images/C. Mason
হাশিম আমলা, সাউথ আফ্রিকা
ওয়ানডে পরিসংখ্যান বলছে, ১৭৮ ইনিংসে তাঁর রান আট হাজার ১১৩৷ সাউথ আফ্রিকার অন্যতম নির্ভরতার প্রতীক তিনি৷ অনেক দুর্যোগ ব্যাট হাতে সামলে নিয়েছেন৷ পরের বিশ্বকাপে হয়ত আর দেখা যাবে না আমলাকে৷ এবারের আসরে আরো একবার বিশ্বকাপ ব্যর্থতা প্রকট হলো সাউথ আফ্রিকার৷ সেই ব্যর্থতা নিয়েই মিশন শেষ করছেন ৩৬ বছরের আমলা৷ হয়ত একই অবস্থা হতে যাচ্ছে ফাপ ডু প্লেসিসের ক্ষেত্রেও৷
ছবি: Getty Images/AFP/L. Parnaby
7 ছবি1 | 7
ইনিংসের তখন মোটে শেষ হয়েছে ৩২ ওভার৷ সাড়ে তিনশ'র চোখ রাঙাচ্ছিল পাকিস্তান৷ কিন্তু এরপর ভালো নিয়ন্ত্রণ দেখায় বাংলাদেশের বোলাররা৷ ফিল্ডিংয়ের নাটকীয় কোনো উন্নতি অবশ্য হয়নি৷ মুস্তাফিজের বলে সিঙ্গেল নিয়ে ইমাম পৌঁছে যান সেঞ্চুরির মাইলফলকে৷ ৩৬তম ওয়ানডেতে এটি তাঁর সপ্তম শতরান৷ কিন্তু এক বল পরই হিট উইকেট হলে শেষ হয়ে যায় ইমামের ১০০ বলে ১০০ রানের ইনিংস৷ আর হারিস সোহেলকে আউট করে ওয়ানডে ক্যারিয়ারে নিজের শততম উইকেট নেন মুস্তাফিজ; ৫৪তম ম্যাচে৷ ওয়ানডেতে দ্রুততম শত উইকেটের তালিকায় এখন শেন বন্ডের সঙ্গে চতুর্থতে কাটার মাস্টার৷ রশিদ খান (৪৪), মিচেল স্টার্ক (৫২) ও সাকলাইন মুশতাকের (৫৩) পর৷
শেষ ১০ ওভারে ৮৫ রান করে স্কোরটাকে ৩১৫ নিয়ে যায় পাকিস্তান৷ পাঁচ শিকার মুস্তাফিজের; তিনটি সাইফের৷ মাত্র এক উইকেট পেলেও ১০ ওভারে ৩০ রানের বেশি দেননি মেহেদী৷ তুলনায় আবারও বড্ড নিষ্প্রভ মাশরাফি৷ সাত ওভারে ৪৬ রান দিয়ে উইকেটশূন্য৷ পুরো বিশ্বকাপে একটিমাত্র উইকেট তাঁর; গড় ৩৬১! অধিনায়কের এমন পারফরম্যান্স একেবারেই অপ্রত্যাশিত৷
এখন সতীর্থরা যদি তাঁকে পাকিস্তানের বিপক্ষে জয় উপহার দিতে পারেন বিশ্বকাপের শেষ ম্যাচে! হয়তো-বা ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচেও!